বেঙ্কটেশ আয়ার অলরাউন্ডার। ব্যাটিংয়ের সঙ্গে মিডিয়াম পেস বলও করেন। কিন্তু এ বারের আইপিএলে বেঙ্কটেশ শুধু ব্যাট করছেন। শতরানও করেছেন। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে তাঁকে। শুধু ব্যাটিংয়ের সময় নামানো হচ্ছে বেঙ্কটেশকে। অলরাউন্ডারের মতে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার আসায় অলরাউন্ডারদের প্রয়োজন কিছুটা কমে গিয়েছে আইপিএলে।
যে কোনও দল এক জন বাড়তি ব্যাটার বা বোলারকে প্রথম একাদশে রাখতে পারছে এ বারের আইপিএলে। ম্যাচে নিজেদের সুবিধা অনুযায়ী সেই ব্যাটার বা বোলারকে পরিবর্তন করে নিচ্ছে দলগুলি। বেঙ্কটেশ বলেন, “ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়ম আসায় এখন অলরাউন্ডারদের বেশি ওভার বল করতে হচ্ছে না। সেই জায়গায় এক জন বোলারকে এনে খেলানো হচ্ছে। ষষ্ঠ বোলার পেয়ে গেলে কেন শুধু শুধু অলরাউন্ডারকে দিয়ে বল করানো হবে। আমি এটাকে কোনও অসুবিধা বলব না। তবে এই পরিবর্তনটা অবশ্যই এসেছে। এক জন অলরাউন্ডারের প্রয়োজনীয়তা কমেছে।”
মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে ১০৪ রানের ইনিংস খেলেন বেঙ্কটেশ। যদিও দল জিততে না পারায় খুশি নন তিনি। বেঙ্কটেশ বলেন, “ওই ১০৪ রানের কোনও গুরুত্ব নেই আমার কাছে। দল হেরে গিয়েছে। চেষ্টা করব আরও ভাল খেলতে, যাতে দল জিততে পারে।”
আরও পড়ুন:
বেঙ্কটেশ মনে করেন ২০ ওভারের ক্রিকেটের জন্য ৫০ ওভারের ক্রিকেটেও বদল এসেছে। তিনি বলেন, “এখন দলগুলো ৫০ ওভারের ক্রিকেটেও চেষ্টা করছে শেষ ১০ ওভারে রান তুলতে। ২০ ওভারের ক্রিকেটের মতোই ভাবতে দেখা যাচ্ছে। তবে দিনের শেষে খেলাটা ক্রিকেট। ব্যাট একই রকম ভাবে করতে হয়। শুধু মানসিকতায় কিছু বদল এসেছে।”
চোট সারিয়ে ফিরে এসেছেন বেঙ্কটেশ। এখন তিনি বল করতেও তৈরি। বেঙ্কটেশ বলেন, “আমি ১০০ শতাংশ ফিট। সেটা না হলে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমি আমাকে ছাড়ত না। বল করতেও তৈরি আমি। আইপিএলের আগে আমি বল করেওছি।” কেকেআর যদিও তাঁকে দিয়ে এখনও পর্যন্ত বল করায়নি।
বৃহস্পতিবার কলকাতা নাইট রাইডার্স খেলবে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে। দিল্লির মাটিতে সেই ম্যাচ রয়েছে। এখনও পর্যন্ত এ বারের আইপিএলে একটি ম্যাচও জিততে পারেনি দিল্লি। সেই দলের বিরুদ্ধে নামার আগে কিছুটা আত্মবিশ্বাসী থাকবে কেকেআর। যদিও পর পর দু’টি ম্যাচে হারতে হয়েছে তাদের। তাই জয়ে ফিরতে মরিয়া হয়ে থাকবে কেকেআর।