লখনউয়ের বিরুদ্ধে ম্যাচের পরে মাঠেই প্রতিপক্ষ ক্রিকেটারের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়েছেন বিরাট কোহলি। —ফাইল চিত্র
বিরাট কোহলি ও নবীন উল হকের মধ্যে বিবাদের ঘটনায় আফগান ক্রিকেটারেরই পাশে দাঁড়ালেন পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক শাহিদ আফ্রিদি। তাঁর মতে, ঘটনায় বিরাটেরই দোষ ছিল। তিনিই প্রথমে নবীনকে খারাপ কথা বলেছিলেন। সেই কারণেই নবীন রেগে যান।
পাকিস্তানের এক টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আফ্রিদি বলেন, ‘‘নবীনকে বিনা কারণে খোঁচা দিলে তখনই ও প্রতিক্রিয়া দেয়। আমি ওকে অনেক বল করতে দেখেছি। রান দিলেও ওকে কোনও দিন কারও সঙ্গে ঝগড়া করতে দেখিনি। ওকে এত উত্তেজিত হতেও দেখিনি। প্রতিটা দলেই কিছু আগ্রাসী ক্রিকেটার থাকে। জোরে বোলারদের আগ্রাসন এমনিতেই বেশি হয়। দোষ বিরাটেরই ছিল।’’
আফ্রিদি এই ঘটনায় নবীনের পাশে দাঁড়ালেও কয়েক মরসুম আগে পাকিস্তান সুপার লিগে আফ্রিদির সঙ্গেই বিবাদ হয়েছিল নবীনের। মাঠের মধ্যে সেই বিবাদের পরে সমাজমাধ্যমে নবীনকে পরামর্শও দিয়েছিলেন আফ্রিদি। তার পাল্টা দিয়েছিলেন নবীন। অথচ এ ক্ষেত্রে আফগান ক্রিকেটারই পাশে দাঁড়ালেন আফ্রিদি।
আইপিএলে সোমবার ম্যাচ চলাকালীনই নবীনের সঙ্গে বিবাদ শুরু হয় কোহলির। লখনউয়ের ইনিংসের শেষ দিকে বিরাটের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয় আফগান বোলারের। পরিস্থিতি সামলাতে এগিয়ে আসতে হয় আম্পায়ারদের। সেই বিবাদ ম্যাচের পরেও চলতে থাকে। নবীন আউট হওয়ার সময় উত্তেজিত হয়ে উল্লাস করেন কোহলি। টুপি খুলে মাটিতে ছুড়ে ফেলেন। সেটা ভাল ভাবে নেননি নবীন। তাই হাত মেলানোর সময় কোহলিকে কিছু একটা বলেন লখনউয়ের বিদেশি ক্রিকেটার। পাল্টা কিছু বলেন কোহলিও। তার পরেই সেখানে আসেন গম্ভীর। তিনি কোহলিকে কিছু একটা বলেন। তার পরেই বিবাদ বেড়ে যায়।
পরিস্থিতি উত্তপ্ত হচ্ছে দেখে সেখানে এসে উপস্থিত হন দু’দলের বাকি ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফরা। কোহলি ও গম্ভীর দু’জনেই দিল্লির। লখনউয়ের স্পিনার অমিত মিশ্র ও সহকারী কোচ বিজয় দাহিয়াও দিল্লির হয়ে খেলেছেন। সেই কারণে তাঁরা কোহলি, গম্ভীরকে ভাল ভাবে চেনেন। তাঁরাই বেশি উদ্যোগী হয়ে দু’জনকে আলাদা করেন। লখনউয়ের অধিনায়ক লোকেশ রাহুলও ছিলেন সেখানে। কোহলিকে সরিয়ে নিয়ে যান আরসিবির অধিনায়ক ফ্যাফ ডুপ্লেসি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy