শুধু নীলাশ নন, প্রতিযোগিতার সেরা চারের মধ্যে তিন জনই বাংলার। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন উৎসব চট্টোপাধ্যায়। তিনি পেয়েছেন ৭.৫ পয়েন্ট। ৭ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছেন কৌস্তভ চট্টোপাধ্যায়। চতুর্থ রাউন্ডে তামিলনাড়ুর আয়ূষ রবি কুমার ও অষ্টম রাউন্ডে উৎসবের সঙ্গে ড্র করেছেন নীলাশ। বাকি সব ম্যাচে জিতেছেন তিনি।
চ্যাম্পিয়ন নীলাশ সাহা নিজস্ব চিত্র।
জুনিয়র জাতীয় দাবা প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হলেন বাংলার নীলাশ সাহা। গুরুগ্রামে আয়োজিত প্রতিযোগিতায় অপরাজিত থেকে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন তিনি। সুইস সিস্টেমে হওয়া মোট ৯ রাউন্ডের মধ্যে নীলাশ জিতেছেন সাতটিতে। দু’টি রাউন্ডে ড্র করেছেন। মোট ৮ পয়েন্ট নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন তিনি।
জুনিয়র জাতীয় দাবা প্রতিযোগিতা সাধারণত অনূর্ধ্ব-১৯ স্তরে হয়ে থাকে। কিন্তু কোভিডের কারণে গত দু’বছর কোনও প্রতিযোগিতা না হওয়ায় এ বার অনূর্ধ্ব-২০ স্তরে করা হয়েছে এই প্রতিযোগিতা। এই নিয়ে মোট তিন বার জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হলেন নীলাশ। এর আগে অনূর্ধ্ব-১৩ ও অনূর্ধ্ব-১৭ স্তরেও জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন তিনি।
শুধু নীলাশ নন, প্রতিযোগিতার সেরা চারের মধ্যে তিন জনই বাংলার। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন উৎসব চট্টোপাধ্যায়। তিনি পেয়েছেন ৭.৫ পয়েন্ট। ৭ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছেন কৌস্তভ চট্টোপাধ্যায়। চতুর্থ রাউন্ডে তামিলনাড়ুর আয়ূষ রবি কুমার ও অষ্টম রাউন্ডে উৎসবের সঙ্গে ড্র করেছেন নীলাশ। বাকি সব ম্যাচে জিতেছেন তিনি।
এই জয়ের ফলে জুনিয়র এশিয়ান ও জুনিয়র বিশ্ব দাবা প্রতিযোগিতার জন্য ভারতীয় দলে সুযোগ পেয়েছেন নীলাশ। চলতি বছরেই সেই প্রতিযোগিতা হওয়ার কথা।
ছেলের জেতা প্রসঙ্গে নীলাশের বাবা নির্মল সাহা আনন্দবাজার অনলাইনকে বললেন, ‘‘৫ বছর বয়স থেকে ও দাবা শেখে। দুর্গাপ্রসাদ মহাপাত্র এখন ওর কোচ। এ ছাড়া বাংলাদেশে গিয়ে প্রশিক্ষণ নেয়। সূর্য শেখর গঙ্গোপাধ্যায়-সহ অনেকে মাঝে মাঝে ওদের প্রশিক্ষণ দেন। মাত্র সাড়ে ১৪ বছর বয়সে ও রাজ্য সিনিয়র দাবা প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।’’
এর পরে নীলাশের লক্ষ্য কী? অবশ্যই গ্র্যান্ড মাস্টারের যোগ্যতা অর্জন করা। এই মুহূর্তে ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার তিনি। তবে শুধু ব্যক্তিগত সাফল্য নয়, দেশের হয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে প্রতিনিধিত্ব করে সাফল্য আনতে চান নীলাশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy