বিরাট কোহলি। — ফাইল চিত্র।
আত্মবিশ্বাসের অভাবে ভুগছিলেন একটা সময়। ঠিক ভুল বুঝতে পারছিলেন না। প্রভাব পড়ছিল পারফরম্যান্সেও। সেই কঠিন সময়ে বিরাট কোহলির পাশে দাঁড়িয়েছিলেন এক সতীর্থ। হতাশ হয়ে পড়া কোহলিকে অনুপ্রাণিত করেছিলেন। আইপিএল থেকে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ছিটকে যাওয়ার পর সেই সতীর্থের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন কোহলি।
কঠিন সময়ে দীনেশ কার্তিকের পাশে থাকার কথা বলেছেন কোহলি। এ বারের আইপিএল খেলে অবসর নিয়েছেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটার। জাতীয় দল এবং আইপিএলে দীর্ঘ দিন এক সঙ্গে খেলেছেন কার্তিক এবং কোহলি। সেই সূত্রে দু’জনের মধ্যে রয়েছে বন্ধুত্ব। কার্তিকের অবসরে বিষণ্ণ শুনিয়েছে কোহলির গলা। বলেছেন ২০২২ সালের আইপিএলের সময় সতীর্থ কার্তিকের পাশে থাকার কথা। জানিয়েছেন কী ভাবে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন। সে বার ১৬টি ম্যাচে ৩৪১ রান করেছিলেন কোহলি। তিনটি ম্যাচে আউট হয়েছিলেন শূন্য রানে। দু’টি অর্ধশতরান এসেছিল তাঁর ব্যাট থেকে। স্ট্রাইক রেট ছিল ১১৫.৯৮। কার্তিক আবার সে বার দারুণ ফর্মে ছিলেন। কোহলি বলেছেন, ‘‘মাঠের বাইরে কার্তিকের সঙ্গে আমার সুখের এবং মজার বেশ কিছু স্মৃতি রয়েছে। শুধু ক্রিকেট নয়, অনেক ব্যাপারে ওর প্রচুর জ্ঞান রয়েছে। ওর সঙ্গে আলোচনা সব সময়ই বেশ উপভোগ্য। ২০২২ সালের আইপিএলে ভাল খেলতে পারছিলাম না। আত্মবিশ্বাসও তলানিতে ঠেকেছিল। সে বার আমাকে নিয়ে দু’দিন আলাদা করে বসেছিল কার্তিক। ঠান্ডা মাথায় ভাবার পরামর্শ দিয়েছিল। সুন্দর করে আমার খামতির জায়গাগুলো ধরিয়ে দিয়েছিল। যেগুলো আমি বুঝতে পারছিলাম না।’’
সে বারের অভিজ্ঞতা নিয়ে কোহলি আরও বলেছেন, ‘‘কার্তিকের মধ্যে সততা এবং সাহস আছে। যেটা আমার খুব ভাল লাগে। যে বিষয়টা বোঝে শুধু সেটা নিয়েই কথা বলে। এ জন্যই ওর সঙ্গ সব সময় দারুণ উপভোগ্য হয়। কখনও সমস্যা তৈরি হয় না। এক সঙ্গে চলতে অসুবিধা হয় না।’’
সদ্য অবসর নেওয়া সতীর্থকে নিয়ে কোহলি বলেছেন, ‘‘খুব ভুল না করলে কার্তিকের সঙ্গে আমার প্রথম দেখা ২০০৯ সালে। দক্ষিণ আফ্রিকায় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে গিয়েছিলাম আমরা। সেই সফরে এক বার এক সঙ্গে জামাকাপড় বদলাতে গিয়েছিলাম। তখনই বুঝেছিলাম ডিকে (এই নামেই সতীর্থেরা ডাকেন কার্তিককে) খুব মজার ছেলে। মাঝে মাঝে অতিসক্রিয়। কিছুটা বিভ্রান্তও। এক জায়গায় বসে থাকতে পারত না। সব সময় ঘুরে বেড়াত। ডিকে সম্পর্কে এটাই ছিল আমার প্রথম অভিজ্ঞতা। বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে কিছুটা শান্ত হয়েছে শুধু।’’ রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ভিডিয়োতে এর পরই সতীর্থকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত শুনিয়েছে কোহলিকে। তিনি বলেছেন, ‘‘অসম্ভব প্রতিভাবান ক্রিকেটার ডিকে। ওর ব্যাটিং দেখতে দারুণ লাগে। প্রথম দিনের সেই অভিজ্ঞতার সঙ্গে এখনকার অভিজ্ঞতার তেমন পার্থক্য নেই।’’
আইপিএল এলিমিনেটর ম্যাচে রাজস্থান রয়্যালসের কাছে হেরে ছিটকে যাওয়ার পর কোহলি সবার প্রথমে গিয়ে জড়িয়ে ধরেছিলেন কার্তিককে। আইপিএল থেকে ছিটকে যাওয়ার হতাশা সরিয়ে রেখে ক্রিকেটার কার্তিকের শেষ মুহূর্তে পাশে ছিলেন কোহলি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy