সুনীল নারিন কি রবিবাসরীয় ইডেনে স্টিভ স্মিথের বিরুদ্ধে বল করছেন?
পরিস্থিতির মহানাটকীয় পরিবর্তন না হলে, উত্তরটা না। নারিন থাকছেন না। ক্যারিবিয়ান অফস্পিনারকে ছাড়াই সম্ভবত রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে নামতে হচ্ছে নাইটদের।
সুনীল নারিন তা হলে কবে থেকে আবার নামবেন?
খুব তাড়াতাড়ি। তাঁকে দ্রুতই চেন্নাইয়ের শ্রী রামচন্দ্র আর্থোস্কোপি অ্যান্ড স্পোর্টস সায়েন্স সেন্টারে পাঠানো হচ্ছে।
শুক্রবার নারিন নিয়ে নতুন ধাক্কার পর কেকেআর সমর্থকদের সম্ভাব্য প্রশ্ন এবং কেকেআর থেকে তার প্রাপ্ত উত্তর।
এ দিন বিকেলে আচমকাই বোর্ড মিডিয়া রিলিজ পাঠিয়ে জানিয়ে দেয়, আবার সন্দেহজনক অ্যাকশনের রিপোর্ট জমা পড়েছে নারিনকে নিয়ে। ২২ এপ্রিল কেকেআর-সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ম্যাচের আম্পায়ারদের মনে হয়েছে, নারিনের কয়েকটা বল সন্দেহজনক। কোন কোন বল, বা ক’টা ডেলিভারি— কিছুই নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি। বলা হয়, আইপিএলে নারিনের বল করা নিয়ে নিষেধাজ্ঞা এখনই জারি হচ্ছে না। ওই সংশ্লিষ্ট ডেলিভারিগুলোর বায়োমেকানিক্যাল পরীক্ষার জন্য তিনি আবেদন করতে পারেন চেন্নাইয়ের শ্রী রামচন্দ্র স্পোর্টস সায়েন্স সেন্টারে। সাধারণ দৃষ্টিতে দেখলে আতঙ্কের কিছু নেই। নারিন বল করে যেতে পারেন মিডিয়া রিলিজে বলে দেওয়া আছে। আতঙ্কটা অলিখিত। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী নারিনের ক্ষেত্রে যদি এমন কিছু আবার হয়, যদি তাঁর বিরুদ্ধে আবার রিপোর্ট জমা পড়ে, তা হলে তাঁকে এক বছরের নির্বাসন ভোগ করতে হবে!
যা কোনও ভাবেই চাইছে না কেকেআর। রাতে কেকেআর সিইও বেঙ্কি মাইসোর আনন্দবাজারকে ফোনে বললেন, ‘‘যদি সামান্যতম সন্দেহও থাকে, আমরা চাইছি সেটা একদম মিটিয়ে ফেলতে।’’ নারিনের কোনও ডেলিভারি নিয়ে যদি এক শতাংশও সন্দেহ থাকে, কেকেআর চাইছে সেটা সম্পূর্ণ শেষ করতে। বলা হচ্ছে, কেকেআরের স্বার্থে এক জন ক্রিকেটারের উপর নির্বাসনের সম্ভাবনা তৈরি হোক, টিম সেটা চায় না। চায়, যত দ্রুত সম্ভব সমস্যা মিটিয়ে ক্যারিবিয়ান স্পিনারকে সংসারে ফিরিয়ে আনতে।
শোনা গেল, রবিবারের রাজস্থান ম্যাচের আগে নারিনকে নিয়ে যাওয়া হবে চেন্নাই। কেকেআরের কোনও কোনও কর্তার বক্তব্য, একটা ম্যাচ না খেলিয়ে যদি নারিনকে সম্পূর্ণ ত্রুটিমুক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়, তাতে খুব ক্ষতি নেই। বলা হচ্ছে নারিন থাকলে তো বটেই, না থাকলেও কেকেআর বোলিং যথেষ্ট ভাল। একটা ম্যাচ তাঁকে ছাড়াও সামলে দেওয়া যাবে। পরিসংখ্যান ধরলে যে ভাবনায় খুব একটা ভুল নেই। কারণ নতুন অ্যাকশন নিয়ে আবির্ভূত হওয়ার পর পাঁচ ম্যাচে উইকেট পেয়েছেন দু’টো। গড় ৭৩.৫। কিন্তু তার পরেও পাঁচ ম্যাচের তিনটেয় জিতেছে কেকেআর। নারিন না পারলেও নাইট বোলিংকে বাকিদের চেয়ে বেশি ক্ষুরধার মনে হয়েছে। জানা গেল বোর্ডের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে যে, নারিন পরীক্ষা দিলে দ্রুত রিপোর্টের ব্যবস্থা করা হবে। কেকেআর যে উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছে।
প্রশ্ন উঠছে শুধু ক্রিকেটমহল থেকে। বলা হচ্ছে, নারিন তো পরীক্ষা দিয়েই আইপিএলে খেলার অনুমতি পেয়েছিলেন। বোর্ড অনুমোদিত চেন্নাইয়ের রামচন্দ্র স্পোর্টস সায়েন্স সেন্টার থেকে। মাত্র তিন সপ্তাহ আগেই পরীক্ষাটা দিয়ে পাশ করেছেন নারিন। তিন সপ্তাহের মধ্যে যদি আবার ত্রুটি ধরা পড়ে, তা হলে তখন হলটা কী?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy