Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতেই জলে ভাসল ড্রেসিংরুম

আলোর নীচেই অন্ধকার! রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, বিশ্বের অন্যতম নামী শিল্পপতি, এক ঝাঁক সেলিব্রিটি তখন জমকালো উদ্বোধনে মগ্ন। এ দিকে মাত্র একদিন আগে নির্মাণ কাজ শেষ হওয়া ফুটবলারদের নতুন ড্রেসিংরুম ভাসল বাথরুমের নোংরা জলে! লুই গার্সিয়া-সহ বিশ্বের নামী ফুটবলাররা খেলছেন আই এস এলে। বিরতিতে যাঁরা ড্রেসিংরুমে এসে দেখলেন তাঁদের বসার জায়গা নোংরা জলে থইথই। ভাসছে চারদিক। যা লজ্জা বাড়াল বাংলার। গার্সিয়ার মতো তারকারা বিশ্বের কোথাও যা কখনও দেখেননি, রাজ্য সরকারের চূড়ান্ত ব্যর্থতায় যুবভারতীতে সেটাই দেখতে হল তাঁদের।

আইএসএল-এর উদ্বোধনে অমিতাভ বচ্চন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মুকেশ অম্বানী। রবিবার যুবভারতীতে। ছবি: উৎপল সরকার

আইএসএল-এর উদ্বোধনে অমিতাভ বচ্চন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মুকেশ অম্বানী। রবিবার যুবভারতীতে। ছবি: উৎপল সরকার

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০১৪ ০৩:০১
Share: Save:

আলোর নীচেই অন্ধকার!

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, বিশ্বের অন্যতম নামী শিল্পপতি, এক ঝাঁক সেলিব্রিটি তখন জমকালো উদ্বোধনে মগ্ন। এ দিকে মাত্র একদিন আগে নির্মাণ কাজ শেষ হওয়া ফুটবলারদের নতুন ড্রেসিংরুম ভাসল বাথরুমের নোংরা জলে!

লুই গার্সিয়া-সহ বিশ্বের নামী ফুটবলাররা খেলছেন আই এস এলে। বিরতিতে যাঁরা ড্রেসিংরুমে এসে দেখলেন তাঁদের বসার জায়গা নোংরা জলে থইথই। ভাসছে চারদিক। যা লজ্জা বাড়াল বাংলার। গার্সিয়ার মতো তারকারা বিশ্বের কোথাও যা কখনও দেখেননি, রাজ্য সরকারের চূড়ান্ত ব্যর্থতায় যুবভারতীতে সেটাই দেখতে হল তাঁদের।

নতুন দু’টি ড্রেসিংরুমই মুখ্যমন্ত্রীর প্রিয় রং নীল-সাদা করা হয়েছে। সেই রং মুছে দিয়ে এ দিন দেওয়াল বেয়ে জল গড়াল ওপরের বাথরুমের পাইপ ফেটে। লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয়ে তৈরি ড্রেসিংরুমের হাল প্রথম ম্যাচেই এমন হল কেন? যুবভারতীর সিইও জ্যোতিষ্মান চট্টোপাধ্যায় বললেন, “এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। ড্রেসিংরুমের কাজের দায়িত্বে ছিল পিডব্লিউডি-র। ওরা জানে।” এখানেই শেষ নয়, কপোর্রেট বক্সে ভুল নম্বর লাগানো নিয়েও সমস্যা হয় দর্শকদের। নম্বর বদলে দেওয়ায় অনেক দর্শক ঝামেলায় পড়েন। এর জন্য যুবভারতী কর্তৃপক্ষের দিকে আঙুল উঠলেও সিইও বলে দেন, “এটা আটলেটিকো কর্তা উত্‌সব পারেখের করে দেওয়ার কথা ছিল। তিনি পারেননি। সমস্যা মেটাতে আমাদের কাজটা করতে হয়েছে।”

আটলেটিকো দে কলকাতার কর্তারা সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়েছিলেন, খেলার পর দর্শকদের মেট্রো স্টেশন, ধর্মতলা বা হাওড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য ৫০ টি বাস থাকবে। খেলার টিকিট দেখালেই ওঠা যাবে বাসে। কিন্তু কোথায় কী? ম্যাচের পর হাজার হাজার দর্শক দাঁড়িয়ে ছিলেন স্টেডিয়ামের বাইরে। কিন্তু কোথাও কোনও বাসের দেখা পাওয়া যায়নি।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE