টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তিনি যে কতটা বিপজ্জনক ব্যাটসম্যান, বুধবার চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে ফের প্রমাণ করে দিলেন এবি ডিভিলিয়ার্স। তাঁর ৩০ বলে ৬৮ রানের ইনিংস বুধবার বেঙ্গালুরুর সেরা শো হতে পারত, যদি না বিপক্ষে থাকত মহেন্দ্র সিংহ ধোনি নামের কেউ। জেতার জন্য চেন্নাই সুপার কিংসের লক্ষ্য ছিল ২০৬ রানের। ধোনির ৩৪ বলে ৭০ রানের ইনিংস শুধু যে এবির মতো ভয়ঙ্কর ব্যাটসম্যানের কৃতিত্বকে
ম্লান করে দিল, তাই নয়। দলকে এক কঠিন জয়ও এনে দিল। এবির ঝোড়ো ইনিংস কাজে লাগাতে পারল না রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর।
চিন্নাস্বামীর দর্শকরা ভাগ্যবান। একই রাতে বিশ্বের দুই সেরা ব্যাটসম্যানের সেরা পারফর
ম্যান্স দেখার সৌভাগ্য হল। এক দিকে এবি, যিনি সারা মাঠের ৩৬০ ডিগ্রি জুড়ে মারতে পারেন। যে বলে কভার ড্রাইভ নিতে পারেন, সেই বলেই আবার স্কোয়ার লেগ দিয়ে বা মিড উইকেট দিয়ে চার বা ছয় হাঁকাতে পারেন অনায়াসে। অন্য দিকে ধোনি, যাঁর মাথা বরফের মতো ঠাণ্ডা। স্নায়ু লোহার মতো কঠিন। যে কোনও পরিস্থিতিতে সর্বশক্তি প্রয়োগ করে কঠিন ম্যাচও জেতাতে ধোনির জুড়ি নেই। বুধবার এই দু’টো ব্যাপারই একসঙ্গে দেখতে পেলেন বেঙ্গালুরুর ক্রিকেটপ্রেমীরা।
দাপট: বেঙ্গালুরুতে এবি ঝড়। ৩০ বলে করলেন ৬৮। ছবি: পিটিআই
এবির ভাঁড়ারে যত রকমের অস্ত্র রয়েছে ধোনির হয়তো তত নেই। কিন্তু ধোনির যা মানসিক শক্তি, তা এবি-র আছে কি না সন্দেহ আছে। বুধবার যে অবস্থা থেকে দলকে টেনে তুলে জেতালেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক, তা দেখেই যে কেউ বুঝে নিতে পারবেন, কেন ওঁকে ‘মিস্টার কুল’ বলে ডাকা হয়। পাঁচ ওভারে ৭১ রান দরকার ছিল চেন্নাইয়ের। ওভার প্রতি ১৪ রানেরও বেশি। এই জায়গা থেকে ধোনিই পারে দলকে জেতাতে। শেষ ওভারে ডোয়েন ব্র্যাভোকে সঙ্গে পেয়ে যাওয়ায় আরও জোর পেয়ে যান ধোনি। এতেই তাঁর কাজটা কিছুটা সহজ হয়ে যায়। আর অম্বাতি রায়ডুকে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ছেড়ে দিয়ে কী ভুল করেছে তা নিশ্চয়ই এ দিনই বুঝে নিলেন রোহিত শর্মারা। তবে বিরাট কোহালি শেষ ওভারে কোরি অ্যান্ডারসনকে বল দিয়ে মারাত্মক ভুল করেছেন। ক্রিস ওকসকে খেলালে বোধহয় ভাল হত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy