দিল্লি ম্যাচের আগে অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে ম্যাচ শুরুর আগে অনুশীলন করছিলেন বিরাট। সেই সময় মাঠে আসেন রাজকুমার। — ফাইল চিত্র
দিল্লিতে খেলতে গিয়ে কিছু দিন আগেই দেখা হয়েছিল ছোটবেলার কোচ রাজকুমার শর্মার সঙ্গে। মাঠেই তাঁর পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেছিলেন বিরাট কোহলি। এ বার কোচকে গুরুদক্ষিণা দিলেন তিনি। ইনস্টাগ্রামে লম্বা একটি পোস্ট করেছেন কোহলি। কোচের প্রতি তিনি কতটা কৃতজ্ঞ, সে কথা ফুটে উঠেছে তাঁর প্রতিটি শব্দে।
কোহলি লিখেছেন, “কিছু কিছু ক্রীড়াবিদের কাছে খেলাধুলো বরাবরই দ্বিতীয় স্থানে থাকে। আমার মতে, প্রথম দিন থেকে যাঁরা আপনার উপর বিশ্বাস রেখেছেন তাঁদের নিয়ে উচ্ছ্বসিত হওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ। আমি সারা জীবনের জন্য কৃতজ্ঞ রাজকুমার স্যরের কাছে, যিনি শুধু আমার কাছে এক জন কোচ নন, একজন পথপ্রদর্শক। যিনি গোটা যাত্রাপথে আমাকে উৎসাহ দিয়ে গিয়েছেন।”
এর পরেই কোচের উদ্দেশে কোহলি লিখেছেন, “আমি স্রেফ একটা ছোট ছেলে ছিলাম যার একটা স্বপ্ন ছিল। কিন্তু শুধুমাত্র আপনার বিশ্বাসেই ১৫ বছর আগে ভারতীয় দলের জার্সি পরার সৌভাগ্য হয়েছে। প্রতিটা উপদেশ, প্রতিটা ব্যাটিংয়ের পাঠ, আমার মাথায় প্রতিটা গাঁট্টা, আমার পিঠে প্রতিটা চাপড় এবং আমার স্বপ্নকে নিজের স্বপ্ন ভেবে তা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যে আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।”
এর পরেই কোহলি লিখেছেন, “এটাই আমার কোচের গল্প। এ বার আমি আপনাদেরটাও জানতে চাই। একজন ব্যক্তির কথা লিখুন, যিনি বন্ধু, অভিভাবক, কোচ, খেলোয়াড় বা যে কেউ হতে পারে, যিনি আপনাকে সামনের দিকে এগিয়ে দিয়েছেন, অনুপ্রাণিত করেছেন অথবা যাঁর গল্প আপনাকে খেলাধুলোকে বেছে নিতে অনুপ্রাণিত করেছে।” যাঁরা সেরা হবেন, তাঁদের জন্যে বিশেষ পুরস্কারের ব্যবস্থাও রাখছেন কোহলি।
দিল্লি ম্যাচের আগে অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে ম্যাচ শুরুর আগে অনুশীলন করছিলেন বিরাট। সেই সময় মাঠে আসেন রাজকুমার। তাঁকে দেখে এগিয়ে আসেন বিরাট। কোচের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেন তিনি। আড্ডা দেন কোচের সঙ্গে। যা সমর্থকদের মন জয় করে নিয়েছে। বিরাট প্রথমে কোচকে প্রণাম করেন, তার পর গ্যালারির উদ্দেশে করে কিছু বলেন। বিরাটের পরিবারের লোকজন এসেছিলেন মাঠে। হয়তো সে কথাই বলছিলেন তিনি কোচকে।
দিল্লির মাঠে ৫৫ রান করেন বিরাট। ৭০০০ রান করেন আইপিএলে। সেই ইনিংসের পর বিরাট বলেন, “আমার ক্রিকেট কেরিয়ারের পথে এই ৭০০০ রান একটা মাইলফলক। স্ক্রিনে দেখলাম সেটা। ভাল লাগল। এটা যদি দলকে সাহায্য করে, আমি তা হলেই খুশি। আমার কাছে এই মুহূর্তটা খুব স্পেশাল কারণ মাঠে আমার পরিবার এসেছে, কোচ এসেছেন, অনুষ্কা এসেছে।”
দিল্লির মাঠে খেলেই বড় হয়েছেন বিরাট। তিনি বলেন, “আমার ক্রিকেট যাত্রা শুরু হয়েছিল এখানে। এই মাঠেই নির্বাচকেরা আমার খেলা দেখেছিলেন এবং দলে নিয়েছিলেন। সেই সব কিছুর জন্য ঈশ্বরকে ধন্যবাদ। অনুষ্কা আমার সঙ্গে বিভিন্ন ক্রিকেট সফরে যায়, সেটা আমার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পরিবার আমার কাছে সব থেকে আগে। ক্রিকেট আমার জীবনের একটা অংশ। ক্রিকেট খেলতে ভাল লাগে, তাই খেলি। অনুষ্কা যখন আমার খেলা দেখতে স্টেডিয়ামে আসে, সেটা দারুণ উপভোগ করি। আমার দাদা, দিদি এসেছে মাঠে। ওদের পরিবারও এসেছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy