শেষ ওভারে দিল্লির জয়ের জন্য দরকার ছিল ৩৬ রান। প্রথম তিন বলে তিনটি ছক্কা মারেন পাওয়েল। কিন্তু তৃতীয় বল কোমরের উচ্চতার কাছাকাছি ফুলটস ছিল। মাঠের আম্পায়াররা নো বল না দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে দিল্লি শিবির। ডাগ আউট থেকে সমানে ওয়ার্নার, পন্থরা নো বলের ইঙ্গিত করতে থাকেন। তৃতীয় আম্পায়ারের আবেদন জানান।
মিশ্র প্রতিক্রিয়া সমর্থকদের মধ্যে ছবি: টুইটার
রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে ইনিংসের শেষ ওভারে নো-বলকে কেন্দ্র করে বিতর্কে দিল্লি ক্যাপিটালসের অধিনায়ক ঋষভ পন্থের নিন্দা করলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার কেভিন পিটারসন। তাঁর মতে, ক্রিকেটে এই ধরনের ঘটনা ঠিক নয়। শিশুসুলভ আচরণ করেছেন দিল্লির অধিনায়ক।
ম্যাচ শেষে পিটারসন বলেন, ‘‘এটা ক্রিকেট, ফুটবল নয়। পন্থ শিশুসুলভ আচরণ করেছে। আমি নিশ্চিত রিকি পন্টিং ওখানে থাকলে এই ধরনের কিছু হত না। মাঠের মধ্যে এ ভাবে এক জনকে পাঠিয়ে আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলা মোটেই ঠিক নয়। এটা সভ্য মানুষের খেলা। সে ভাবেই খেলা উচিত।’’
শুধু পিটারসন নয়, বেশ কিছু সমর্থকও দিল্লি শিবিরের ব্যবহারে ক্ষুব্ধ। তাঁদের মতে, ক্ষোভ দেখাতে গিয়ে হয়তো নিজেদেরই ক্ষতি করে ফেলেছে দিল্লি। কারণ সেই সময় পর পর তিন বলে তিনটি ছক্কা মেরেছিলেন রভম্যান পাওয়েল। পরের তিন বলেও সেটা হতে পারত। তা হলে দিল্লি জিতত। কিন্তু এই বিতর্কের ফলে মনোসংযোগ নষ্ট হয়ে আউট হয়ে যান পাওয়েল।
তবে সমর্থকদের আর একটা অংশ সমর্থন করেছেন পন্থকে। তাঁদের বক্তব্য, রিপ্লে-তে দেখা গিয়েছে পরিষ্কার নো-বল। তার পরেও তৃতীয় আম্পায়ারের দ্বারস্থ হননি মাঠের আম্পায়ার। বলটি নো বল হলে পরের বল ফ্রি হিট হত। সেই সঙ্গে আরও একটি বল পেতেন পাওয়েল। তা হলে জেতার সুযোগ আরও বাড়ত। সেই পরিস্থিতিতে অধিনায়ক হিসাবে দলের জন্য লড়েছেন পন্থ। সেটাই ঠিক মনোভাব।
শেষ ওভারে দিল্লির জয়ের জন্য দরকার ছিল ৩৬ রান। প্রথম তিন বলে তিনটি ছক্কা মারেন পাওয়েল। কিন্তু তৃতীয় বল কোমরের উচ্চতার কাছাকাছি ফুলটস ছিল। মাঠের আম্পায়াররা নো বল না দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে দিল্লি শিবির। ডাগ আউট থেকে সমানে ওয়ার্নার, পন্থরা নো বলের ইঙ্গিত করতে থাকেন। তৃতীয় আম্পায়ারের আবেদন জানান। কিন্তু, সেই আবেদনে মাঠের আম্পায়াররা সাড়া না দেওয়ায় দিল্লি শিবিরের ক্ষোভের পারদ আরও চড়ে। রিপ্লেতে দেখা যায় বল পাওয়েলের ব্যাটে লাগার সময় তার উচ্চতা ছিল কোমরের সামান্য উঁচুতে।
তা দেখেই পাওয়েল এবং কুলদীপ যাদবকে মাঠ থেকে বেরিয়ে আসার নির্দেশ দেন দিল্লি অধিনায়ক। দুই ব্যাটার মাঠের বাইরে চলে যেতে চাইলে তাঁদের আটকান মাঠের আম্পায়াররা। তাঁদের বোঝান এ ভাবে ম্যাচ ছেড়ে চলে যাওয়া যায় না। আম্পায়ারদের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। পন্থ অবশ্য সমানে মাঠের বাইরে থেকে দুই ব্যাটারকে চলে আসার নির্দেশ দিতে থাকেন। এ সময় হঠাৎ করেই সবাইকে চমকে গিয়ে মাঠে ঢুকে পড়েন দিল্লির অন্যতম সাপোর্ট স্টাফ প্রবীণ আমরে। তিনি গিয়ে আম্পায়ারদের সঙ্গে তর্কে জড়ান। যদিও পরে পন্থ স্বীকার করে নেন, তাঁরা যা করেছেন তা ঠিক নয়। কিন্তু আম্পায়ারের সিদ্ধান্তেরও সমালোচনা করেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy