মিচেল স্টার্ক। —ফাইল চিত্র।
মিচেল স্টার্কের দুর্বলতা কি ঢাকতে ব্যস্ত কলকাতা নাইট রাইডার্স! আইপিএলের ইতিহাসের সব থেকে দামি বোলারের ব্যর্থতা ঢাকার চেষ্টা করছে ম্যানেজমেন্ট। নইলে কেন বোলিং কোচ ভরত অরুণ থেকে শুরু করে দলের মেন্টর গৌতম গম্ভীরের মুখে শোনা যাচ্ছে স্টার্কের প্রশংসা। চলতি আইপিএলে চারটি ম্যাচে ১৫৪ রান দেওয়ার পরেও কেন স্টার্ককে খারাপ বলতে পারছেন না তাঁরা?
রবিবার ঘরের মাঠে লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে খেলতে নামবে কেকেআর। তার আগের দিন সাংবাদিক বৈঠকে স্টার্ককে নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। স্টার্কের ফর্ম নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। সরাসরি কোনও জবাব না দিয়ে কিছুটা ঘুরিয়ে কথা বলেন গম্ভীর। কলকাতার মেন্টর বলেন, “আমরা চারটি ম্যাচের মধ্যে তিনটে জিতেছি। সেটাই বড় কথা। ব্যক্তিগত ভাবে কোন ক্রিকেটার কেমন খেলছে সেটা আসল নয়। আসল হচ্ছে দলের জয়। কোনও দিন কোনও ক্রিকেটারের খারাপ জেতেই পারে।”
তার পরেই স্টার্কের প্রশংসা করেন গম্ভীর। তিনি বলেন, “স্টার্ক দারুণ বোলার। বিপক্ষ ওকে ভয় পায়। ওর বোলিংয়ে আমি সন্তুষ্ট। এটাও দেখতে হবে যে ওকে কঠিন সময়ে বল করতে হয়। আমি নিশ্চিত আগামী দিনে স্টার্কের সেরাটা দেখা যাবে।” সেই সঙ্গে গম্ভীর আরও জানিয়ে দেন, দল জিতছে বলেই কারও উপর আলাদা করে দায় চাপাচ্ছেন না তিনি। কেকেআরের মেন্টর বলেন, “দল জিতছে বলে আমি এ ভাবে উত্তর দিচ্ছি। দল হারলে হয়তো আপনার প্রশ্নের জবাব আমি অন্য ভাবে দিতাম।”
দলের ওপেনার ফিল সল্ট শুরুটা ভাল করলেও গত দুই ম্যাচে রান পাননি। যদিও তা নিয়ে বিশেষ চিন্তিত নন গম্ভীর। তিনি বলেন, “সল্ট আর নারাইনের ওপেনিং জুটি দুর্দান্ত হচ্ছে। কেকেআরের ওপেনিং জুটি নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। কিন্তু এ বার ওরা দারুণ খেলছে। ক্রিকেট দলগত খেলা। এক জনকে না দেখে জুটিকে দেখা উচিত। সল্টকে বসানোর কোনও কারণ নেই।”
গম্ভীর একই ভাবে দলের তরুণদের নিয়ে উচ্ছ্বসিত। অঙ্গকৃশ রঘুবংশী, বৈভব অরোরা, হর্ষিত রানারা নজর কেড়েছেন। মেন্টর হিসাবে তাঁদের কী পরামর্শ দিয়েছেন গম্ভীর? জবাবে তিনি বলেন, “ওদের চাপ সামলে খেলতে হয়। আইপিএলের সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বিশেষ তফাত নেই। ওদের নিজের উপর বিশ্বাস রাখতে বলি। ওদের ভরসা দিই। ক্রিকেটারের ভরসা পেলে নিজেদের সেরাটা দেয়। তবেই দল জেতে।”
নিজে অধিনায়ক থাকার সময় নারাইন ছিল তাঁর সেরা অস্ত্র। দু’জনের সম্পর্কও বেশ ভাল ছিল। এ বার মেন্টর হিসাবে কলকাতায় ফেরার পরে নারাইন তাঁকে কী বলেছিলেন? গম্ভীর বলেন, “ও বলেছিল, বাড়িতে স্বাগত। আসলে কিছু সম্পর্ক থাকে যেখানে আবেগ থাকে। আমাদেরটা সে রকমই। তাই ছ’বছর পরে কেকেআরের ফেরার পরেও সেই বন্ধুত্বটা থেকেই গিয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy