অন্য মেজাজ। ক্যাপ্টেনের সঙ্গে। ছবি টুইটার
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি আসার মঞ্চ এর চেয়ে স্বপ্নিল হয়তো হতে পারত না। একে ঘরের মাঠ, তার উপর গ্যালারিতে হাজির পরিবার। সর্বোপরি, টিমকে বিপদ থেকে টেনে তুলে জয়ের একেবারে দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া একটা ইনিংস। এমনি এমনিই কি রবিবার পুণের ইনিংসকে ‘স্পেশ্যাল ওয়ান’ বলছেন কেদার যাদব?
‘‘অসাধারণ অনুভূতি। দেশের হয়ে খেলা, ঘরের মাঠে সেঞ্চুরি করা আর টিমের জয়। প্রচণ্ড গর্ব হচ্ছে, কারণ আমার গোটা পরিবার— আমার মা, বাবা, স্ত্রী, মেয়ে— সবাই গ্যালারিতে ছিল। আমি চেয়েছিলাম ভাল কিছু করতে। ঈশ্বরের আশীর্বাদ আর দলের সাহায্যে একটা প্রভাব ফেলতে পেরেছি,’’ ম্যাচের পরে বলেছিলেন একত্রিশের কেদার। পুণের ছেলে এবং টিম ইন্ডিয়ার নতুন নায়ক আরও বলেছেন, ‘‘যখন ব্যাট করতে নামি তখন বিরাট বলল, তুই শেষ দু’তিনটে ম্যাচে এ রকম অবস্থায় এসে গোটা চল্লিশেক রান করেছিস। কিন্তু আমি চাই আজ তুই বড় রান কর,’’ বলেছেন কেদার।
বিরাটের সঙ্গে ব্যাট করার প্রসঙ্গে কেদারের মন্তব্য, ‘‘বিরাটের সঙ্গে ব্যাট করার সুবিধে হল, বোলাররা ওকে মাথায় রেখে প্ল্যান করে। তাতে কিছু লুজ ডেলিভারি পাওয়া যায়, যেগুলো কাজে লাগানো যায়। আমিও সেটাই করেছি।’’ দেশের ওয়ান ডে ক্যাপ্টেন হিসেবে প্রথম ম্যাচেই বিরাটের দুর্দান্ত ইনিংস কেমন দেখলেন? কেদারের কথায়, ‘‘ইনিংসটা সেরা জায়গা থেকে দেখলাম। এর আগে টিভিতে দেখেছি, কত সহজে রান তাড়া করে বিরাট। আমার কেরিয়ারে টিমকে জেতানোর সুযোগ নষ্ট করেছি, বিরাটের এ রকম ইনিংসও মাঠে থেকে দেখা হয়নি। রবিবার দুটোই হয়ে গেল।’’
বিরাটের প্রভাব তাঁর উপর যে কতটা ‘বিরাট’, সেটাও বুঝিয়েছেন কেদার। বলেছেন, ‘‘ব্রেকফাস্ট টেবলে ওকে দেখলেই মনে হয় গিয়ে বলি, চলো এখনই একটা ম্যাচ খেলি আর টিমকে জেতাই। মানুষের উপর এতই প্রভাব ফেলতে পারে বিরাট।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy