মউ চুক্তির পরে নীতা অম্বানী এবং রিচার্ড। শুক্রবার মুম্বইয়ে। নিজস্ব চিত্র
ভারতের মাটিতে রাহিম স্টার্লিং, মার্কাস র্যাশফোর্ডদের প্রাক্-মরসুম প্রস্তুতি দেখার স্বপ্ন হয়তো পূরণ হতে চলেছে ফুটবলপ্রেমীদের। সব ঠিক থাকলে আগামী দু’-তিন বছরের মধ্যে মরসুম শুরু হওয়ার আগে ভারতে অনুশীলন করার সম্ভাবনা ক্রমশ উজ্জ্বল হচ্ছে ইপিএলের ক্লাবগুলোর। এখানেই শেষ নয়। ইপিএলের বিভিন্ন ক্লাবে বিশেষ অনুশীলন করার সুযোগ পাবেন নির্বাচিত ভারতীয় ফুটবলারেরাও। নেপথ্যে ইপিএল এবং আইএসএল গাঁটছড়া।
ভারতীয় ফুটবলের উন্নতির লক্ষ্যে ফের ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধল আইএসএল। শুক্রবার মুম্বইয়ে মউ স্বাক্ষরিত হওয়ার পরে উচ্ছ্বসিত আইএসএল চেয়ারপার্সন নীতা অম্বানী বললেন, ‘‘ভারতীয় ফুটবলের উন্নতিতে গত ছ’বছর ধরে আইএসএল ও ইপিএল একসঙ্গে কাজ করছে। এ বার আরও একধাপ এগোলাম আমরা। দুই লিগ গাঁটছড়া বাঁধার ফলে যুব ফুটবলের পাশাপাশি, কোচ ও রেফারিদেরও উন্নতি হবে।’’ ইপিএলের শীর্ষ কর্তা রিচার্ডের কথায়, ‘‘ফুটবল ও কোচিংয়ের পাশাপাশি পরিকাঠামো এবং অর্থনৈতিক উন্নতিতেও সহায়তা করব।’’ রিচার্ডের আশা, ভবিষ্যতে ভারতীয় ফুটবলারদেরও ইপিএলে খেলতে দেখা যাবে। বললেন, ‘‘আইএসএলের অনেক দল ও তাদের কর্তারা ইংল্যান্ডের বিভিন্ন ক্লাব দেখতে গিয়েছেন। আমরা যদি একসঙ্গে কাজ করি, তা হলে কোনও এক দিন ভারতীয় ফুটবলারদেরও ইপিএলে খেলতে দেখা যাবে।’’
শুধু যুব ফুটবলারেরা নয়, নতুন এই চুক্তির ফলে উপকৃত হবেন প্রতিষ্ঠিত তারকারাও। কী ভাবে? একটি বিশেষ বোর্ড গঠন করা হচ্ছে। যেখানে থাকবেন ইপিএল ও আইএসএলের কোচেরা। তাঁরা দশ থেকে বারো জন ভারতীয় ফুটবলার বেছে নেবেন। তার পরে সর্বক্ষণ এই ফুটবলারদের পারফরম্যান্সের উপরে নজর রাখা হবে। কার কোথায় ভুলত্রুটি হচ্ছে, কার কোথায় উন্নতি দরকার, সব তথ্য সংগ্রহ করা হবে। শুধু তাই নয়। বেছে নেওয়া ফুটবলারদের সঙ্গে নিয়মিত কথাও বলবেন বোর্ডের সদস্যেরা। এর পরেই ওই ফুটবলারদের বিশেষ অনুশীলনের জন্য পাঠানো হবে ইপিএলের বিভিন্ন ক্লাবে। আইএসএলের এক কর্তা বললেন, ‘‘কোনও স্ট্রাইকার হয়তো বিপক্ষের পেনাল্টি বক্সের সামনে গিয়ে বলের উপর থেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলছেন। আবার কোনও গোলকিপারের প্রধান সমস্যা সময় মতো গোল ছেড়ে এগিয়ে আসার ক্ষেত্রে। এই ভুলভ্রান্তি শুধরে নেওয়ার জন্যই ওদের পাঠানো হবে ইপিএলের ক্লাবে।’’ কোন ক্লাবে অনুশীলনের জন্য পাঠানো হবে ফুটবলারদের? আইএসএল কর্তার কথায়, ‘‘সবাইকে যে এক ক্লাবে পাঠানো হবে, তা কিন্তু নয়। যে ক্লাবে গোলরক্ষকদের ভাল অনুশীলন করানো হয়, সেখানে কখনওই স্ট্রাইকারদের পাঠানো হবে না।’’
এখানেই শেষ নয়। ভারতের মাটিতে অনূর্ধ্ব-২৩ প্রিমিয়ার লিগ এশিয়া কাপ আয়োজনের পরিকল্পনার কথাও জানালেন আইএসএল প্রধান। তিনি বলেছেন, ‘‘রিচার্ডকে অনুরোধ করেছি, ভারতের মাটিতে অনূর্ধ্ব-২৩ প্রিমিয়ার লিগ এশিয়া কাপ আয়োজনের কথা ভাবতে। এই প্রতিযোগিতা ভারতীয় ফুটবলকে আরও এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।’’ ২০২৬ বিশ্বকাপে ভারতীয় ফুটবল দলকে খেলতে দেখাই তাঁর স্বপ্ন, তা-ও গোপন করেননি তিনি। বললেন, ‘‘আইএসএলে স্মরণীয় বছর এটা। এফসি গোয়া এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে যোগ্যতা অর্জন করেছে। এটিকের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মোহনবাগান। এখন স্বপ্ন দেখছি, ২০২৬ বিশ্বকাপে ভারতীয় দলও যোগ্যতা অর্জন করবে। কারণ, তখন ৪৮টি দলকে নিয়ে প্রতিযোগিতা শুরু হবে। ফলে এশিয়া থেকে আটটি দল বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাবে। দু’বছরের মধ্যে আমরা যদি প্রথম বারোটি দেশের মধ্যে জায়গা করে নিতে পারি, তা হলে কোনও কিছুই অসম্ভব নয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy