ফিলিপ আজা। —ফাইল চিত্র
মহমেডান ৩ • অয়েল ইন্ডিয়া ১
বৃহস্পতিবার গুয়াহাটির জহওরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধেই মহমেডান এগিয়ে যায় ১-০। শুরু থেকেই ভয়ঙ্কর ছিলেন ঘানার স্ট্রাইকার ফিলিপ। বিরতির পরে চার মিনিটের ব্যবধানে পরপর দুটি গোল করে জয় নিশ্চিত করে দেন তিনিই। কলকাতা লিগেও দুর্দান্ত খেলেছিলেন ফিলিপে। গুয়াহাটি থেকে রাতে ফোনে উচ্ছ্বসিত মহমেডান কোচ রঘু নন্দী বললেন, ‘‘চোরাগতি কাজে লাগিয়েই গোল দুটো করেছে ফিলিপ। আমাদের দল আজ সেরা ম্যাচ খেলেছে।’’ ম্যাচের সেরাও হন ফিলিপ। খেলা শেষ হওয়ার তিন মিনিট আগে অয়েল ইন্ডিয়ার হয়ে ব্যবধান কমান মিলন বোরো।
মরসুমের প্রথম ট্রফি জয় মহমেডান উৎসর্গ করল অসমে কয়েক দিন আগে নিহত পাঁচ বাঙালিকে। রঘু বললেন, ‘‘আমরা অসমে এসে ট্রফি নিয়ে যাচ্ছি বাংলায়। জয়টা তাই উৎসর্গ করছি নিহত পাঁচ বাঙালি ও তাঁদের অসহায় পরিবারকে।’’ মহমেডানের প্রতিপক্ষ অয়েল ইন্ডিয়ায় কোনও বিদেশি ফুটবলার ছিলেন না। তাদের কোচ ছিলেন এক বাঙালি সুব্রত ভট্টাচার্য (জুনিয়র)। যিনি এক সময় মহমেডানেও কোচিং করিয়েছেন। এ দিন সুব্রতর দল অবশ্য দাঁড়াতেই পারেনি মহমেডানের বিরুদ্ধে। গোলে লাল্টু মণ্ডল, অসীম দে, সত্যম শর্মা, কামরান ফারুখ ভাল খেলেন।
সপ্তাহখানেক আগে নগাঁও ইন্ডিপেন্ডেন্টস কাপে ফাইনালে উঠেও চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি মহমেডান। বরদলৈ জেতার লক্ষ্যে কলকাতা প্রিমিয়ার লিগের বিভিন্ন ক্লাব থেকে কয়েকজন ফুটবলারকে দলে নিয়েছিলেন রঘু। বলছিলেন, ‘‘বড় দলের কোচিং করিয়ে প্রথম ট্রফি জয়। তবে ওদের বিদেশি ছিল না বলে আমাদের সুবিধা হয়েছিল।’’ আর কোচের পাশে বসে ফোনে ফিলিপের মন্তব্য, ‘‘নগাঁও-এ ফাইনালে উঠেও জিততে পারিনি। ভারতে খেলতে এসে এটা আমার প্রথম ট্রফি। দুটো গোল করেছি। হ্যাটট্রিকও করতে পারতাম।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy