বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে অনবদ্য জয় ছিনিয়ে নিল ধোনির চেন্নাই। ছবি: আইপিএল।
বিরাট কোহলিদের ঘরের মাঠে দাপট দেখাল মহেন্দ্র সিংহ ধোনির দল। টস হেরে চেন্নাই সুপার কিংসকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠান রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর অধিনায়ক ফ্যাফ ডুপ্লেসি। চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে দাপুটে ব্যাটিং করে রান তুললেন চেন্নাইয়ের ব্যাটাররা। ডুপ্লেসি এবং গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের ঝড়ের তুলনায় তাঁদের দাপট ম্লান মনে হলেও শেষ হাসি হাসলেন ধোনিরাই। ধোনিদের ৬ উইকেটে ২২৬ রানের জবাবে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর করল ৮ উইকেটে ২১৮।
৭৫ দিন আগে শেষ রঞ্জি ট্রফির ম্যাচ হয়েছিল চেন্নাই-বেঙ্গালুরু ম্যাচের ২২ গজে। শুকনো এবং পাটা উইকেটে কত রান করলে নিরাপদে থাকা যাবে, তা নিয়ে ম্যাচের শুরুতে নিশ্চিত ছিলেন না ধোনি। তাই চেন্নাই অধিনায়কের নির্দেশ ছিল, যতটা সম্ভব বেশি রান তুলতে হবে। সেই মতোই প্রথম থেকেই চালিয়ে খেলতে শুরু করেন ডেভন কনওয়ে। অন্য ওপেনার রুতুরাজ গায়কোয়াড় (৩) দ্রুত আউট হলেও প্রভাব পড়ল না চেন্নাইয়ের ইনিংসে। অজিঙ্ক রাহানে, শিবম দুবেরাও একই রকম দাপটে খেললেন। কনওয়ে খেললেন ৪৫ বলে ৮৩ রানের দুরন্ত ইনিংস। তাঁর ব্যাট থেকে এল ৬টি করে বাউন্ডারি এবং ওভার বাউন্ডারি। তিন নম্বরে নামা রাহানে করলেন ২০ বলে ৩৭। এ বারের আইপিএলে নতুন মেজাজে দেখা যাচ্ছে ভারতীয় দল থেকে দূরে চলে যাওয়া অভিজ্ঞ ব্যাটারকে। ৩টি চার এবং ২টি ছক্কা মারলেন রাহানে। শিবমকে সামলাতেও সমস্যায় পড়লেন আরসিবির বোলাররা। তাঁর ২৭ বলে ৫২ রানের ইনিংসে রয়েছে ২টি চার এবং ৫টি বিশাল ছক্কা।
এক সময় মনে হচ্ছিল ধোনিরা ২৪০ রানের কাছাকাছি তুলবেন। তা হল না শেষ দিকে ধারাবাহিক ভাবে উইকেট হারানোয়। মইন আলি ৯ বলে ১৯ রান করে অপরাজিত থাকলেও অম্বাতি রায়ডু, রবীন্দ্র জাডেজারা ব্যাট হাতে ক্রিকেটপ্রেমীদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারলেন না। রায়ডু ৬ বলে ১৪ এবং জাডেজা ৮ বলে ১০ রান করে আউট হয়ে গেলেন। শেষে মইনের সঙ্গে ২২ গজে অপরাজিত ছিলেন ধোনি (১)।
বেঙ্গালুরুর কোনও বোলারই তেমন সুবিধা করতে পারেননি। সফলতম বোলার ওয়ানিন্দু হারসঙ্গ। শ্রীলঙ্কার স্পিনার ২ ওভারে ২১ রান দিয়ে ১ উইকেট নিলেন। বেঙ্গালুরুর সব বোলারই একটি করে উইকেট পেয়েছেন। কিছুটা ভাল বল করলেন মহম্মদ সিরাজ। তিনি ৩০ রান খরচ করে ১ উইকেট নিয়েছেন।
জয়ের জন্য ২২৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভাল হয়নি বেঙ্গালুরুর। প্রথমেই আউট হয়ে গেলেন কোহলি। ৪ বলে ৬ রান করে আকাশ সিংহের বলে বোল্ড হলেন তিনি। ব্যর্থ তিন নম্বরে নামা মহীপাল লোমরোরও (শূন্য)। ১৫ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ঘরের মাঠে চাপে পড়ে যায় আরসিবিরা। সেই চাপ কাটল অধিনায়ক ডুপ্লেসির ব্যাটে। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত করলেন অস্ট্রেলীয় অলরাউন্ডার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। তৃতীয় উইকেটের জুটিতে পাল্টা আক্রমণের পথে হাঁটলেন তাঁরা। চেন্নাইয়ের কোনও বোলারকেই রেয়াত করলেন না তাঁরা। ডুপ্লেসি-ম্যাক্সওয়েল জুটির দাপটে কিছুটা দিশেহারা দেখাল অভিজ্ঞ ধোনিকেও। তাঁদের তৃতীয় উইকেটের জুটিতে উঠল ৬১ বলে ১২৬ রান। ম্যাক্সওয়েল করলেন ৩৬ বলে ৭৬ রান। মারলেন ৩টি চার এবং ৮টি বিশাল ছক্কা। তিনি আউট হওয়ার পর বেশি ক্ষণ উইকেটে থাকতে পারলেন না ডুপ্লেসিও। বেঙ্গালুরু অধিনায়কের ব্যাট থেকে এল ৩৩ বলে ৬২ রান। তিনি মারলেন ৫টি চার এবং ৪টি ছয়।
তাঁরা পর পর আউট হওয়ার পর আবার লড়াইয়ে ফেরেন ধোনিরা। যদিও বেঙ্গালুরুর ইনিংসের হাল ধরেন শাহবাজ় আহমেদ এবং দীনেশ কার্তিকের জুটি। কার্তিক আউট হলেন ১৪ বলে ২৮ রান করে। তাঁর পরই সাজঘরে ফিরলেন শাহবাজ়ও (১২)। এই দুই ব্যাটার আউট হতেই বেঙ্গালুরুর জয়ের আশা এক রকম শেষ হয়ে যায়। শেষ দিকে সুযশ প্রভুদেশাই চেষ্টা করলেও দলকে জয় এনে দিতে পারলেন না। তিনি করলেন ১১ বলে ১৯ রান।
চেন্নাইয়ের বোলারদের মধ্যে সফলতম তুষার দেশপাণ্ডে নিলেন ৪৫ রানে ৩ উইকেট। মাথিশা পাথিরানা ৪২ রান খরচ করে নিলেন ২ উইকেট। ১টি করে উইকেট পেলেন আকাশ সিংহ, মাহিশ থিকসানা এবং মইন আলি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy