চনমনে: প্রস্তুতির ফাঁকে মালিঙ্গা, সঙ্গকারার সঙ্গে বোল্ট। নিজস্ব চিত্র।
কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে আইপিএলে নিয়মিত ইডেনে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে ট্রেন্ট বোল্ট ও প্রসিদ্ধ কৃষ্ণের। আজ, মঙ্গলবার গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে ইডেনে প্রথম কোয়ালিফায়ারে সেই অভিজ্ঞতাই হয়তো কাজে লাগাতে দেখা যাবে তাঁদের। গুরু লাসিথ মালিঙ্গার প্রশিক্ষণেই সোমবার মূল পিচের পাশে একটি স্টাম্প বসিয়ে ক্রমাগত বল করে গেলেন বোল্ট, প্রসিদ্ধ, জিমি নিশাম ও কুলদীপ সেন।
মূলত ইয়র্কার ও ওয়াইড ইয়র্কার ডেলিভারির প্রশিক্ষণ চলল তাঁদের। মালিঙ্গা নিজেই শুরুতে চারটি বল করে বুঝিয়ে দিলেন, কোন জায়গায় তিনি বল রাখতে বলছেন তাঁর দলের পেস ব্রিগেডকে। প্রসিদ্ধ ও বোল্ট দু’জনেই শুরুর দিকে বেশ কয়েকটি ফুল-টস ডেলিভারি করেছিলেন। মালিঙ্গা গুজরাত শিবিরের দিকে ইঙ্গিত করে হয়তো বোঝালেন, হার্দিক পাণ্ড্যরা এই ডেলিভারি পেলে সটান তা গ্যালারিতে পাঠিয়ে দিতে পারেন।
মালিঙ্গা ফের বল হাতে তুলে নিলেন। পরিচিত সেই অ্যাকশনেই বল করে দেখিয়ে দিলেন, কোন লাইনে বল করলে বিপক্ষ ব্যাটাররা সমস্যায় পড়তে পারেন। তাঁর হাত ধরে ধীরে ধীরে তীক্ষ্মতা বাড়িয়েছেন যশপ্রীত বুমরা। এ বার মালিঙ্গার দায়িত্ব প্রসিদ্ধকে তৈরি করার। প্রায় দেড় ঘণ্টা বোল্ট ও প্রসিদ্ধকে নিয়ে ইয়র্কার অনুশীলন চলে মালিঙ্গার। মাঝে এক বার বিশ্রাম নিতে গিয়েও ফের গুরুর কাছে ফিরে আসতে হয় দু’জনকে। বোঝা গেল, প্রাক্তন শ্রীলঙ্কা তারকার হাত থেকে সহজে রেহাই পাবেন না তাঁর দুই ছাত্র।
আর অশ্বিনকেও দেখা গেল নতুন অ্যাকশনে অনুশীলন করতে। অভিজ্ঞতার সঙ্গে হাতে বোলিং বৈচিত্রও বাড়ছে অশ্বিনের। স্বাভাবিক অ্যাকশনে বল করতে করতে হঠাৎ মালিঙ্গার মতো স্লিঙ্গিং অ্যাকশনে বল করতে শুরু করে দিলেন। দেখা গেল, তাঁর বল বেশি বাউন্স করছে না। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে এক সময় কেদার যাদব এই অ্যাকশনে বল করতেন। দেখা যেত ব্যাটাররা বড় শট নিতে গেলেই আউট হচ্ছেন। তার মূল কারণ, বল নিচু হয়ে যাওয়ায় ব্যাটাররা বড় শট নিতে পারেন না। তাই মারতে গিয়ে মিড-উইকেট অঞ্চলে ক্যাচ আউট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। মঙ্গলবারের ইডেনে অশ্বিনকে সে রকম কোনও ডেলিভারি করতে দেখলে দর্শকরা বিস্মিত হলেও তিনি হয়তো সাবলীলই থাকবেন। প্রস্তুতিও যে সে ভাবেই সেরে নিলেন অভিজ্ঞ এই অফস্পিনার।
তাঁর ও যুজ়বেন্দ্র চহালের জুটিই মূল শক্তি রাজস্থান রয়্যালস স্পিন বোলিং বিভাগের। অশ্বিন এসেই ইডেনের পিচ পরিক্রমা করে দেখেছেন, সেখানে ঘাসের ছিঁটেফোঁটাও নেই। বাইশ গজে কোনও ঘাস দেখতে না পেয়ে কি মনোবল বেড়ে গেল সঞ্জু স্যামসনের দলের স্পিন বিভাগের? মঙ্গলবারের ইডেনই তার উত্তর দেবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy