Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪

মজিদকে ফোন করলেন জামশিদ

শত ব্যস্ততার মাঝেও জামশিদ ভোলেননি তাঁর পুরনো বন্ধুকে। গত কয়েক দিন ধরেই খুশির মেজাজে রয়েছেন জামশিদ।

প্রতীক্ষা: ফের মজিদ-জামশিদ জুটিকে দেখা যেতে পারে। ফাইল চিত্র

প্রতীক্ষা: ফের মজিদ-জামশিদ জুটিকে দেখা যেতে পারে। ফাইল চিত্র

দেবাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়
শেষ আপডেট: ২৯ জুলাই ২০১৯ ০৪:৩০
Share: Save:

ইরান থেকে আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে কলকাতায় এক সঙ্গে খেলতে এসেছিলেন তাঁরা দু’জন—জামশিদ নাসিরি ও মজিদ বিসকার। আশির দশকের যে জুটি সাড়া ফেলেছিল ভারতীয় ফুটবলে।

প্রথম জন এই মুহূর্তে পাকাপাকি ভাবে কলকাতার বাসিন্দা। কলকাতা লিগে সিএফসি দলের কোচ। কিন্তু লাল-হলুদ শিবিরের আক্রমণ ভাগে সেই জামশিদের একদা সতীর্থ মজিদ এখন থাকেন সুদূর ইরানে। রবিবার সকালে উত্তর কলকাতা থেকে ইস্টবেঙ্গলের শতবর্ষ উদযাপনের শোভাযাত্রা বেরোচ্ছে, তখন সেখানে যেতে পারেননি জামশিদ। কারণ, এ দিনই পুলিশ এসি-র বিরুদ্ধে তাঁর দলের খেলা ছিল কলকাতা লিগে। তাই ব্যস্ত ছিলেন সকালে।

কিন্তু শত ব্যস্ততার মাঝেও জামশিদ ভোলেননি তাঁর পুরনো বন্ধুকে। গত কয়েক দিন ধরেই খুশির মেজাজে রয়েছেন জামশিদ। কারণটা অবশ্যই ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের শতবর্ষ উপলক্ষ্যে মজিদের ফের কলকাতা উড়ে আসার সম্ভাবনা তৈরি হওয়ায়। রবিবার সকালে ইরানে মজিদকে ফোন করেন জামশিদ। দু’জনের মধ্যে কয়েক মিনিট কথাও হয়।

কী কথা হয়েছে? জামশিদ বললেন, ‘‘মজিদকে ভুলে যাওয়া যায় নাকি? ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের শতবর্ষে ওকে ফের দেখতে পেলে দারুণ লাগবে।’’ যোগ করেন, ‘‘মজিদকে ফোন করে জানতে চেয়েছিলাম, কলকাতায় কবে, কখন আসছে। কিন্তু ও স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারেনি। জানিয়েছে চেষ্টা চলছে ভারতে আসার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই সম্ভাবনা বাস্তবায়িত হবে কি না, তা এখন বলা মুশকিল।’’

জামশিদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, দু’জনের মধ্যে পুরনো দিনের কোনও স্মৃতি রোমন্থন হল কি না। বললেন, ‘‘আমরা দুই বন্ধু কথা বললে পুরনো দিনের কথা উঠবেই। এ দিন ও আমাকে ওর সেই কলকাতা ছেড়ে চলে যাওয়ার দিনটার কথা বলছিল। আমি ওকে গাড়ি করে দমদম বিমানবন্দরে নামিয়ে দিয়েছিলাম। আমাকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেলেছিল মজিদ। আজও সেই প্রসঙ্গও ফিরে এসেছিল।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE