আলোচনা: পোলার্ডের সঙ্গে রোহিত। শুক্রবার ইডেনে। —নিজস্ব চিত্র।
মুম্বই ইন্ডিয়ানস শিবির নিয়ে মাঠের বাইরে আলোচনার কোনও অন্ত নেই। রোহিত শর্মাকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর থেকে কমে গিয়েছে ভক্তের সংখ্যা। হার্দিক পাণ্ড্যের নেতৃত্বে দলের ব্যর্থতা যেন কাটা ঘায়ে নুনের ছিঁটের মধ্যে বিঁধেছে মুম্বই সমর্থকদের মনে। তবুও হার্দিকের পাশে দাঁড়াচ্ছেন সতীর্থদের অনেকেই।
মুম্বইয়ের তরুণ পেসার জেরাল্ড কোয়েটজ়া জানিয়ে গেলেন, অধিনায়ক হিসবে হার্দিকের তুলনা হয় না। বলছেন, ‘‘প্রত্যেক অধিনায়কেরই নিজস্ব কিছু ধরন থাকে। সেই অনুযায়ী নেতৃত্ব দেয়। হার্দিকও আসাধারণ অধিনায়ক।’’ যোগ করেন, ‘‘প্রত্যেককে উদ্বুদ্ধ করে। যে কোনও সমস্যা ওর কাছে খুলে বলা যায়।’’
দক্ষিণ আফ্রিকার তারকা পেসার জানিয়ে গেলেন, প্লে-অফের কোনও আশা আর না থাকলেও মুম্বই মরিয়া চেষ্টা করবে ইডেনে জেতার। তাঁর কথায়, ‘‘প্রত্যেক ম্যাচেই সেরাটা দেওয়ার জন্য নামি। প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে গেলাম কি না সেটা কোনও পার্থক্য গড়ে না। আমরা যে ধরনের ক্রিকেট খেলি, সেটাই চালিয়ে যাব। এখান থেকে প্রত্যেকটি ম্যাচ জেতাই আমাদের লক্ষ্য।’’
মুম্বইয়ের অনুশীলনে যশপ্রীত বুমরা এ দিন এলেন না। রোহিত শর্মা এলেও নেটে ব্যাট করলেন না। তাঁকে কথা বলতে দেখা গেল না হার্দিক পাণ্ড্যের সঙ্গেও। কোয়েটজ়ার কাছে জানতে চাওয়া হয় মুম্বইয়ের ড্রেসিংরুমের পরিস্থিতিটা কী? কেন এত দূরত্ব রোহিত ও হার্দিকের মধ্যে? তরুণ পেসারের উত্তর, ‘‘ড্রেসিংরুমের পরিবেশ একেবারেই স্বাভাবিক। হ্যাঁ অনেক ভুল করেছি। আবার ভালও খেলেছি।’’ যোগ করেন, ‘‘এত ম্যাচ হারলেও ড্রেসিংরুমের পরিবেশে তার প্রভাব পড়েনি।’’
বুমরার কাছ থেকে মূল্যবান পরামর্শ পেয়েছেন কোয়েটজ়া। ভারতীয় পেসার কেন বাকিদের চেয়ে আলাদা, তাও ব্যাখ্যা করে গেলেন। বলছিলেন, ‘‘এক জায়গায় টানা বলে করে যাওয়ার দক্ষতা সকলের মধ্যে থাকে না। এ বারের আইপিএলে বুমরা দেখিয়েছে, কী ভাবে টানা এক জায়গায় বল করতে হয়। ওর থেকে এটাই শেখার।’’ কেকেআর-মুম্বই ম্যাচ দেখতে ইডেনে হাজির রোহিত শর্মার সবচেয়ে বড় ভক্ত। তিনি নাগপুরের দীপক পটেল। শরীরে রোহিতের ট্যাটু করা। ন’টি ভাষায় লেখা ভারত অধিনায়কের নাম। তাঁকে এ বার ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আমেরিকায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দেখাতে নিয়ে যাচ্ছেন রোহিত। উচ্ছ্বসিত দীপক বলছিলেন, ‘‘রোহিত স্যর আমাকে খুব ভালবাসেন। স্যরের ম্যাচ দেখার জন্য ভারতের যে কোনও প্রান্তে চলে যেতাম। আমার পরিশ্রম ও ভালবাসায় মুগ্ধ হয়ে প্রথম বিদেশ যাত্রার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন স্যর। বাংলাদেশ যাই, শ্রীলঙ্কায় এশিয়া কাপ দেখি। এ বার যাচ্ছি ওয়েস্ট ইন্ডিজে। আমেরিকার ভিসা এখনও পাইনি। আশা করি, রোহিত স্যর সেই ব্যবস্থাও করবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy