লিয়োনেল মেসি ফাইল চিত্র
লিয়োনেল মেসি পিএসজিতে সই করার কিছুক্ষণের মধ্যেই প্যারিসে ৩০ নম্বর জার্সি নিয়ে কাড়াকাড়ি শুরু হয়ে যায় অনুরাগীদের মধ্যে। প্যারিস সঁ জঁ মেসির জার্সি বিক্রি শুরু করতেই তা শেষ হয়ে যায় মাত্র ৩০ মিনিটে। প্রায় আট হাজার কিলোমিটার দূরে মেসির জার্সি বিক্রিতে পিছিয়ে নেই কলকাতাও। ময়দান মার্কেটের চিত্রটাও অনেকটা একই রকম।
কলকাতায় পিএসজি-র রেপ্লিকা জার্সি পাওয়া যাচ্ছে না। চাহিদা এমনই, প্রায় দ্বিগুণ দাম হাঁকছেন বিক্রেতারা। ৮০০ থেকে ১০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে পিএসজি-র জার্সি। তারপর বাড়তি খরচ, সেই জার্সিতে মেসির নাম ও ‘৩০’ লেখানোর জন্য।
বার্সেলোনা ছেড়ে মেসি পিএসজি-তে যাওয়ার পরই সেই ক্লাবের জার্সি বেশি করে তুলতে থাকেন বিক্রেতারা। তাতেও টানাটানি। বিক্রেতা মহম্মদ রাজু খান বললেন, ‘‘আগে কোনও প্রতিযোগিতা, বা খেপের মাঠে খেলার জন্য পিএসজি-র জার্সি চাইত উদ্যোক্তারা। কিন্তু এখন মেসি পিএসজি-তে সই করার পর আমরা আর এই ক্লাবের জার্সির জোগান দিয়ে উঠতে পারছি না।’’
অভিযোগ রয়েছে কালোবাজারির। মেসি ভক্ত ফুটবলার সুপ্রতিম দাস বললেন, ‘‘চাহিদা রয়েছে, জোগান নেই। ফলে যা হওয়ার তাই হচ্ছে। দাম বেশি চাইছে। আমিও এসেছিলাম। চড়া দাম চাইছে।’’
সুপ্রতীমের অভিযোগ যে ভুল নয়, বোঝা গেল কিছুক্ষণ মধ্যেই। এক দোকানে পিএসজি-র জার্সির দাম জিজ্ঞাসা করা হলে দোকানদার বললেন, ‘‘৮০০ টাকা’’। তাঁর বক্তব্য, বাকিরা ১০০০ টাকায় এই জার্সি বিক্রি করেছেন। তিনি ‘কম’ দাম চাইছেন।
জার্সি কেনার পর তার পিছনে মেসির নাম ও ৩০ নম্বর লেখাতে ভিড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা। ময়দান মার্কেটের বিভিন্ন জায়গায় চলে জার্সির ওপর এই নাম ও নম্বর লেখার কাজ।
এইসবেরই দোকান রয়েছে মহম্মদ আরিফের। তিনি বলেন, ‘‘আমি গত কয়েক দিনে কত বার যে মেসির জার্সি প্রিন্ট করেছি, তার ঠিক নেই। পিএসজি-র জার্সি এলেই শুধু ৩০ নম্বর আর মেসির নাম লিখে যাচ্ছি।’’
কলকাতার ময়দান মার্কেটের সঙ্গে পিএসজি-র পার্ক দ্য প্রাঁস-এর খুব বেশি তফাৎ নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy