রবিন উথাপ্পা। গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। —ফাইল চিত্র।
মুখ খুললেন রবিন উথাপ্পা। গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। ভারতীয় দলের প্রাক্তন ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, নিজের সংস্থার কর্মীদের বেতন থেকে টাকা কাটলেও কর্মচারী ভবিষ্যনিধি তহবিলে (এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড) জমা দেননি। ২৩ লাখ টাকার বেশি প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে উথাপ্পার বিরুদ্ধে। উথাপ্পার দাবি, এই দুর্নীতির সঙ্গে তিনি যুক্ত নন। কারণ, যে সংস্থার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, তিনি সেই সংস্থার সঙ্গে আর যুক্ত নন।
আত্মপক্ষ সমর্থনে উথাপ্পা জানিয়েছেন, তিনি ওই সংস্থার সঙ্গে আগে যুক্ত ছিলেন। কিন্তু অনেক বছর আগে সেই দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। উথাপ্পা বলেন, “২০১৮-১৯ সালে আমাকে ওই সংস্থার ডিরেক্টর করা হয়েছিল। কারণ, আমি ওই সংস্থায় বিনিয়োগ করেছিলাম। ডিরেক্টর হলেও আমি সরাসরি ভাবে কোনও দিন ওই সংস্থার কাজকর্মের মধ্যে যুক্ত ছিলাম না। কারণ, পেশাদার ক্রিকেটার, টেলিভিশনে কাজ ও ধারাভাষ্যের সঙ্গে যুক্ত থাকায় আমার সময় ছিল না। আমি আরও অনেক সংস্থার সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু কোথায় আমি কোনও ভূমিকা পালন করিনি।”
উথাপ্পা জানিয়েছেন, তিনি ওই সংস্থায় যে আর্থিক বিনিয়োগ করেছিলেন, তা ফেরত পাননি। সেই কারণে তিনি নিজেই সংস্থার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেছিলেন। প্রাক্তন ক্রিকেটার বলেন, “আমি যে টাকা ওই সংস্থায় দিয়েছিলাম তা ফেরত পাইনি। ফলে আমি নিজেই ওদের বিরুদ্ধ আইনি পদক্ষেপ করেছিলাম। সেই মামলা এখন বিচারাধীন। বহু বছর আগে আমি ডিরেক্টরের পদ থেকে পদত্যাগও করেছি।”
প্রভিডেন্ট ফান্ড কর্তৃপক্ষ আগেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। তিনি তাঁদের সব রকম সাহায্য করেছেন বলেও দাবি করেছেন উথাপ্পা। তিনি বলেন, “পিএফের টাকা জমা না দেওয়া নিয়ে এর আগে পিএফ কর্তৃপক্ষ আগেও আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। আমার আইনি দল জবাব দিয়েছিল। সেখানে বলা হয়েছিল, আমার এই প্রতারণার সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই। তার পরেও তাঁরা আমার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেছেন। আমার আইনি দল পুরো বিষয়টা দেখছে। ওরাই আগামী দিনে পদক্ষেপ করবে। আমি সংবাদমাধ্যমের কাছে আর্জি জানাচ্ছি পুরো বিষয় না জেনে কোনও খবর পরিবেশন করবেন না।”
একটি পোশাক তৈরির সংস্থার ডিরেক্টর ছিলেন উথাপ্পা। সেই সংস্থার বিরুদ্ধে কর্মচারী ভবিষ্যনিধি তহবিলে টাকা জমা না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বকেয়ার পরিমাণ ২৩ লাখ ৩৬ হাজার ৬০২ টাকা। সংস্থার পরিচালক হিসাবে ২৭ ডিসেম্বরের মধ্যে বকেয়া টাকা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে উথাপ্পাকে। না হলে তাঁকে গ্রেফতার করা হতে পারে। গত ৪ ডিসেম্বর উথাপ্পার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আঞ্চলিক পিএফ কমিশনার সদাক্ষরী গোপাল রেড্ডি। তিনি জানিয়েছেন, উথাপ্পার সংস্থার বিপুল অর্থ বকেয়া থাকায় সংস্থার কর্মীদের তহবিলের হিসাবের কাজ আটকে রয়েছে। যা গ্রহণযোগ্য নয়।
রেড্ডি কর্নাটকের পুলকেশিনগরের পুলিশকে উথাপ্পার বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট পদক্ষেপ করার অনুরোধ করেন। তবে গত ৪ ডিসেম্বরের পরোয়ানাটি পুলিশ পিএফ কমিশনারকে ফেরত দিয়েছে। কারণ, উথাপ্পাকে পুলকেশিনগরের বাড়িতে পাওয়া যায়নি। উল্লেখ্য, ভারতীয় দলের প্রাক্তন ক্রিকেটার বর্তমানে সপরিবার দুবাইয়ে বসবাস করেন। বছরের অধিকাংশ সময় তিনি সেখানেই থাকেন। এখন দেখার উথাপ্পার এই জবাবের পর ঘটনা কোন দিকে এগোয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy