শেষযাত্রায় অমল দত্ত। ছবি: উত্পল সরকার।
শেষযাত্রায় শায়িত অমল দত্তের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ভিড় নামল সাধারণ মানুষের। অমল দত্তের মৃত্যুতে সোমবার শ্রদ্ধা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিল সকাল সাড়ে ৭টায় অমল দত্তের বাগুইআটির থেকে তাঁর মরদেহ নিয়ে যাত্রা শুরু হয়। প্রথমে দেহ নিয়ে যাওয়া হয় গণেশ টকিজে কোচের পুরনো বাড়িতে। এর পর তা রবীন্দ্রসদনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সাধারণের শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের জন্য সেখানেই দুপুর ২টো পর্যন্ত দেহ শায়িত থাকবে। এর পর তা নিয়ে যাওয়া হবে ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান তাঁবুতে নিয়ে যাওয়া হবে। বিকেলে তাঁর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে নিমতলা শ্মশানঘাটে।
অমল দত্তের শেষযাত্রায় সামিল ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী লক্ষ্মীরতন শুক্ল, পূর্ণেন্দু বসু, তৃণমূল সাংসদ দোলা সেন-সহ বেশ কয়েক জন প্রাক্তন ফুটবলাররা। ছিলেন প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় ও সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের মতো অমল দত্তের ছত্রছায়া বেড়ে ওঠা তাঁর প্রাক্তন ছাত্ররা। এ দিন উত্তরবঙ্গে সফরের আগে সাড়ে ১১টা নাগাদ রবীন্দ্র সদনে যান মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই অমল দত্তকে শেষশ্রদ্ধা জানান তিনি। তিনি বলেন, “অমল দত্ত একজন দক্ষ ও ডেডিকেটেড কোচ ছিলেন। ওঁর মৃত্যু এক অপূরণীয় ক্ষতি। আমি কলকাতার মেয়রকে অনুরোধ করেছি শহরের রাস্তা ও স্টেডিয়াম অমল দত্ত, শৈলেন মান্নাদের নামে করে দিতে।”
ফুটবলার হিসেবে ময়দানে নেমে দেশের অন্যতম সফল কোচ। বর্ণময় নানা ঘটনায় সমৃদ্ধ জীবন। ছয়ের দশকে ভারতীয় ফুটবলকে নয়া উচ্চতায় নিয়ে গিয়ে ডায়মন্ড সিস্টেমের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন অমল দত্ত। সে কথা উল্লেখ করে এ দিন ভাইচুং ভুটিয়া বলেন, “নিজের সময়ের থেকে অনেকটাই এগিয়ে ছিলেন অমল দত্ত। ইউরোপে এখন ডায়মন্ড সিস্টেমে খেলা হয়। আর তিনি তা অনেক আগেই করে দেখিয়েছিলেন।” প্রাক্তন ফুটবলার ও এখনকার আর এক সফল কোচ সুভাষ ভৌমিক বলেন, “ভারতীয় ফুটবলে আধুনিকতা আনার চেষ্টা করেছেন অমল দত্ত।”
আরও পড়ুন
কোন অমল দত্ত মনে পড়বে? এক না দুই?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy