মেরি কম
মুখ খুললেন ছ’বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন বক্সার মেরি কম। জুনিয়র বিশ্বচ্যাম্পিয়ন নিখাত জ়ারিন তাঁকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন, অলিম্পিক্স কোয়ালিফায়ার্সে যোগ্যতা অর্জন করতে তাঁর বিরুদ্ধে ট্রায়ালে লড়তে। জ়ারিনকে সমর্থন জানিয়েছেন অলিম্পিক্সে সোনাজয়ী শুটার অভিনব বিন্দ্রা। মেরি পরিষ্কার বলে দিলেন, বক্সিং ফেডারেশন চাইলে তিনি ট্রায়াল দিতে রাজি। জ়ারিনকে ভয় পান না। একহাত নিলেন বিন্দ্রাকেও। বললেন, বক্সিং নিয়ে অলিম্পিক্সে সোনাজয়ী শুটারের কোনও কিছু বলা ঠিক নয়।
অভিনবকে আক্রমণ করে মেরি বলেছেন, ‘‘বিন্দ্রার অলিম্পিক্সে সোনা আছে। আমিও বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে অনেক সোনা জিতেছি। বক্সিংয়ের ব্যাপারে নিজেকে জড়ানোটা ওর কাজ নয়। আমি শুটিং নিয়ে কখনও কথা বলি না। বিন্দ্রারও চুপ থাকা কাম্য। ও তো বক্সিংয়ের নিয়মই জানে না।’’ যোগ করেন, ‘‘শুধু নিয়ম নয়, বিন্দ্রা বক্সিংয়েরই কিছু জানে না। আমার তো মনে হয় না যে, প্রতিটি শুটিং টুর্নামেন্টের আগে অভিনব নিজেও ট্রায়াল দিত বলে।’’
মেরির বিরুদ্ধে ট্রায়ালে নামতে চেয়ে জ়ারিন কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী কিরেন রিজিজুর কাছে চিঠি লিখেছেন। তিনি অবশ্য বলেছেন, দল নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে জড়াতে চান না কারণ সেটা অলিম্পিক্স সনদের বিরোধী। একই সঙ্গে এটাও অবশ্য জানান, নিবার্চন যাতে পক্ষপাতহীন হয়, তার জন্য ফেডারেশনকে অনুরোধ করবেন। জ়ারিন মন্ত্রীর এইটুকু প্রতিশ্রুতিতেই খুশি। এ’বছরই ইন্ডিয়া ওপেনে মেরির সঙ্গে লড়াই হয় জ়ারিনের। সেমিফাইনালের সেই ম্যাচে বিজয়ী হন কিংবদন্তি বক্সার।
জ়ারিনের চ্যালেঞ্জ প্রসঙ্গে মেরি বলেছেন, ‘‘নিখাত জ়ারিনের সঙ্গে লড়তে ভয় পাই না। তবে এ’ব্যাপারে সিদ্ধান্ত যা নেওয়ার বক্সিং ফেডারেশন নেবে। নিয়ম বদল করার ক্ষমতা হাতে নেই। শুধু রিংয়ে নেমে লড়তে পারি। ফেডারেশন যেটা বলবে, সেটাই মেনে নেব। ওকে ভয় পাই না। ট্রায়ালে লড়তেও অসুবিধে নেই।’’ এখানেই থামেননি কিংবদন্তি বক্সার। আরও বলেন, ‘‘সাফ গেমসের পর থেকে ওকে (জ়ারিনকে) বহু বার হারিয়েছি। তবু ও চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আসছে। এ সবের মানে কী? ওর সঙ্গে লড়া মানে তো নিয়মরক্ষা। ফেডারেশন ভাল করেই জানে, অলিম্পিক্সে কার পদক জয়ের ক্ষমতা আছে।’’
মেরি ঘুরিয়ে বলেছেন, বক্সিং মহলে অনেকেই তাঁকে হিংসে করেন। ‘‘অনেকে আমাকে হিংসে করে। আগেও আমার সঙ্গে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। আসল ব্যাপার, রিংয়ে নেমে কেমন লড়লেন। তা ছাড়া ফেডারেশন মাঝেমধ্যেই আমাদের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে বিদেশে পাঠায়। সেই সব সফরেও কিন্তু সোনা জিতে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করে দেখাতে হয়।’’ মেরি যোগ করেছেন, ‘‘ব্যক্তিগত ভাবে জ়ারিনের প্রতি কোনও রাগ নেই। হতে পারে ভবিষ্যতে ও ভাল ফল করবে। এখন দেখা উচিত, মেয়েটা কী করে আরও অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে। সেই সঙ্গে কঠিনতম লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুতিটা দরকার। আমি ২০ বছর ধরে বক্সিং লড়ছি। আমাকে চ্যালেঞ্জ জানানো সহজ, কিন্তু ভাল কিছু করাটা কঠিন।’’
বক্সিং ফেডারেশন আগে জানিয়েছিল, বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা বা রুপো পেলেই একমাত্র অলিম্পিক্স কোয়ালিফায়ার্সের জন্য আগামী বছর মহিলা বক্সারদের চিনে পাঠানো হবে। পরে ইঙ্গিত দেয়, মেরি কম বিশ্ব আসরে ব্রোঞ্জ পেলেও তাঁর পারফরম্যান্সে তারা সন্তুষ্ট। ধরেই নেওয়া হচ্ছে, ৫১ কেজিতে লড়ার জন্য চিনে মেরিকেই পাঠানো হবে। যদিও পুরুষদের ক্ষেত্রে সোনা বা রুপো নয়, কোয়ালিফায়ার্সে পাঠানো হবে বিশ্ব আসরে ব্রোঞ্জ জিতলেও। ফেডারেশনের এ রকম নীতিকে সমর্থন করেননি মেরি। বলেছেন, ‘‘পুরুষ, মহিলা—সবার জন্য এক নিয়ম থাকা উচিত। তাই আবার বলছি, ট্রায়ালে নামা নিয়ে আমারও কোনও সমস্যা নেই। ফেডারেশন বললে অবশ্যই আমি জ়ারিনের বিরুদ্ধে
ট্রায়ালে লড়ব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy