অতিরিক্ত সময়ে জয়ের গোল পাওয়ার পর কলকাতার উচ্ছ্বাস। ছবি: সংগৃহিত।
গোয়া ১ (মান্দাররাও দেশাই)
কলকাতা ২ (বেলেনকোসো, পিয়ারসন)
গোয়ার মাঠে নাটকীয় জয় অ্যাটলেটিকো দ্য কলকাতার। শুরু করেছিলেন বেলেনকোসো, শেষ করলেন পিয়ারসন। মাঝে মান্দাররাও দেশাইয়ের গোলে ম্যাচে ফিরেও এসেছিল এফসি গোয়া। কিন্তু শেষ বেলায় বাজিমাত কলকাতারই। ২৮ মিনিটে জুয়ান কার্লোস রডরিগেজ বেলেনকোসোর গোলে এগিয়ে গিয়েছিল কলকাতা।
রবার্ট ও অবিনাশ রুইদাসের বোঝাপড়ায় বল নিয়ে ভাল জায়গায় পৌঁছে গিয়েছিলেন অবিনাশ। সেখান থেকেই মাপা ক্রস পেয়ে যান বেলেনকোসো। গোয়ার দুই ডিফেন্ডার দেবব্রত রায় ও ডুমাসের মাঝখানে ফাঁকায় দাঁড়িয়েছিলেন বেলেনকোসো। সেখান থেকেই বেলেনকোসোর হেড সরাসরি চলে যায় গোলে। এর পরই নিশ্চিত গোলের সুয়োগ নষ্ট করেন হেল্ডার পোস্তিগা। আবারও সেই রুইদাসের মাপা ক্রস। কিন্তু কাজে লাগাতে পারলেন না পোস্তিগা। ৩৩ মিনিটে নিশ্চিত গোলের সুযোগ নষ্টের পর ৪১ মিনিটে আবারও সেই দৃশ্যেরই অ্যাকশন রিপ্লে দেখা গেল।
কলকাতা প্রথমার্ধ শেষ করে ১-০ গোলে এগিয়ে থেকেই। দ্বিতীয়ার্ধেও কলকাতার গোল মিসের পালা চলতেই থাকে। এ বার পোস্তিগার ক্রস থেকে বেলেনকোসোর মিস। এর পর ৬৬ মিনিটে এক সঙ্গে রক্ষণে দেবব্রতকে তুলে রাজু গায়কোয়াড়কে ও ফরোয়ার্ডে কেনান আলমেইরাকে তুলে রবিন সিংহকে নামিয়ে ম্যাচের হাল ধরার চেষ্টা করেন গোয়া কোচ জিকো। তাঁর মধ্যে হলুদ কার্ড দেখে বসেন কলকাতা গোলকিপার দেবজিৎ। বাইরে এসে বল ধরে। গোলও খেয়ে যেতে পারত তখন। যদি না অর্ণব মণ্ডল থাকতেন। কিন্তু ৮০ মিনিটে গোয়াকে সমতায় ফেরান মান্দার রাও দেশাই।
যখন ভাবা হচ্ছে এখানেই শেষ তখনই বাজিমাত অ্যাটলেটিকো কলকাতার। দ্বিতীয়ার্ধের অতিরিক্ত সময়ে সামেঘ দ্যুতির পাস থেকে কলকাতাকে জয় এনে দেন স্টিফেন পিয়ারসন। গোয়াকে হারিয়ে ১২ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এল কলকাতা। শেষেই থেকে গেল গোয়া।
আরও খবর
চেন্নাইকে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করল মুম্বই
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy