অর্থের টানাটানি, ফুটবল বাজেট বাড়ন্ত। এই পরিস্থিতিতে আই লিগের টিমগুলোকে স্বস্তি দিতে গ্রেডেশন প্রথা বা ‘স্যালারি ক্যাপ’ চালুর প্রস্তাব গৃহীত হল ফেডারেশনের কর্মশালায়।
তবে আই লিগে মার্কি ফুটবলারের বয়স বা নতুন সংজ্ঞা নিয়ে এ দিন কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি এ দিন। ফেডারেশনের টেকনিকাল কমিটিতে আলোচনার পর এগজিকিউটিভ কমিটির সভায় এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে বলে জানা গিয়েছে।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার ফেডারেশনের এই আই লিগ সংক্রান্ত কর্মশালায় গ্রেডেশন বা ‘স্যালারি ক্যাপ’-এর প্রস্তাবটি তোলা হলে তা সমর্থন করে আই লিগে অংশ নেওয়া সব দলের প্রতিনিধিই। এর ফলে প্রতিকূল আর্থিক পরিস্থিতিতে ক্লাবগুলোর সমস্যা যেমন কমবে তেমনই ফুটবলাররাও নিজেদের পারফর্ম্যান্সের ব্যাপারে সতর্ক থাকবে বলে অভিমত ফেডারেশন সচিব কুশল দাসের।
এ ব্যাপারে মোহনবাগানের প্রতিক্রিয়া জানা না গেলেও ইস্টবেঙ্গলের অন্যতম শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকার বলছেন, ‘‘বর্তমানে যে আর্থিক অনটনের মধ্যে ক্লাব চালাতে হচ্ছে তাতে এই পদ্ধতি ছাড়া কোনও রাস্তা খোলা নেই। দীর্ঘদিন ধরেই আমরা এ প্রস্তাব ফেডারেশনে রেখেছি।’’ ফেডারেশনের টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান ভাইচুং ভুটিয়ার প্রতিক্রিয়া, ‘‘গ্রেডেশন কী ভাবে হবে তা আগে জানতে হবে। তবে বিশ্বের কোথাও এই পদ্ধতি ফুটবলে আছে কি না তা জানি না।’’
এ দিনের সভায় মার্কি ফুটবলারের সংজ্ঞা নিয়ে যে আলোচনা হয়েছে, তা এ রকম—২০১০ কিংবা ২০১৪ বিশ্বকাপে খেলা কোনও খেলোয়াড়। মহাদেশীয় কাপে প্রতিনিধিত্ব করা বা ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে প্রথম ৭৫টি দেশের জাতীয় দলে অন্তত দুবছর খেলা ফুটবলার বা বিশ্বের প্রথম ৩৫টা দেশের লিগে খেলা ফুটবলার মার্কি হিসাবে গণ্য হবেন।
সভায় মোহনবাগানের প্রতিনিধি দেবাশিস দত্ত জোরালো সওয়াল করেন ক্লাবগুলোর আর্থিক হাল উন্নতির বিষয়ে। ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলে দেন, ‘‘সবার আগে দেশের ফুটবলে অর্থের জোগান বাড়াতে হবে।’’ ফেডারেশনের টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান ভাইচুংয়ের বক্তব্যও খানিকটা সে রকম। ‘‘মার্কি ফুটবলার আনতে গিয়ে ক্লাবগুলো যাতে আর্থিক ভাবে সমস্যায় না পড়ে সেটাও গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে হবে,’’ বলে মনে করছেন ভাইচুংও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy