বিশ্ব ফুটবলের বৃহত্তর কেলেঙ্কারির পর তৎকালীন ফিফা প্রেসিডেন্ট সেপ ব্লাটারকে তুলোধোনা করে ছেড়েছিলেন। এ বার উয়েফা প্রেসিডেন্ট মিশেল প্লাতিনিও রেহাই পেলেন না।
দিয়েগো আর্মান্দো মারাদোনাকে আর থামানো যাচ্ছে না। ব্লাটারের মতো প্লাতিনিও এখন তাঁর চক্ষুশূল।
বরং ফুটবল-কিংবদন্তির মনে হচ্ছে, আর কিছু না হোক, কী করে চুরি করতে হয় সেটা প্লাতিনিকে খুব ভাল ভাবে শিখিয়ে গিয়েছেন ব্লাটার!
‘‘এই যে ওরা দেখায় ওদের মধ্যে কোনও সম্পর্ক নেই, একজন ফিফায় আছে, একজন উয়েফায় ব্যাপারটা পুরো হাস্যকর। ঘটনা হল, ওরা সব সময়ই একসঙ্গে ছিল, আছে, থাকবে,’’ এক টিভি চ্যানেলে মঙ্গলবার বিস্ফোরণ ঘটান মারাদোনা। শুধু তাই নয়, আরও বলে দেন, ‘‘আমি ফিফায় নেই কেন, বোঝা তো খুব সহজ। ব্লাটার বলে যে লোকটা আছে সে আমার সামনে ঢোকার সমস্ত রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছিল। তো কী হল? ও এখন জেলে বসে আছে। আর আমি টিভিকে কথা বলছি। বোঝাই যাচ্ছে চোরটা কে। ব্লাটার ফুটবলের অনেক ক্ষতি করেছে। আর প্লাতিনি তো প্রহসন! মিথ্যেবাদী। ব্লাটার একটা জিনিসই প্লাতিনিকে শিখিয়েছে। সেটা হল কী ভাবে চুরি করতে হয়।’’
এবং ছিয়াশির বিশ্বজয়ী আর্জেন্তিনীয় শুধুমাত্র ব্লাটার-প্লাতিনির দিকেই গোলাগুলি নিক্ষেপ করে থামেননি। ক্ষোভ-বর্ষণের নিশানা ঘুরিয়ে দিয়েছেন নিজের পুরনো ক্লাব নাপোলির দিকেও। প্রসঙ্গ— কোচ বদল। মারাদোনার মনে হচ্ছে, রাফা বেনিতেজকে ছেড়ে দিয়ে মারাত্মক ভুল করেছে নাপোলি। যার খেসারত নাকি জঘন্য পারফরম্যান্স দিয়ে দিতে হচ্ছে। বর্তমান কোচ মরোজিও সারিকে দিয়ে কোনও কাজ হবে বলে তিনি মনে করেন না। ‘‘আমি হলে তো বেনিতেজকে রেখে দিতাম। এখন তো চোখের সামনেই দেখা যাচ্ছে বেনিতেজ কী পারে না পারে। রিয়ালে তো দুর্দান্ত করছে ও।’’ সঙ্গে তাঁর সংযোজন, ‘‘সারিকে সম্মান করেই বলছি, ওকে দিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়া সম্ভব নয়। খুব খারাপ খেলছে টিমটা। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা ডিফেন্সের।’’ আর যদি এ ভাবেই চলে তা হলে কে চ্যাম্পিয়ন হতে পারে, তারও একটা ইঙ্গিত ছেড়ে রেখেছেন মারাদোনা।
নাপোলির প্রশ্নই নেই। রোমা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy