আই লিগের এখনও এক ম্যাচ বাকি। ফেড কাপ শুরু হয়নি। তার আগেই ট্রেভর জেমস মর্গ্যানকে পরের মরসুমেও কোচিং করানোর প্রস্তাব দিল ইস্টবেঙ্গল। ব্রিটিশ কোচ নিজেও নাকি তাই চাইছেন। তবে ক্লাব সূত্রের খবর, প্রস্তাব দিলেও শিলং লাজং ম্যাচের পর মর্গ্যানের সঙ্গে পাকা চুক্তি হবে।
মঙ্গলবার মাঠে নেমে পড়লেও এক দিন পরে বুধবার ক্লাব তাঁবুতে এসে কর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন তিন বছর পর লাল-হলুদে ফেরা মর্গ্যান। সেখানে সভাপতি-সচিব-ফুটবল সচিব সহ সব শীর্ষকর্তাই উপস্থিত ছিলেন। সেই সভা থেকে বেরিয়ে ফুটবল সচিব সন্তোষ ভট্টাচার্য বলে দেন, ‘‘আমরা মর্গ্যানকে পরের মরসুমে থাকার জন্য বলেছি। শিলং থেকে উনি ফেরার পর চুক্তি হয়ে যাবে। পরের মরসুমে কোন ফুটবলারকে রাখা হবে উনিই ঠিক করবেন।’’ জানা গিয়েছে, মর্গ্যানের কাছে কর্তারা জিজ্ঞেস করেছিলেন, কী কী সাহায্য দরকার? সহকারী বদলাবেন কি না? মেহতাব-র্যান্টিদের কোচ নাকি বলে দিয়েছেন, ‘‘আপাতত যা আছে সব ঠিক আছে। পরে নতুন মরসুম শুরুর আগে এই সব নিয়ে ভাবা যাবে।’’
শুক্রবার শিলং যাচ্ছে ইস্টবেঙ্গল। সেই ম্যাচে রিজার্ভ বেঞ্চে বসে নতুন ইনিংস শুরু করবেন লাল-হলুদের নতুন কোচ। তাঁর এই মরসুমের প্রাথমিক চুক্তির কপি ফেডারেশনের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে ফিরেই ফেড কাপের প্রস্তুতি শুরু করবেন মর্গ্যান। তবে তাঁকে চিন্তায় রেখেছে ফুটবলারদের ক্লান্তি।
আর সে জন্যই প্র্যাকটিসের সময় কমিয়ে দিয়েছেন মেহতাবদের কোচ। বুধবার তিনি মাত্র পঁয়তাল্লিশ মিনিট প্র্যাকটিস করিয়েছেন র্যান্টি-বেলোদের। প্রচণ্ড দাবদাহ চলছে শহরে। সে জন্যই সম্ভবত। লাল-হলুদ কোচ অবশ্য বললেন, ‘‘ফিটনেস নিয়ে কোনও ভাবনা নেই। আমার চিন্তা ফুটবলারদের ক্লান্তি। টানা ম্যাচ খেলায় সব ফুটবলারকেই ক্লান্ত মনে হচ্ছে। তার জন্য আমি ওদের মাত্র পঁয়তাল্লিশ মিনিট প্র্যাকটিস করালাম। চাই শিলং লাজং ম্যাচের আগে সবাই চনমনে হয়ে উঠুক।’’ ফুটবলারদের ক্লান্তির কথা মাথায় রেখেই শিলংয়ের জন্য টিম নির্বাচন করবেন বলে জানিয়েছেন ব্রিটিশ কোচ।
ফুটবলারদের ক্লান্তির পাশাপাশি ডিফেন্ডারদের গোল হজম করাও চিন্তায় রেখেছে ব্রিটিশ কোচকে। আই লিগে এখনও পর্যন্ত সতেরোটা গোল খেয়েছে ইস্টবেঙ্গল। গোল করেছে বাইশটি। সে জন্যই হয়তো ব্রিটিশ কোচ বলছিলেন, ‘‘গোল আটকানোর চেষ্টা করতে হবে। অনেক গোল খেয়ে ফেলছে ডিফেন্ডাররা। সেই জায়গাটা মেরামত করতে হবে।’’
আই লিগে আর কোনও সম্ভাবনা নেই। তাই ফেডারেশন কাপকেই পাখির চোখ করেছেন মর্গ্যান। বলছিলেনও, ‘‘ফেড কাপ না জিতলে এএফসিতে খেলা যাবে না। তাই ওই টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়ন হতেই হবে।’’ এ দিকে বার্নার্ড মেন্ডি এ দিন থেকে ফিজিক্যাল ট্রেনিং শুরু করে দিয়েছেন। ফেড কাপের আগে ফিট হয়ে ওঠাই তাঁর লক্ষ্য।
মোহনবাগান আবার ইস্টবেঙ্গল এবং ডেম্পোর দেখানো পথেই হাঁটতে চাইছে। এই দুই টিম এএফসি কাপের সেমিফাইনাল খেলেছিল। সঞ্জয় সেনও সেটাই চাইছেন। ইতিমধ্যেই এএফসি-র নক আউট পর্বে পৌঁছে গিয়েছে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। তবে তার আগে আই লিগের বেঙ্গালুরু ম্যাচ জিততে মরিয়া বাগান। সনি নর্ডি পুরো ফিট হয়ে উঠেছেন বলে দাবি করছেন নিজেই। এ দিন প্র্যাকটিস ম্যাচে তিনি গোলও করেন। চোট সারিয়ে এ দিনই প্রথম প্র্যাকটিস ম্যাচ খেললেন সনি। বলেছেন, ‘‘চোট থেকে ফেরার লড়াই খুবই কঠিন। আমি নানা ভাবে নিজেকে মোটিভেট করার নিজেই চেষ্টা করেছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy