Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
East Bengal

সাদার্নকে হারিয়ে কলকাতা লিগে তিন নম্বরে ইস্টবেঙ্গল

কোচ হিসেবে প্রথম বার ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে নামেন মেহতাব। এক সময় যিনি ছিলেন লাল-হলুদের ফুসফুস, তাঁর সামনেই আজ ইস্টবেঙ্গলের মাঝমাঠে ফুল ফোটালেন কোলাডো।

আবার গোল পেলেন কোলাডো। -ফাইল চিত্র

আবার গোল পেলেন কোলাডো। -ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৮:০৪
Share: Save:

ইস্টবেঙ্গল-২, সাদার্ন সমিতি- ১

(বিদ্যাসাগর ৩২’, কোলাডো ৬২’) (অর্জুন টুডু ৮১’)

বৃহস্পতিবার জিতে লিগের তিন নম্বরে উঠে এল ইস্টবেঙ্গল। কলকাতা লিগের ম্যাচে মেহতাব হোসেনের সাদার্ন সমিতিকে হারিয়ে দিল তারা। ২-১ গোলে জয় পেল লাল-হলুদ। অধিনায়ক ডিডিকার কর্নার থেকেই এল দু’টি গোল। সাদার্নের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন অর্জুন টুডু।

কোচ হিসেবে প্রথম বার ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে নামেন মেহতাব। এক সময় যিনি ছিলেন লাল-হলুদের ফুসফুস, তাঁর সামনেই আজ ইস্টবেঙ্গলের মাঝমাঠে ফুল ফোটালেন কোলাডো। আরেকজনের জন্যও এই ম্যাচ ছিল নিজেকে প্রমাণ করার। তিনি আল আমনা। সাদার্নের একমাত্র তাঁর পায়ে বল পড়লেই গতি পাচ্ছিল তাদের খেলা। পৌঁছেও গিয়েছিলেন বেশ কয়েক বার গোলের সামনে কিন্তু কাজের কাজটা করতে পারেননি।

প্রথমার্ধে ৩২ মিনিটের মাথায় এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। কর্নার পেয়েছিল লাল-হলুদ। অধিনায়ক ডিডিকা আজ ছিলেন দারুণ ফর্মে। তাঁর প্রতিটা সেট পিসে বিষ মাখানো ছিল আজ। সেরকমই এক বাঁক খাওয়া কর্নার কিক উড়ে আসে সাদার্নের গোল লক্ষ্য করে। সেই বলে মাথা ছুঁয়ে দেন খেইমে সান্টোস কোলাডো। বল চলে আসে বিদ্যাসাগরের কাছে। ভুল করেননি তিনি। হেড করে বল পাঠিয়ে দেন গোলে।

আরও পড়ুন: বিশ্বকাপ কোয়ালিফায়ার: ফুটবলার হয়ে ভারতকে বিধ্বস্ত করা সেই কোম্যান আজ পরীক্ষা নেবেন সুনীলদের

আরও পড়ুন: অঘটন ঘটানোর আশায় সুনীল থেকে গুরপ্রীত

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিল ইস্টবেঙ্গল। ৬২ মিনিটে ব্যবধান বাড়ান কোলাডো। আবার সেই ডিডিকার কর্নার এবং জোরালো হেডে বল গোলে পাঠান কোলাডো। বাজ পাখির ক্ষিপ্রতায় হেড করেন তিনি। ৪৮ মিনিটের মাথায় কোলাডোর জোরালো শট কোনও রকমে তালুবন্দি করেন সাদার্ন গোলরক্ষক ঈশান দেবনাথ।৬০ মিনিটের মাথায় সহজ সুযোগ নষ্ট করেন পিন্টু মাহাতো। না হলে ব্যবধান আরও বাড়তে পারতো। ডার্বিতে দুর্দান্ত খেলা কাশিম আইদারাকে সাদার্নের বিরুদ্ধে শুরু থেকে নামাননি মেনেন্দেজ। আইদারা নামার এক মিনিটের মধ্যেই ২-০ এগিয়ে যায় লাল-হলুদ।

মেহতাবের দলের হয়ে এক মাত্র গোলটি করেন অর্জুন টুডু। খেলার নয় মিনিট বাকি তখন। বার বার আক্রমণে উঠতে থাকা সাদার্ন হঠাৎ-ই সুযোগ পেয়ে যায়। একক প্রচেষ্টায় দুরন্ত গোল করেন অর্জুন। ইস্টবেঙ্গল গোলের বাঁপ্রান্তে বল পেয়ে ডান পায়ের ইনস্টেপ কাজে লাগিয়ে ভেতরে ঢুকে আসেন তিনি। তারপর এক জোরালো শটে বল জালে জড়িয়ে দেন। তাঁকে আটকানোর কোনও সুযোগই পাননি ডিফেন্সে প্রাচীর হয়ে ওঠা বোরহা। এরপরেই ইস্টবেঙ্গলকে চেপে ধরে মেহতাবের দল। একের পর এক সুযোগ তৈরি করতে থাকে তাঁরা। কিন্তু গোল আসেনি। পাল্টা আক্রমণে গোল তুলে নিতে পারতো ইস্টবেঙ্গলও। কিন্তু কর্দমক্ত মাঠে বার বার আটকে যায় তাঁরা।

নতুন আসা বিদেশি হুয়ান মেহরা গঞ্জালেসকে ৭১ মিনিটে মাঠে নামান লাল-হলুদ কোচ। কোলাডোর পরিবর্তে মাঠে আসেন তিনি। বাঁ পায়ে একটি গোলার মতো দূরপাল্লার শট নেন নেমেই। শিকারি বাঘের মতো সুযোগ খুঁজছিলেন গোলের। কিন্তু রক্তের স্বাদ পাওয়া হল না তাঁর। পাঁচ ম্যাচে দশ পয়েন্ট নিয়ে ইস্টবেঙ্গল ছুঁয়ে ফেলল লিগ টেবলের এক ও দু’নম্বরে থাকা পিয়ারলেস ও ভবানীপুরকে। পয়েন্ট সমান হওয়া সত্ত্বেও গোল পার্থক্যে পিছিয়ে থাকায় তৃতীয় স্থানে ইস্টবেঙ্গল। বৃষ্টির জন্য দেরিতে শুরু হয় খেলা। ভেজা মাঠে আগের দিন দুরন্ত খেলেছিল ইস্টবেঙ্গল। এদিনও দেখা গেল সেই ঝলক। খেলার মাঝ পথে বৃষ্টি নামলেও তা বিপদ সৃষ্টি করেনি।

অন্য বিষয়গুলি:

East Bengal CFL 2019
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE