বিশ্বকাপে হার্দিক যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছেন তা অজানা নয়। হয়তো দলের সহ-অধিনায়কও হতে পারেন। — ফাইল চিত্র
ইডেন গার্ডেন্সে শনিবার কলকাতার বিরুদ্ধে গুজরাতকে জেতালেন বিজয় শঙ্কর। প্রথমে ঠুকে ঠুকে খেললেও শেষ দিকে তাঁর মারের চোটে দিশেহারা হয়ে গেলেন কেকেআর বোলাররা। অপরাজিত অর্ধশতরান জিতিয়ে দিল হার্দিক পাণ্ড্যের দলকে। ম্যাচের পর গুজরাত অধিনায়ক ইঙ্গিত দিয়ে গেলেন, দেশের মাটিতে আসন্ন বিশ্বকাপে বিজয় সুযোগ পেলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
২০১৯ বিশ্বকাপে বাকিদের পিছনে ফেলে আচমকাই সুযোগ পেয়েছিলেন বিজয় শঙ্কর। নির্বাচকরা যুক্তি দিয়েছিলেন, তিনি ‘থ্রি ডাইমেনশনাল’ ক্রিকেটার। অর্থাৎ ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং তিনটেই করতে পারেন। বিজয়ের ব্যর্থতার পরে তাঁকে খোঁচা দিতে ছাড়েননি অনেকেই। সেই তালিকায় ছিলেন অম্বাতি রায়ডুও, যাঁর জায়গায় নেওয়া হয়েছিল শঙ্করকে।
শনিবারের ম্যাচের পর হার্দিক বলেন, “বিজয় এখন অনেক বেশি ফিট এবং আত্মবিশ্বাসী। যে কঠোর পরিশ্রম ও করেছে তা অসামান্য। এক সময় ভেবেছিলাম ম্যাচটা শেষ ওভার পর্যন্ত গড়াবে। কিন্তু যে ভাবে কিছু শট মারল শঙ্কর, সেটা গোটা পরিস্থিতি বদলে দিল। আগামী দিনে শঙ্করের থেকে আরও ভাল ইনিংস দেখতে পাবেন। আমি বিশ্বাস করি, ভাল মানুষদের সঙ্গে ভাল কিছুই হয় এবং বিজয় ভাল মানুষদের একজন।” হার্দিকের শেষ বাক্যটি নিয়েই তৈরি হয়েছে জল্পনা।
বিশ্বকাপে হার্দিক যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছেন তা অজানা নয়। হয়তো দলের সহ-অধিনায়কও হতে পারেন। ফলে আগামী দিনে দল নির্বাচনে তাঁর মতামতের গুরুত্ব থাকবে। তিনি যদি বিজয়কে নেওয়ার পক্ষপাতী হন, তা হলে আর একবার জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তনের সুযোগ এসে যাবে তামিলনাড়ুর ক্রিকেটারের কাছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy