চর্চায়: ক্রিকেট বন্ধ, ধোনিকে নিয়ে আলোচনা চলছেই। ফাইল চিত্র
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবং মহেন্দ্র সিংহ ধোনি, দু’জনের নেতৃত্বেই খেলেছেন তিনি। ভারতের সফলতম দুই অধিনায়কের মধ্যে অনেক জায়গাতেই মিল রয়েছে বলে তিনি মনে করেন। তিনি— ভারতের প্রাক্তন পেসার জাহির খান।
একটি ইউ টিউব ‘চ্যাট শো’-তে জাহির বলেন, ‘‘আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলোয়াড় জীবন শুরু করার পরে সমর্থন পাওয়াটা খুব জরুরি। কী ভাবে উন্নতি করতে হবে সেটা যার যার নিজের ব্যাপার। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে পাশে দাঁড়ানোর খুব প্রয়োজন।’’ দলের খেলোয়াড়দের কতটা সমর্থন করতেন দুই অধিনায়ক সে প্রসঙ্গে জাহির বলেন, ‘‘দু’জনেই দীর্ঘ দিন ভারতকে নেতৃত্ব দিয়েছে। এম এস (ধোনি) যখন অধিনায়ক হল, তখন অনেক সিনিয়র ক্রিকেটার ছিল দলে, যাদের আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাই ওদের তৈরি করার কাজটা করতে হয়নি ওকে। কিন্তু যখন এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটারেরা অবসর নিতে শুরু করল, দলে তরুণ ক্রিকেটাররা আসতে থাকল, তখন দাদার (সৌরভ) মতো এম এসও একই ভূমিকা পালন করেছিল।’’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘‘ভারতীয় ক্রিকেটে প্রত্যেক দশকে এক জন অধিনায়ক পরের অধিনায়কের হাতে ব্যাটনটা তুলে দিয়েছে এবং পরের অধিনায়ক দলকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে।’’
অধিনায়কত্বের পাশাপাশি ধোনির ম্যাচ শেষ করে ওঠার দক্ষতার প্রশংসা আবার শোনা গেল তাঁর আইপিএল দল চেন্নাই সুপার কিংসের সতীর্থ ফ্যাফ ডুপ্লেসির মুখেও। ডুপ্লেসি বলেছেন, গত বছর আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে ইনিংসেই স্পষ্ট, ধোনি কতটা দক্ষ ফিনিশার। ‘‘ধোনি সিএসকের সঙ্গে প্রথম থেকেই রয়েছে। আমার মনে হয় ও-ই সেরা ফিনিশার। এত বছর ধরে দেখেছি কী করে ও এক সঙ্গে ইনিংস গড়ে তোলে এবং ম্যাচ শেষ করতে পারে,’’ সিএসকের টুইট করা ভিডিয়োয় বলেন তিনি। সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন অধিনায়ক আরও বলেছেন, ‘‘গত বছর আরসিবির বিরুদ্ধে ম্যাচে এক সময় আমাদের মনে হয় ৬০ রানে ছ’টা কী সাতটা উইকেট পড়ে গিয়েছিল, মনে হচ্ছিল ৯০ রানের মধ্যেই আমাদের ইনিংস শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু ধোনি সেই সময় ক্রিজে ছিল। সব চাপটা ও নিজেই নিয়ে নিল। তার পর ছক্কার পরে ছক্কা মারতে শুরু করল। এমন ছক্কা মারল যে স্টেডিয়ামের বাইরে চলে গেল বল। শেষ পর্যন্ত ৪০-এর কাছাকাছি বলে ৮৭ রান করেছিল ও। শেষ ওভারে মনে হয় জেতার জন্য আমাদের ২৬ রান করতে হত। ম্যাচটা শেষ হওয়ার পরেও আমাদের বিশ্বাস হচ্ছিল না! যা দেখলাম সেটা সত্যি তো!’’
সেই ম্যাচে সিএসকে ১৬২ রান তাড়া করতে নেমে পাওয়ার প্লে-র মধ্যেই চার উইকেট হারিয়েছিল। এর পরে ধোনি বিধ্বংসী ব্যাটিং করতে শুরু করেন। ৪৮ বলে ৮৪ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। যদিও ম্যাচটা সিএসকে এক রানে হেরে যায়।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy