যশ দয়াল। —ফাইল চিত্র।
অখিলবন্ধু ঘোষের গান “ও দয়াল বিচার করো”। আইপিএলে দয়ালের বিচার হল। শনিবার যশ দয়ালের বিচার হল ক্রিকেটের মাঠে। গত বারের আইপিএলে আমদাবাদের মাঠে রিঙ্কু সিংহ পাঁচ ছক্কা মেরে ম্যাচ জিতিয়েছিলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সকে। বোলার ছিলেন দয়াল। শনিবার প্লে-অফে ওঠার জন্য চেন্নাই সুপার কিংসের শেষ ওভারে ১৭ রান প্রয়োজন ছিল। ৭ রানের বেশি তুলতে পারেনি তারা। বোলার সেই দয়াল। ম্যাচ জিতিয়েই মাকে ফোন করলেন তিনি।
গত বার রিঙ্কুর মারা পাঁচ ছক্কার পর মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে গিয়েছিলেন দয়াল। তাঁকে বেশ কিছু ম্যাচে বসিয়ে রেখেছিল গুজরাত টাইটান্স। সেই সময় দয়ালের পরিবার তাঁর পাশে ছিল। মা রাধা সেই সময় অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন ছেলের ক্রিকেট জীবন চরম অনিশ্চয়তার পথে চলে যাওয়ায়। গুজরাত দয়ালকে ছেড়ে দেয়। ভেঙে পড়া দয়ালকে গড়ার দায়িত্ব নেয় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। নিলামে দয়ালকে কিনে নেয় তারা। সেই সিদ্ধান্ত যে ভুল ছিল না তা শনিবার প্রমাণ করে দিলেন ভারতীয় পেসার। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১৭ রান। উল্টো দিকে মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। প্রথম বলেই ছক্কা মারেন তিনি। তার পরেও ম্যাচ জিতে নেয় আরসিবি। খুলে যায় প্লে-অফের রাস্তাও।
আর ম্যাচ জিতিয়েই মাকে ফোন করেন দয়াল। জিজ্ঞেস করেন, “কেমন আছ মা?” মাঝরাতে দয়ালের উত্তরপ্রদেশের বাড়িতেও শুরু হয়ে যায় উৎসব। দয়ালের বাবা চন্দ্রপল বলেন, “দয়াল বলেছে, প্রথম বলে ছক্কা খাওয়ার পরেও ও আত্মবিশ্বাসী ছিল দলকে প্লে-অফে তোলার বিষয়ে।”
২৭ রানে জিতেছে বেঙ্গালুরু। তার পর থেকে দয়াল পরিবারের ফোন বেজেই চলেছে। এক বছর আগে যিনি খলনায়ক হয়ে গিয়েছিলেন। সেই দয়ালই নায়ক হয়ে গেলেন শনিবার। ম্যাচের পর দয়াল বলেছেন, “প্রথম বলেই ছয় খাওয়ার পর মাথার মধ্যে হঠাৎ করেই রিঙ্কুর সেই ইনিংসের কথা মনে পড়ে গিয়েছিল। সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে বুঝিয়েছিলাম, ওই ঘটনার পর থেকে আমি ভাল খেলেছি। পরের বলগুলো আরও ভাল করার দিকে নজর দিয়েছিলাম। স্কোরবোর্ডের দিকে তাকাইনি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy