Advertisement
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
Paris Olympics 2024

সোনাজয়ের খিদে বিনেশের, ফাইনালের আগে কোনও কথা নেই ভারতীয় কুস্তিগিরের মুখে

বিনেশের লক্ষ্য একটাই, সোনার পদক। বুধবার রাতে সেই লক্ষ্য নিয়েই কুস্তির ম্যাটে নামবেন তিনি। প্রতিপক্ষ আমেরিকার সারা হিলডেব্রান্ট।

Vinesh Phogat

কুস্তির ফাইনালে ওঠার পর বিনেশ ফোগাট। ছবি: পিটিআই।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ অগস্ট ২০২৪ ১১:২১
Share: Save:

প্রথম ভারতীয় মহিলা হিসাবে অলিম্পিক্সে কুস্তির ফাইনালে বিনেশ ফোগাট। ইতিহাস গড়া হয়ে গিয়েছে তাঁর। কিন্তু এখানেই থামতে রাজি নন তিনি। বিনেশের লক্ষ্য একটাই, সোনার পদক। বুধবার রাতে সেই লক্ষ্য নিয়েই কুস্তির ম্যাটে নামবেন তিনি। প্রতিপক্ষ আমেরিকার সারা হিলডেব্রান্ট।

বিনেশ নিজের লক্ষ্যে এতটাই স্থির যে, সেমিফাইনালে জয়ের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতেও রাজি হননি। ফাইনালের পর কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। এ বারের অলিম্পিক্সে বিনেশের লড়াই সহজ ছিল না। গত এক বছরে অনেক কিছুর মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছিল তাঁকে। কুস্তিগিরদের আন্দোলনের অংশ ছিলেন বিনেশ। যন্তর মন্তরের সামনে ধর্না দিতেন তিনি। পুলিশ তাঁকে আটকও করেছিল। সেই সঙ্গে হাঁটুর চোট সঙ্গী ছিল বিনেশের। নিজের ৫৩ কেজি বিভাগে লড়তে পারেননি। তাঁকে ৫০ কেজি বিভাগে নামতে হয়েছে। এই সব বাধা পেরিয়েও ফাইনালে উঠেছেন বিনেশ।

বিনেশের প্রশংসায় মুখর বক্সার বিজেন্দ্র সিংহ। তিনি ২০০৮ সালের বেজিং অলিম্পিক্সে ব্রোঞ্জ পেয়েছিলেন। বিজেন্দ্র বলেন, “বিনেশ দুর্দান্ত। ওকে এই ভাবে খেলতে দেখে ভাল লাগছে। বিনেশ এবং আমার বাড়ি একই শহরে। হরিয়ানার ভিওয়ানিতে জন্ম আমাদের। সেখানে আমাদের পরিবার ওর ম্যাচ দেখেছে। তারা প্রচণ্ড খুশি।”

বাকিদের থেকে বিনেশ কোথায় আলাদা? বিজেন্দ্র বলেন, “ও খুব শান্ত। সেটাই ওকে বাকিদের থেকে আলাদা করে দিচ্ছে। আসলে বিনেশ এতটাই আত্মবিশ্বাসী যে, খুব ঠান্ডা মাথায় খেলতে পারছে। ও কোনও ভুল করেনি। কখনও অতিরিক্ত কিছু করার চেষ্টা করেনি। ও কখনও নিজের লক্ষ্য থেকে সরে আসেনি। আমার মনে হয় সেই কারণেই বিনেশ এত ভাল খেলেছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Paris Olympics 2024 Vinesh Phogat wrestling
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE