রবীন্দ্র জাডেজা। ছবি: এএফপি।
ব্যাট হাতে ভারতকে ভাল জায়গায় পৌঁছে দিয়েছেন। নামের পাশে লিখে নিয়েছেন ৯০ রান। কিন্তু ১০ রানের জন্য সেঞ্চুরিটা হয়নি। তার আগেই ফিরতে হয়েছে প্যাভেলিয়নে কিন্তু হতাশ নন তিনি। ‘‘যে শটে আমি আউট হয়েছি সেটা আমার চেনা শট।এই শটে আমি যে কোনও সময় ছক্কা হাকাতে পারি। আমার সেই আত্মবিশ্বাস আছে। কিন্তু বলটা স্লো হয়ে যায়। যে কারণে যা ভেবেছিলাম সেটা হয়নি। তবে, ওই শটে আউট হয়ে আমি হতাশ নই।’’
এটাই তাঁর টেস্ট কেরিয়ারের সর্বোচ্চ রান। যদিও তিনি যে একজন ব্যাটসম্যানের মতো ভাবেন না সেটাও স্বীকার করে নিয়েছেন। বলেন, ‘‘আমি প্রথম শ্রেনীর ক্রিকেটে নিয়মিত রান করেছি। যার গড় ৫০ শতাংশ। টেস্ট ক্রিকেট বাদ দিলে ৯০ রান আমি একাধিকবার করেছি। হ্যাঁ, টেস্টে এই প্রথম। কিন্তু আমি জানতাম আমি ব্যাট করতে পারি। আমার কোনও তাড়াহুড়ো ছিল না কারণ উইকেট মন্থর ছিল আর টার্ণও কম ছিল। ৫০, ৬০, ৭০ বল খেলার পরই বুঝে গিয়েছিলাম আমি নিজের রান বাড়িয়ে নিতে পারব।’’
কিন্তু লর্ডসের মাটিতে তাঁর ৬৮ সঙ্গে এই ৯০ এর তুলনা করতে নারাজ তিনি। বরং সব রানই দেশের জন্য তাঁর কাছে সেরা ইনিংস। বলেন, ‘‘আমার মনে ভারতের জন্য খেলা যে কোনও ভাল ইনিংসই গুরুত্বপূর্ণ। এবং এই ইনিংসের সময়ও আমার বেশ চাপে ছিলান। ১৫৬ রানে পাঁচ উইকেট পড়ে গিয়েছিল। আর এখান থেকে দলকে ভাল জায়গায় তুলে আনতে আমি, জয়ন্ত (যাদব), (রবিচন্দ্রন) অশ্বিন সারাক্ষণ আলোচনা করেছি। ইনিংসটাকে ভাল জায়গায় নিয়ে গিয়েছি। আর এখন ওরা ৫৬ রান পিছনে রয়েছে। সঙ্গে চার উইকেটও চলে গিয়েছে।’’
ইংল্যান্ডের বোলিংকে অবশ্য বোরিং আখ্যা দিয়েছেন জাডেজা। এবং তিনি যে আক্রমণাত্মক মুডে ছিলেন না সেটাও পরিষ্কার করে দিয়েছেন। বলেন, ‘‘আমি আক্রমণের মানসিকতায় ছিলাম না। ওরা অফ স্টাম্পের বাইরে বল করে যাচ্ছিল। আমাদের হাতে যথেষ্ট সময় ছিল তাই বোলারদের পাল্টা সমস্যায় ফেলার কথা ভাবি। অফ স্টাম্পের বাইরে গিয়ে খেলার চেষ্টা করি। লেগ সাইড ব্যবহার করার চেষ্টা করি কারণ সেখানে দু’জন ফিল্ডারই ছিলেন। এবং সৌভাগ্যবশত ওই জায়গা দিয়ে আমি চারটি বাউন্ডারি পেয়েছি।’’
ভারতীয় ক্রিকেটের এই প্রথম সাত, আট ও ন’নম্বরে ব্যাট করতে নামা তিন ব্যাটসম্যানঅ ৫০এর ওপর রান করেছেন একই ইনিংসে। প্রমাণ হয়ে গিয়েছে লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যানরাও রান করতে পারে। জাডেজা বলেন, ‘‘সব দলের জন্যই এটা খুব ভাল দিক যদি তাদের মিডল আর লোয়ার অর্ডার ব্যাট করতে পারে। যদি সাত থেকে ১১ নম্বর পর্যন্ত ৫০ থেকে ১০০ রান যোগ করতে পারে তাতে দলের অনেক লাভ হয়। এটা কোনও ম্যাজিক নয়। লক্ষ্যটা স্থির রাখতে হয়। নেটে ব্যাট হাতে একটু বেশি সময় দিতে হয়। আমিও দলের স্বার্থে আরও রান করার চেষ্টা করি।’’
আরও খবর
ব্যাটে-বলে বাজিমাত অশ্বিনের, দিনের শেষে ৫৬ রানে পিছিয়ে ইংল্যান্ড
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy