কার্লোস আলকারাজ। ছবি: রয়টার্স।
নোভাক জোকোভিচের মারা শটটা নেটে আটকে যেতেই মাটিতে শুয়ে পড়লেন কার্লোস আলকারাজ। চিৎকার করতে করতে উঠে উঠে গেলেন প্লেয়ার্স বক্সে। সেখানে ছিলেন তাঁর কোচ হুয়ান কার্লোস ফেরেরো। আলকারাজ গিয়ে তাঁকে জড়িয়ে ধরলেন। তখন দু’চোখ দিয়ে জল গড়াচ্ছে ফেরেরোর। তিনি নিজে যা পারেননি, সেটাই করে দেখালেন তাঁর ছাত্র। উইম্বলডন জিতে নিলেন আলকারাজ।
২০১২ সালে উইম্বলডনেই জোকোভিচ হারিয়েছিলেন ফেরেরোকে। সেই প্রতিযোগিতাতেই তাঁর ছাত্র আলকারাজ ৪ ঘণ্টা ৪২ মিনিটের লড়াইয়ে ১-৬, ৭-৬ (৮-৬), ৬-১, ৩-৬, ৬-৪ গেমে জিতলেন জোকোভিচের বিরুদ্ধে। ২০০৩ সালে বিশ্বের এক নম্বর টেনিস তারকা ছিলেন ফেরেরো। সেই তকমা এখন আলকারাজের দখলে। গত পাঁচ বছর ধরে আলকারাজের কোচ ফেরেরো। তিনি বলেন, “আমার মনে হয় টেনিস বিশ্বে বড় বড় খেতাব জয়ের জন্য এখন তৈরি আলকারাজ।”
গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের স্বাদ কী, ফেরেরো জানেন। তিনি ২০০৩ সালে ফরাসি ওপেন জিতেছিলেন। সেই বছর তিনি ইউএস ওপেনের ফাইনালে উঠেও জিততে পারেননি। সেই সময়কার শীর্ষ বাছাই আন্দ্রে আগাসিকে সেমিফাইনালে হারিয়ে দিয়েছিলেন ফেরেরো। কিন্তু ফাইনালে হেরে গিয়েছিলেন অ্যান্ডি রডিকের বিরুদ্ধে। ১৬টি কেরিয়ার টাইটেল জিতলেও গ্র্যান্ড জিতেছিলেন মাত্র একটিই। ২০১২ সালে জোকোভিচের বিরুদ্ধে হেরে গিয়েছিলেন ফেরেরো। ২০১১ সালে প্রথম বার উইম্বলডন জিতেছিলেন জোকোভিচ। তাঁর সামনে পরে প্রথম রাউন্ডে স্ট্রেট সেটে হেরে বিদায় নিতে হয়েছিল ফেরেরোকে। ১১ বছর পর রবিবার সেই হারের জ্বালা কিছুটা মিটল আলকারাজের কোচের।
ফেরেরোর বয়স ৪৩ বছর। বিশ্বের প্রাক্তন এক নম্বর টেনিস তারকা পরিচিত ছিলেন ‘মশা’ নামে। তাঁর গতি এবং শারীরিক গঠনের জন্য এই নামে ডাকা হত তাঁকে। ২০১২ সালে অবসর নেন তিনি। তার পর থেকেই কোচের দায়িত্ব পালন করছেন ফেরেরো। এর আগে আলেক্সান্ডার জেরেভের কোচ ছিলেন তিনি। ২০১৯ সাল থেকে দায়িত্ব নেন আলকারাজের। ফেরেরোর কোচিংয়েই দু’টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতলেন স্পেনের ২০ বছরের টেনিস তারকা।
তিন বারের ডেভিস কাপ জয়ী ফেরেরোর টেনিসে হাতেখড়ি হয় বাবার কাছে। ফেরেরোর বাবা এদুয়ার্দো মিকো ছেলের সঙ্গে সব প্রতিযোগিতায় যেতেন। যদিও ফেরেরোর অনুপ্রেরণা তাঁর মা রোজারিয়ো। ফেরেরোর যখন ১৬ বছর বয়স, সেই সময় মারা গিয়েছিলেন তিনি। ক্যানসার হয়েছিল রোজারিয়োর। ফেরেরো তখনও পেশাদার টেনিসে আসেননি।
সেই ফেরেরো এখন তৈরি করছেন আলকারাজকে। ছাত্র সম্পর্কে ফেরেরো বলেন, “পাঁচ বছর ধরে আমি আলকারাজের সঙ্গে রয়েছি। জানি ও কত ভাল খেলতে পারে। বিশেষ করে কঠিন ম্যাচ, সেরা প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে নিজেকে উজাড় করে দিতে পারে আলকারাজ। যে ভাবে ও খেলছে তাতে কোর্টে যে কোনও শট খেলার ক্ষমতা ও রাখে। আমি যদি ওকে বলি একটা শট খেলে নেটে এসে ড্রপ শট খেলতে, ও সেটা করতে পারে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy