পঞ্জাবের উইকেট পড়ার পরে রাজস্থানের ক্রিকেটারদের উল্লাস। ছবি: আইপিএল।
আবার জয়ে ফিরল রাজস্থান রয়্যালস। পঞ্জাব কিংসকে তাদের ঘরের মাঠে হারালেন সঞ্জু স্যামসনেরা। বোলারদের দাপটে পঞ্জাবকে ১৪৭ রানে আটকে রাখে রাজস্থান। রান তাড়া করতে নেমে চাপে পড়লেও দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়লেন শিমরন হেটমায়ার। এই জয়ের ফলে পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষেই থাকল রাজস্থান।
শিখর ধাওয়ান চোটের কারণে না থাকায় এই ম্যাচে পঞ্জাবকে নেতৃত্ব দেন স্যাম কারেন। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা খুব খারাপ করেননি জনি বেয়ারস্টো ও অথর্ব তাইরে। কিন্তু পাওয়ার প্লে-র মধ্যেই পঞ্জাবকে প্রথম ধাক্কা দেন আবেশ খান। ১৫ রানে অথর্বকে আউট করেন তিনি।
মাঝের ওভারেও নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট নিলেন রাজস্থানের বোলারেরা। বেয়ারস্টো ১৫, প্রভসিমরিন সিংহ ১০, অধিনায়ক কারেন ৬ রান করে আউট হন। পঞ্জাবের আশা ছিল শশাঙ্ক সিংহ এই ম্যাচেও দলের রানকে টানবেন। কিন্তু তিনি ৯ রান করে আউট হয়ে যান।
জিতেশ শর্মা ও লিয়াম লিভিংস্টোনের মধ্যে একটি জুটি হয়। জিতেশ ২৯ রান করে আউট হন। মাঝের ওভারে কেশব মহারাজ ও যুজবেন্দ্র চহাল পঞ্জাবকে আটকে রাখেন। কুলদীপ সেন ও আবেশও উইকেট নেন।
চোট সারিয়ে খেলতে নামা লিভিংস্টোন ২১ রান করে রান আউট হয়ে যান। দেখে মনে হচ্ছিল, ১৩০ রানও করতে পারবে না পঞ্জাব। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসাবে নামা আশুতোষ শর্মা শেষ দিকে ঝোড়ো ইনিংস খেলেন। তাঁর ক্যাচও ছাড়ে রাজস্থান। তার খেসারত দিতে হয়। শেষ পর্যন্ত ১৪৭ রানে শেষ হয় পঞ্জাবের ইনিংস। ১৬ বলে ৩১ রান করে আউট হন আশুতোষ।
জস বাটলার না থাকায় রাজস্থানের হয়ে যশস্বী জয়সওয়ালের সঙ্গে ওপেন করতে নামেন তনুশ কোটিয়ান। পাওয়ার প্লে-তে উইকেট না পড়লেও রান তোলার গতি কম ছিল। বিশেষ করে তনুশ ধীরে রান করছিলেন। পঞ্জাবের বোলারেরাও গতির হেরফের করায় সমস্যা হচ্ছিল তাঁদের। পাওয়ার প্লে-র ৬ ওভারে ওঠে ৪৩ রান।
রাজস্থানকে প্রথম ধাক্কা দেন লিভিংস্টোন। তনুশকে ২৪ রানে আউট করেন তিনি। যশস্বী শুরুটা ভাল করলেও বড় রান করতে পারেননি। কাগিসো রাবাডার বলে ৩৯ রানের মাথায় আউট হন তিনি। অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসনও এই ম্যাচে রান পাননি। রাবাডার বলে তিনি ১৮ রান করে আউট হলে কিছুটা চাপে পড়ে রাজস্থান।
শেষ চার ওভারে জিততে দরকার ছিল ৪৩ রান। রাজস্থানকে জেতানোর দায়িত্ব গিয়ে পড়ে রিয়ান পরাগের কাঁধে। তিনি কয়েকটি বড় শট মারলেও শেষ পর্যন্ত টিকে থাকতে পারেননি। ২৩ রান করে আরশদীপ সিংহের বলে আউট হন পরাগ। ধ্রুব জুরেলকে আউট করেন হর্ষল পটেল। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট পড়ায় রাজস্থানের ইনিংস বার বার ধাক্কা খাচ্ছিল।
তখনও ক্রিজ়ে ছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের দুই ব্যাটার শিমরন হেটমায়ার ও রভম্যান পাওয়েল। ফলে আশা ছিল রাজস্থানের। হর্ষলের ওভারে একটি চার ও একটি ছক্কা মেরে দলকে জয়ের কাছে নিয়ে যান হেটমায়ার। শেষ দু’ওভারে দরকার ছিল ২০ রান। ১৯তম ওভারের প্রথম দুই বলে দু’টি চার মারেন পাওয়েল।
১০ বলে দরকার ছিল ১২ রান। দেখে মনে হচ্ছিল, হাসতে হাসতে রাজস্থান জিতবে। কিন্তু সেই ওভারে পাওয়েল ও কেশব মহারাজকে আউট করেন কারেন। লড়াই ছাড়েনি পঞ্জাব। শেষ ওভারে দরকার ছিল ১০ রান। বল করেন আরশদীপ। ব্যাট করছিলেন হেটমায়ার। প্রথম দুই বলে রান না পেলেও তৃতীয় বলে ছক্কা মারেন তিনি। সেখানেই খেলার ফল নিশ্চিত হয়ে যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy