Advertisement
২২ ডিসেম্বর ২০২৪
Paris Olympics 2024

অলিম্পিক্সে ১০০ মিটারে এ বারও ফেভারিট জামাইকা, দশকের পর দশক বোল্টের দেশের সাফল্যের কারণ কী?

১৯৪৮ সালে আর্থার উইন্টকে দিয়ে যে ধারা শুরু হয়েছিল তা চলছে এখনও। বিশ্ব জুড়ে স্প্রিন্টে দশকের পর দশক দাপট দেখাচ্ছেন জামাইকানেরা। উসাইন বোল্ট, ইয়োহান ব্লেক থেকে শুরু করে কতশত নাম। জামাইকানদের এই সাফল্যের কারণ কী?

sports

উসাইন বোল্ট। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ অগস্ট ২০২৪ ০৮:৪০
Share: Save:

প্যারিস অলিম্পিক্সের ১০০ মিটার প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গিয়েছে। মহিলাদের ১০০ মিটারের ফাইনাল শনিবার। পুরুষেরা এ দিন হিটে নামবেন। ফাইনাল রবিবার। প্রতি বারের মতো এ বারও সেই ইভেন্ট নিয়ে উত্তেজনার পারদ চড়ছে। বরাবরের মতো এ বারও সম্ভাব্য সোনাজয়ীদের নিয়ে চর্চা চলছে। স্বাভাবিক ভাবেই উঠে আসছে জামাইকানদের নামও। পুরুষ এবং মহিলা দুই বিভাগেই জামাইকার খেলোয়াড়েরা রয়েছেন, যাঁরা সোনা জিততে পারেন। এই ইভেন্টে বছরের পর বছর ধরে দাপট দেখিয়ে এসেছেন উসাইন বোল্ট, আসাফা পাওয়েল, ইয়োহান ব্লেক, শেলি অ্যান ফ্রেজ়ার প্রাইস, এলাইনি থমসনেরা। এ বারের অলিম্পিক্সেও তার ব্যতিক্রম হয়তো হবে না।

পুরুষদের বিভাগে সোনা জেতার দাবিদার ধরা হচ্ছে জামাইকার ২৩ বছরের কিশানে থমসনকে। যদিও রয়েছেন আমেরিকার নোয়া লিলেসও। মহিলাদের বিভাগে আমেরিকার শাকারি রিচার্ডসন এগিয়ে থাকলেও তাঁকে টক্কর দিতে পারেন জামাইকার অভিজ্ঞ ফ্রেজ়ার প্রাইস। ফ্রেজ়ার প্রাইস গত বারের ১০০ মিটারে সোনাজয়ী।

স্প্রিন্টে গত কয়েক দশক ধরে জামাইকার দৌড়বিদেরাই দাপট দেখাচ্ছেন। মাঝেমাঝে আমেরিকা বা অন্য কোনও দেশের খেলোয়াড়েরা জিতলেও তা সংখ্যায় কম। যে দেশের জনসংখ্যা মাত্র ২৮ লক্ষ, যে দেশে অপুষ্টি, খাদ্যাভাব, দারিদ্র স্বাভাবিক বিষয়, সেখান থেকে কী ভাবে দশকের পর দশক ধরে স্প্রিন্টারেরা উঠে আসছেন? বিষয়টি নিয়ে গবেষণা চলছে বহু বছর ধরেই।

বোল্টের পর থেকে নিয়মিত ভাবে পুরুষদের বিভাগে কোনও বিজয়ী আসেননি ঠিকই। তখন দায়িত্ব নিয়েছিলেন মেয়েরা। বেজিং অলিম্পিক্সে ফ্রেজ়ার প্রাইসের নেতৃত্বে ১০০ মিটারে প্রথম তিনটি স্থানই দখল করেছিলেন জামাইকার দৌড়বিদেরা। ২০২১ টোকিয়ো অলিম্পিক্সে এবং ২০২২ অ্যাথলেটিক্স বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপেও একই ছবি দেখা গিয়েছিল। ৩৭ বছর বয়স হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও ফ্রেজ়ার প্রাইসের থামার নাম নেই। স্বয়ং বোল্ট পর্যন্ত বলতে বাধ্য হয়েছিলেন, “বিশ্বাসই করা যায় না। আমি আর শেলি একই সময়ে কেরিয়ার শুরু করেছিলাম। ও এখনও দাপটের সঙ্গে দৌড়ে যাচ্ছে।”

২০১২ সালেও সোনা জেতেন ফ্রেজ়ার-প্রাইস। ব্রোঞ্জ জেতেন জামাইকারই ভেরোনিকা ক্যাম্পবেল। রিয়ো এবং টোকিয়োয় জামাইকার এলাইনি সোনা জেতেন। কিন্তু আর্থিক ভাবে পিছিয়ে থাকা, পরিকাঠামোর অভাব থাকা জামাইকার এই সাফল্যের কারণ কী? বিশেষত এমন একটি ইভেন্ট, যেখানে বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশ অংশগ্রহণ করে এবং আমেরিকা প্রতি বছর এই ইভেন্টের পিছনে কোটি কোটি ডলার খরচ করে।

মূলত পাঁচটি কারণ রয়েছে এর নেপথ্যে:

জামাইকানদের পুষ্টির উপর নজর

জামাইকানরা নিজেদের খাবারদাবারের উপর বিশেষ নজর রাখেন। একি (এক ধরনের ফল যা পশ্চিম আফ্রিকার অধিবাসীরা নিয়ে এসেছিল ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে) এবং সল্ট ফিশ (জামাইকার জাতীয় খাবার) প্রধান খাবার। এ ছাড়া ইয়াম (এক ধরনের সব্জি) এবং সবুজ কলা, মাংস তো রয়েছেই। যদিও কিছু বিজ্ঞানী এই কারণটি অস্বীকার করেন। স্প্রিন্টারদের অধিক কার্বোহাইড্রেট, বেশি মাত্রায় প্রোটিনের পুষ্টি দরকার হয়। সেখানে একি ফল, ইয়াম বা সবুজ কলায় সেই পুষ্টিগুণ থাকে না, যা বাকিদের থেকে তাঁদের এগিয়ে দেবে। পাশাপাশি এগুলি বিশ্বের অনেক জায়গায় পাওয়া যায়। ভারতীয়েরাও পেয়ে থাকেন। তবে অনেকেই মানেন, জামাইকার দৌড়বিদদের উত্থানের নেপথ্যে স্থানীয় খাবারদাবারের পুষ্টিগুণ একটু হলেও রয়েছে।

যদিও এই বিষয়টিতে অতটা জোর দিলেন না বাংলার অ্যাথলেটিক্স কোচ কুন্তল রায়। তিনি আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেছেন, “ওরা ছোটবেলা থেকে কয়েক বছর পরিশ্রম করে ঠিকই। ইথিয়োপিয়া, উগান্ডা, সুদানের দৌড়বিদদের প্রাথমিক জীবন খুবই কষ্টের। কিন্তু একটু ভাল পারফরম্যান্স করলেই ওরা নামীদামি আমেরিকান, ইউরোপিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কলারশিপ পায়। সেখানে সেরা পরিষেবা পেয়ে ওদের প্রতিভা আরও বিকশিত হয়। আমি নিজে এ রকম বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে দেখেছি, ওখানে প্রচুর আফ্রিকান, ক্যারিবিয়ান পড়াশোনা করছে। এদের অনেকেই স্কলারশিপে এসেছে খেলাধুলো করার জন্য।”

উসাইন বোল্ট।

উসাইন বোল্ট। ছবি: এক্স।

জামাইকানদের জিন

এই কারণ নিয়েও অনেকে আপত্তি তোলেন। অনেকে বর্ণবিদ্বেষের ধ্বনিও তোলেন। কিন্তু অস্বীকার করার জায়গা নেই যে জামাইকানদের উন্নতির নেপথ্যে রয়েছে সেই অঞ্চলের জিনগত প্রভাব। গত কয়েক দশক ধরে দেখা গিয়েছে, পশ্চিম আফ্রিকার বিশেষ অঞ্চলের নির্দিষ্ট একটি জিনের মানুষদের মধ্যেই স্প্রিন্টের দক্ষতা বাকিদের থেকে বেশি রয়েছে। ঠিক যে রকম পূর্ব আফ্রিকার রিফ্ট উপত্যকা থেকে দূরপাল্লার দৌড়বিদেরা উঠে আসেন। ক্যারিবীয় দৌড়বিদদের ক্ষেত্রেও তা প্রযোজ্য।

এই ধরনের জিন থাকা মানুষদের মধ্যে বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্যও লক্ষ করা যায়। ইউরোপীয় বা এশীয়দের থেকে তাঁদের পা লম্বা এবং ধড় ছোট আকারের হয়। এ ছাড়া পেলভিক অঞ্চলের পেশি সরু হয়। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এর সাহায্যে তাঁরা দৌড়নোর সময় পা অনেক বেশি উপরে তুলতে পারেন এবং এক-একটি পদক্ষেপে অনেকটা এগিয়ে যেতে পারেন। স্প্রিন্টের ক্ষেত্রে তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আরও উন্নত গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ওই অঞ্চলের লোকেদের মধ্যে এক বিশেষ ধরনের অ্যানিমিয়ার প্রবণতা রয়েছে। এতে শরীরের হিমোগ্লোবিন কোষগুলি দেখতে কাস্তের মতো হয়ে যায়। ঝাঁকুনির সাহায্যে কোনও কাজ করার সময় পেশি বাড়তি সুবিধা পায়। ফলে স্প্রিন্টিংয়ের সময় সুবিধা হয়। পশ্চিম আফ্রিকায় এ ধরনের রোগে আক্রান্ত হওয়া মানুষদের সংখ্যা বেশি।

জিনের বিষয়টি মেনে নিয়েছেন কুন্তল রায়ও। বাংলার এই অ্যাথলেটিক্স কোচ আনন্দবাজার অনলাইনকে বললেন, “জিনগত ভাবে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের ক্রীড়াবিদেরা বাড়তি সুবিধা পায়। ওদের ওখানে ‘ফাস্ট-টুইচ মাসল’ বা দ্রুত গতিতে শরীর মোচড়ানোর যে পেশি, তা অনেক বেশি থাকে। পাশাপাশি ‘হাইপারট্রফি’ (কোষের আকার বৃদ্ধির কারণে অঙ্গের আকার বৃদ্ধি) বেশি থাকে। আমাদের এখানে কেরলের অ্যাথলিটদের ‘ফাস্ট-টুইচ ফাইবার’ খুব ভাল। কিন্তু তাদের কাছে হাইপারট্রফি বা মাস্‌ল মাস বেশি নেই। যে ১২ সেকেন্ডে ১০০ মিটার দৌড়চ্ছে, তাকে কতটা শক্তি তৈরি করতে হয় ভাবুন।”

তাঁর সংযোজন, “বোল্টের চেহারাটা ভাবুন। রেসের সময় ওর স্টার্ট আর চিতাবাঘের দৌড় শুরু করা প্রায় একই রকম। এখনকার জামাইকান বা আমেরিকার স্প্রিন্টারদের মধ্যেও একই জিনিস দেখি। শারীরিক গঠন একই রকম।”

ইয়োহান ব্লেক।

ইয়োহান ব্লেক। ছবি: এক্স।

জামাইকায় দৌড়ের জনপ্রিয়তা

জামাইকানদের মধ্যে দৌড়ের জনপ্রিয়তা সাংঘাতিক। সেই দেশে ফুটবল বা ক্রিকেট থাকলেও ছোটবেলা থেকে ছেলেমেয়েরা যেন শুধু দৌড়তে চান। আর দৌড়নো মানেই স্প্রিন্ট। জামাইকায় সবচেয়ে বেশি যে প্রতিযোগিতায় ভিড় হয় তার নাম ‘ইন্টার সেকেন্ডারি অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপ’। সংক্ষেপে এই প্রতিযোগিতা পরিচিত ‘দ্য চ্যাম্পস’ নামে। এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে মুখিয়ে থাকেন সে দেশের ছোট থেকে বড় সব ধরনের দৌড়বিদ।

১৯১০ সাল থেকে শুরু হয়েছে ‘দ্য চ্যাম্পস’। কিংস্টন ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে চার দিন ধরে চলে এবং প্রতি দিন ৩০ হাজার মানুষ টিকিট কেটে তা দেখেন। ফুটবলে যে রকম বিভিন্ন দেশে ‘স্কাউট’ থাকেন, যাঁরা প্রতিভা খুঁজে বার করেন, সে রকমই আমেরিকার বিভিন্ন কলেজ থেকে ‘স্কাউট’রা জামাইকা যান। ভাল দৌড়বিদ দেখলেই হল। মোটা অঙ্কের স্কলারশিপ দিয়ে আমেরিকার কলেজে যোগদান এবং ভবিষ্যতে আমেরিকার হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার প্রস্তাব চলে আসে। বোল্ট, ব্লেকের মতো বহু খেলোয়াড় এই প্রতিযোগিতায় নেমেছেন। কেউ আমেরিকার অর্থের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন, কেউ কেউ পারেননি। বোল্ট আত্মজীবনীতে ‘দ্য চ্যাম্পস’ নিয়ে লিখেছেন, “জামাইকার ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে সাফল্যের হৃৎস্পন্দন।’

আর এক দৌড়বিদ ব্লেক বলেছেন, “চ্যাম্পস থেকেই সব শুরু হয়েছিল। ছেলে থেকে পুরুষে পরিণত হওয়া এই প্রতিযোগিতাতেই। বিশ্বের অন্যতম সেরা উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিযোগিতা। ওখানে গেলে দেখতে পাবেন বোল্ট, ফ্রেজ়ার-প্রাইস, ভেরোনিকা, থমসনের মতো প্রতিভাবান দৌড়বিদেরা ঘুরে বেড়াচ্ছে। ওরা প্রত্যেকেই চ্যাম্পস থেকে উঠে এসেছে। জীবনে হার এবং জয়ের মাহাত্ম্য কতটা, সেটা চ্যাম্পসই আমাকে শিখিয়েছে। প্রতিযোগিতার মান অনেক উন্নত। সেরাদের বিরুদ্ধে আপনি দৌড়নোর সুযোগ পান।”

শেলি অ্যান ফ্রেজ়ার-প্রাইস।

শেলি অ্যান ফ্রেজ়ার-প্রাইস। ছবি: এক্স।

জামাইকানদের পায়ের গঠন এবং ভারসাম্য

আমেরিকার নিউ জার্সির রাজার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে একদল গবেষক জানার চেষ্টা করেছিলেন জামাইকার সাফল্যের কারণ। জীববিদ এবং নৃতত্ত্বের অধ্যাপক রবার্ট ট্রিভার্স প্রথম বার জামাইকার দৌড়বিদদের পায়ের গঠন এবং ভারসাম্য নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। সব স্প্রিন্টারদের নিয়ে করা একটি গবেষণায় তিনি দেখেছেন, যাঁদের পায়ের গঠন এবং ভারসাম্য সবচেয়ে ভাল তাঁদের সাফল্যের হারও ততটাই। দৌড়নোর সময় যাঁদের পায়ের ওঠানামা একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি, তাঁরাই বেশি সাফল্য পান। ৭৪ জন বিখ্যাত জামাইকান স্প্রিন্টার এবং ১১৬ জন সাধারণ দৌড়বিদের মধ্যে গবেষণা চালানো হয়েছিল। সবার বয়স, লিঙ্গ, উচ্চতা এবং ওজন একই রাখা হয়েছিল। দেখা গিয়েছিল, যাঁদের পায়ের ভারসাম্য এবং গঠন সবচেয়ে ভাল তাঁরা বেশি সাফল্য পেয়েছেন। সেই গবেষণার মধ্যে ফ্রেজ়ার-প্রাইস, নেস্তা কার্টারের মতো স্প্রিন্টারেরাও ছিলেন।

সঙ্গে রয়েছে শারীরিক গঠনের বিষয়টিও। কুন্তল বললেন, “ক্যারিবীয় দৌড়বিদদের বড় কাঁধ এবং বড় কোয়াড্রিসেপ্‌স মাস্‌‌ল থাকে। প্রত্যেক স্প্রিন্টারের এটা থাকা বাঞ্ছনীয়। নিউটনের তৃতীয় সূত্রের কথা মনে করুন। প্রত্যেক ক্রিয়ার সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া থাকে। সেই অনুপাতে আপনি যখন ভূমিতে আঘাত করছেন, ততটাই পাল্টা আঘাত সে আপনাকে দিচ্ছে। শরীরের পেশির ভর ৭০-৮০ কেজি থাকলে যে শক্তি বেরোবে, সেটা স্বাভাবিক ভাবেই ভাল হবে।”

উচ্চমানের কোচ

তিরিশ লাখেরও কম জনসংখ্যার জামাইকার স্প্রিন্টে সাফল্যের আর একটি কারণ সে দেশে উচ্চমানের কোচ থাকা। প্রধানমন্ত্রী মাইকেল মানলের উৎসাহে ১৯৮০ সালে জিসি ফস্টার কলেজ অফ ফিজ়িক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড স্পোর্টস স্থাপিত হয়। ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে উৎকৃষ্ট কোচ তুলে নিয়ে আসার জন্য সেই প্রতিষ্ঠান যেন একটি কনভেয়র বেল্টে পরিণত হয়েছে।

জামাইকার স্প্রিন্টারেরা বরাবরই বিশ্বমানের। ১৯৬২ সালে তারা ইংল্যান্ডের থেকে স্বাধীনতা পেয়েছে ঠিকই। কিন্তু ১৯৪৮-এর লন্ডন অলিম্পিক্স থেকে পদক জয় শুরু হয়েছে। সে বার ৪০০ মিটারে জামাইকার হয়ে অলিম্পিক্সে প্রথম সোনা জেতেন আর্থার উইন্ট। চার বছর পরে লেসলি লাইং, হার্ব ম্যাকেনলি এবং জর্জ রোডেনের সঙ্গে জুটি বেঁধে ৪*৪০০ মিটার রিলে রেসে বিশ্বরেকর্ড গড়ে সোনা জেতেন। তবে বোল্ট যুগ শুরু হওয়ার পর থেকে জামাইকায় স্প্রিন্টের রমরমা আরও বেড়েছে।

শুধু তা-ই নয়, জামাইকানদের কঠোর পরিশ্রমও রয়েছে বলে মনে করেন জ্যোতির্ময়ী শিকদার। এশিয়ান গেমসে দু’বারের সোনাজয়ী আনন্দবাজার অনলাইনকে বললেন, “ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের খেলোয়াড়দের কঠোর পরিশ্রম ওদের এত সাফল্য এনে দিয়েছে। আসলে ছোটবেলা থেকে ওরা দারিদ্র দেখেই বড় হয়েছে। ওদের কাছে দৌড় ছাড়া আর কিছু নেই। ওরা জানে যে, একমাত্র দৌড় এবং দৌড়ই ওদের ভবিষ্যৎটা ভাল এবং সুরক্ষিত করতে পারে। ওদের কাছে এটাই বড় অনুপ্রেরণা। পাশাপাশি, ওদের কোচিংয়েরও প্রশংসা করতে হবে। অনেকেই আমেরিকা, ইউরোপের দেশগুলোতে অনুশীলন করতে যায়। সেখানে ভাল পরিষেবা পায়।”

অন্য বিষয়গুলি:

Paris Olympics 2024 Usain Bolt Jamaica Shelly Ann Fraser Pryce Sha’carri Richardson
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy