এই মুহূর্তে নর্থ-ইস্ট ম্যাচ নিয়েই ভাবছেন রবি ফাওলারের সহযোগী টনি গ্রান্ট। ফাইল চিত্র
বাকি আর মাত্র দুই ম্যাচ। এসসি ইস্টবেঙ্গলের কাছে আইএসএল শেষ হয়ে আসছে। তবে অগুনিত লাল-হলুদ সমর্থকদের দুর্ভোগের অন্ত নেই। কারণ ক্লাব কর্তা বনাম বিনিয়োগকারীদের ঝামেলা চলছেই। চূড়ান্ত চুক্তি সই হওয়া তো অনেক দূরের কথা, শোনা যাচ্ছে মার্চের শেষ দিকেই হরিমোহন বাঙ্গুরের তরফ থেকে ক্লাবকে সম্পর্ক ছিন্ন করার ব্যাপারে চিঠি দিয়ে দেওয়া হবে। এমনকি ক্লাবের বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছে। ফলে অন্ধকারে ভবিষ্যৎ!
এর মধ্যে আবার যোগ হয়েছে জোড়া ডার্বি হারের জ্বালা। তবে দল সবচেয়ে ধাক্কা খেয়েছে গত ডার্বি হেরে। স্বভাবতই মনোবলে ধরেছে চির। এমন অবস্থায় একাধিক ফুটবলারদের কার্ড সমস্যা থাকলেও ২৩ ফেব্রুয়ারি খালিদ জামিলের নর্থ -ইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে নামছে রবি ফাওলারের দল।
গত ৫ ডিসেম্বর এই দলের কাছে ২-০তে হেরেছিলেন রবি ফাওলার। তবে এবার তাঁর সহযোগী টনি গ্রান্ট বেঞ্চে বসবেন। কার্ড সমস্যার জন্য এই ম্যাচে নেই জ্যাক মাঘোমা ও ড্যানি ফক্স। এমনকি মিডফিল্ডার সৌরভ দাস হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে আক্রান্ত। তিনিও মাঝমাঠে নেই। সুব্রত পাল ডার্বিতে মেলে ধরতে পারেননি। ছন্দে থাকা মহম্মদ রফিকও ডার্বি খেলার সুযোগ পান নি। খালিদের দলের বিরুদ্ধে দেবজিৎ মজুমদার ও রফিক মাঠে ফিরতে পারেন।
যদিও গত ডার্বি হার গভীর ক্ষত দিয়ে গেলেও টনি গ্রান্ট মনে করেন পেশাদার জগতে মনের দুঃখ সরিয়ে রাখা এগিয়ে যাওয়া উচিত। সাংবাদিক সম্মলনে তিনি বলেছেন, “ডার্বি হার আমাদের সবার মনে গভীর ক্ষত দিয়ে গিয়েছে। কারণ এই ম্যাচ হারলে সবার ভেঙে যায়। তবে আমার মতে ফুটবলারদের নিজেদের স্বার্থে তাগিদ নিয়ে খেলতে হবে। আমাদের তো কিছুই হারানোর নেই। তাই লাল-হলুদের সম্মান বজায় রাখার জন্য খেলা উচিত।”
কিন্তু প্রশ্ন হল এই দলটার ভবিষ্যৎ কি? লগ্নিকারী নিজেদের অবস্থানে অনড়। ক্লাব কর্তারাও নমনীয় হচ্ছেন না। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও এফএসডিএল ঘনিষ্ঠ তরুণ ঝুনঝুনওয়ালার তরফ থেকে ক্লাব কর্তাদের বোঝানোর চেষ্টা করা হয়। ক্লাব কর্তারাও নতুন ভাবে কাগজপত্র পাঠিয়েছিলেন। তবে শ্রী সিমেন্ট কর্তারা সেই কাগজের কোনও উত্তর দেননি। তারা যে চুক্তি বাড়াতে চায় না সেটা এফএসডিএলকেও কয়েক দিনের মধ্যে জানিয়ে দেওয়া হবে। চলতি মরসুমে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৫০ কোটি খরচ করেছে শ্রী সিমেন্ট। তাই শেষ পর্যন্ত চুক্তি বাতিল হলে আদালতের দ্বারস্তও হতে পারেন হরিমোহন বাঙ্গুর। সেটাও কিন্তু উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। ফলে একরাশ আশঙ্কা নিয়ে দলের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে।
এটিকে মোহনবাগান কর্তারা কিন্তু আগামী মরসুম নিয়ে চিন্তা শুরু করে দিয়েছেন। তবে ইস্টবেঙ্গল যে তিমিরে ছিল সেখানেই আছে। টনি গ্রান্টও সেই আক্ষেপ করলেন। শেষে যোগ করলেন, “আগামী মরসুমের দল গড়ার জন্য এটাই তো আদর্শ সময়। আমরাও আগামী মরসুমের দিকে তাকিয়ে আছি। সেই জন্য এই মরসুমের প্রথমদিন থেকেই আগামী মরসুমের পরিকল্পনা শুরু করে দিয়েছিলাম। কিন্তু এর আগে তো ক্লাবের পরিস্থিতি ঠিক করতে হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy