আরসিবির উইকেট পড়ার পরে কেকেআর ক্রিকেটারদের উল্লাস। ছবি: আইপিএল।
বেঙ্গালুরুর ঘরের মাঠে জয়ের ধারা বজায় রেখেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। চিন্নাস্বামীতে ২০১৫ সালের পর থেকে কেকেআরকে হারাতে পারেনি আরসিবি। শুক্রবারের ম্যাচেও সেটাই হয়েছে। প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ১৮২ রান করেছিল আরসিবি। সহজেই সেই রান তাড়া করে জিতেছে কেকেআর।
বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে জয়ের নেপথ্যে কেকেআরের তিন নায়ককে বেছে নিল আনন্দবাজার অনলাইন।
সুনীল নারাইন: প্রথমে বল ও তার পর ব্যাট হাতে সফল নারাইন। আরসিবির বিরুদ্ধে ৪ ওভারে ৪০ রান দিয়ে ১টি উইকেট নেন নারাইন। ভয়ঙ্কর দেখানো গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে আউট করেন তিনি। নারাইনের ওভারে আগেও ম্যাক্সওয়েলের একটি ক্যাচ পড়েছিল। চিন্নাস্বামীর উইকেটে ওভার প্রতি ১০ রান খুব খারাপ বোলিং নয়।
পরে ওপেন করতে নেমেও নিজের কাজ করেন নারাইন। আগের ম্যাচে ওপেন করতে নেমে রান পাননি। কিন্তু এই ম্যাচে ফর্মে ছিলেন তিনি। ২২ বলে ৪৭ রানের ইনিংস খেলেন। মারেন ২টি চার ও ৫টি ছক্কা। ২১৩.৬৪ স্ট্রাইক রেটে রান করেন নারাইন। বেঙ্গালুরুর পেসারদের বিরুদ্ধে নারাইনের ব্যাটে পাওয়ার প্লে-তে ৮৫ রান তোলে কলকাতা। সেখানেই খেলার ভাগ্য নিশ্চিত হয়ে যায়।
বেঙ্কটেশ আয়ার: সুনীল নারাইন যেখানে শেষ করেছিলেন, সেখান থেকেই শুরু করেন বেঙ্কটেশ। পর পর নারাইন ও ফিল সল্ট আউট হয়ে গিয়েছিলেন। আরও একটি উইকেট পড়লে সমস্যায় পড়ত কলকাতা। কিন্তু বেঙ্কটেশ রান তোলার গতি কমতে দেননি। ৩০ বলে ৫০ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। ৩টি চার ও ৪টি ছক্কা মারেন। ১৬৬.৬৭ স্ট্রাইক রেটে দলের জয় প্রায় নিশ্চিত করে আসেন বেঙ্কটেশ।
অনুকূল রায়: গোটা ম্যাচে মাত্র ২ ওভার বল করেছেন অনুকূল। ব্যাটও করেননি এই বাঁ হাতি। কিন্তু তার পরেও কেকেআরের জয়ের তৃতীয় নায়ক তিনি। কারণ, ২ ওভারে মাত্র ৬ রান দিয়েছেন এই স্পিনার। তিনি বল করতে আসেন পঞ্চম ওভারে। প্রথম চার ওভারে ৪৩ রান করেছিল আরসিবি। বড় শট খেলছিলেন বিরাট কোহলি। মাত্র ৩ রান দেন অনুকূল। পরের ওভারে আবার ওঠে ১৫ রান। তার পরের ওভারে আবার অনুকূল মাত্র ৩ রান দেন। এই দুই ওভারে আরসিবির রান তোলার গতি ধাক্কা খায়। ফলে খেলায় ফিরতে পারে কেকেআর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy