গুণগত মানের নিরিখে শুভমনের শতরানকে কোহলির থেকে এগিয়ে রেখেছেন মুডি। ছবি: গুজরাত টাইটান্স।
আইপিএলের লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে দু’টি শতরান উপহার পেয়েছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। প্রথম শতরানটি উপহার দিয়েছিলেন বিরাট কোহলি। দ্বিতীয় শতরানটি এসেছিল শুভমন গিলের ব্যাট থেকে। ক্রিকেটপ্রেমীরা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের উত্তাপ উপভোগ করলেও দু’জনের শতরানের মধ্যে পার্থক্য খুঁজে পেয়েছেন টম মুডি।
কোহলি শতরান করেও জেতাতে পারেননি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে। অন্য দিকে, শুভমনের শতরান গুজরাত টাইটান্সকে জেতানোর পাশাপাশি আইপিএল থেকে ছিটকে দিয়েছে কোহলিদের। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের প্রাক্তন কোচ মুডির মতে, কোহলির শতরান শুভমনের সেঞ্চুরির তুলনায় মন্থর। সেটাই প্রভাবিত করেছে ম্যাচের ফলাফলকে।
কোহলি ১০১ রান করেছিলেন ৬১ বলে। শুভমন ৫২ বলে ১০৪ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। পার্থক্য শুধু এটুকু নয়। কোহলি ১৩টি চার মারলেও ছক্কা মারেন ১টি। শুভমনের ব্যাট থেকে ৫টি চারের পাশাপাশি ৮টি ছয় মারেন। রবিবার দু’জনেই এ বারের আইপিএলে নিজের দ্বিতীয় শতরান করেছেন। তার আগে দু’জনেই হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে শতরান করেছিলেন।
মুডির মতে, ২২ গজে শুভমনকে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী দেখিয়েছে। হায়দরাবাদের প্রাক্তন কোচ বলেছেন, ‘‘শুভমনকে অনেক বেশি জমাট দেখিয়েছে উইকেটে। ওর মুখের অভিব্যক্তি এবং শরীরের ভাষা থেকেই সেটা বোঝা যাচ্ছিল। অনেক বেশি নিয়ন্ত্রিত ইনিংস খেলেছে শুভমন। আটটা ছয়! এটাই দুটো শতরানের পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। কোহলিও দারুণ শতরান করেছে। কিন্তু শুভমন ২০০ স্ট্রাইক রেট রেখে ইনিংস এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে। রান তাড়া করার সময় এমন ইনিংস খেলা সহজ নয়। দু’জনের শতরানের সব থেকে বড় তফাত এটাই।’’
হায়দরাবাদের প্রাক্তন কোচের মতে, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সাফল্যের অন্যতম প্রধান শর্ত দ্রুত রান তোলা। এই ক্ষেত্রেই শুভমন পিছনে ফেলে দিয়েছেন কোহলিকে। যা প্রভাব ফেলেছে ম্যাচের ফলাফলে। ২০১৩ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত হায়দরাবাদের কোচ ছিলেন মুডি। তার আগে ২০০৮ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত পঞ্জাব কিংস ইলেভেনের কোচ ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন ক্রিকেটার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy