সস্ত্রীক রয় কৃষ্ণ। ছবি: আইএসএল।
আবেগ আছে। তবে তা প্রকাশ্যে আসছে না খুব একটা।
জেতার তাগিদ আছে। সেই ঘোষণাও আছে। তার পরও বিপক্ষকে নিয়ে উদ্বেগ নেই।
চুম্বকে, ডার্বির আগে এটাই সবুজ-মেরুন শিবির।
এটিকে মোহনবাগানের হয়ে প্রথম ম্যাচেই গোল করে ইতিহাসের অংশ হয়ে উঠেছেন রয় কৃষ্ণ। এ বার ডার্বিতে নজর দিচ্ছেন তিনি। এবং রাখ-ঢাক না করে সোজাসুজি বলেই দিচ্ছেন যে শুক্রবারের ম্যাচ জিততেই হবে।
আরও পড়ুন: এ বার এসসি ইস্টবেঙ্গলে উইগান অ্যাথলেটিকের গার্নার?
রয় কৃষ্ণ সোজাসুজি বলেছেন, “এসসি ইস্টবেঙ্গলের এই রক্ষণের বিরুদ্ধে কখনও খেলিনি। এটা আমার পক্ষে সুবিধারই। কারণ, জানা থাকলে বা চেনা থাকলে ওদের কথা ভেবে চিন্তিত হতাম। চিনি না ইস্টবেঙ্গলের অনেক বিদেশিকেই। ফলে খোলা মনে চাপমুক্ত হয়ে মাঠে নামতে পারব। ডার্বির গুরুত্ব ও মাহাত্ম্য আমার জানা। তা সত্ত্বেও এটাকে লিগের আরও এক গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ হিসেবে দেখছি। যে ম্যাচ জিততেই হবে। সে ভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছি।”
এস সি ইস্টবেঙ্গল কোচ রবি ফাওলারের দলের বিরুদ্ধে কেরিয়ারে কখনও খেলেননি রয় কৃষ্ণ। তবে কেরিয়ারের শুরুতে ফাউলারের সঙ্গে মাস তিনেক কাটিয়েছিলেন। কুইন্সল্যান্ড ফিউরিতে তখন ট্রায়াল দিতে গিয়েছিলেন তিনি। আর সেই দলের কোচ ছিলেন ফাউলার।
এই ম্যাচ যে সদস্য-সমর্থকদের কাছে কত গুরুত্বপূর্ণ, তা অজানা নয় ডেভিড উইলিয়ামসেরও। রয় কৃষ্ণর সঙ্গে তাঁর জুটি আইএসএলে হিট। এ বারও সেই জুটি ফুল ফোটাবে বলে আশাবাদী তিনি। কিন্তু, ডার্বিতে কী হবে? এই ম্যাচ দুটো কারণে জিততে মরিয়া তিনি। তাঁর ব্যাখ্যা, “সারা দেশের অসংখ্য সবুজ-মেরুন সমর্থক এই ম্যাচটা দেখবেন টিভিতে। তাদের প্রত্যাশা পূরণ করতেই হবে। আর শুরুর ম্যাচটা আমরা জিতেছি। ডার্বি থেকে ৩ পয়েন্ট পেলে ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে।”
আরও পড়ুন: ঠাট্টা, তামাশা চলতেই পারে, তবে স্লেজিং নয়, বলছেন ল্যাঙ্গার
তবে দর্শকহীন স্টেডিয়ামে যে উত্তেজনার পারদ তেমন চড়বে না, তা মেনে নিয়েছেন উইলিয়ামস। সেই কারণেই অন্য ম্যাচগুলোর থেকে আলাদা কিছু মনে হচ্ছে না।
এই ম্যাচ খেলেননি তো বটেই, কখনও মাঠে বসে দেখেনওনি সন্দেশ জিঙ্ঘান। তাঁর মতে, “এই লড়াই বিশ্বের অন্যতম সেরা ডার্বি। সব ফুটবলারের স্বপ্ন থাকে এই ম্যাচে খেলার। তবে আমি আবেগে ভাসতে রাজি নই। অন্য ম্যাচগুলোর মতোই গুরুত্ব এই ম্যাচের। ভাল খেলতে হবে, জিততে হবে। প্রতিপক্ষকে গোল করতে না দিয়ে ফিরতে চাই ড্রেসিংরুমে।”
রয় কৃষ্ণ, ডেভিড উইলিয়ামস, সন্দেশ জিঙ্ঘান। এটিকে মোহনবাগানের তিন ভরসার মধ্যে অদ্ভূত মিল। প্রত্যেকেই এই ম্যাচকে আরও একটা ম্যাচ হিসেবে দেখতে চাইছেন। চাইছেন না বাড়তি চাপ আমদানি করতে। বরং থাকতে চাইছেন চাপমুক্ত মনে। সেই ফর্মুলায় সাফল্য ধরা দেবে কি না তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে শুক্রবার পর্যন্ত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy