নজরে: ফাইনালেও বিধ্বংসী স্টার্ককে চাইছে দল। —ফাইল চিত্র।
মহেন্দ্র সিংহ ধোনি ও বিরাট কোহলি। ভারতীয় ক্রিকেটের দুই কিংবদন্তির অনুপস্থিতি রাতারাতি পাল্টে দিয়েছে চেন্নাইয়ের আইপিএল উৎসবের আবহ। এমএ চিদম্বরম স্টেডিয়ামের বাইরে নেই সেই পরিচিত দর্শকদের উন্মাদনা। মাঠের বাইরের জার্সি বিক্রেতারা হতাশ। সানরাইজ়ার্স হায়দরাবাদের কিছু জার্সি বিক্রি হলেও কলকাতা নাইট রাইডার্স ও রাজস্থান রয়্যালসের জার্সির চাহিদাই নেই!
কেকেআরের অনেক সমর্থক এসেছেন বাংলা থেকে। শুক্রবার অনুশীলন করেনি দল। কিন্তু টিম হোটেলেই চলে জোরে বোলারদের নিয়ে বিশেষ ভিডিয়ো বিশ্লেষণ। ছিলেন মিচেল স্টার্ক, বৈভব অরোরা, হর্ষিত রানা-রা। বোলিং কোচ বি অরুণ ছিলেন। মেন্টর গৌতম গম্ভীর ভোট দিতে দিল্লি গিয়েছেন। শনিবার দলের সঙ্গে যোগ দেবেন। ফাইনালে শেষ দিকের ওভারগুলিতে যাতে বাড়তি রান না ওঠে, তা নিয়ে সতর্ক দল। নাইট সূত্রে জানা গেল, ওয়াইড ইয়র্কার (অফস্টাম্পের বাইরের ইয়র্কার) ও মন্থর গতির বাউন্সার কী ভাবে আরও ধারালো করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়। ভিডিয়ো দেখিয়ে বোঝানো হয়েছে, কোন জায়গায় বল ফেললে সমস্যায় পড়বেন ব্যাটসম্যানেরা।
হর্ষিত ও বৈভবের হাতে অনেক বৈচিত্র রয়েছে। কিন্তু শেষ দিকের ওভারে স্টার্ককে খুব বেশি ব্যবহার করা যায়নি। কিন্তু প্রথম কোয়ালিফায়ারে পাওয়ার-প্লেতেই ত্রাস হয়ে উঠেছিলেন স্টার্ক। কিন্তু ফাইনালে যদি তেমন না হয়? সেই সম্ভাবনা মাথায় রেখে আগে থেকেই সতর্ক থাকছে নাইট শিবির।
২০১২ সালে এই মাঠেই প্রথম বার আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয় নাইটরা। আবারও সেই মাঠে ইতিহাস গড়ার হাতছানি। কিন্তু চেন্নাই শহরে প্লে-অফ নিয়ে মাত্রাছাড়া উন্মাদনা কোথায়! স্টেডিয়ামের বাইরে রয়েছে ‘ধোনি স্পোর্টস’ নামে এক ক্রিকেট সরঞ্জামের দোকান। দোকানের মালিক সৈয়দ শাহবাজ় ধোনির ভক্ত। তাঁর দোকানে এখনও সিএসকে-র জার্সিই বেশি বিক্রি হচ্ছে। বলছিলেন, ‘‘প্লে-অফে চেন্নাই না ওঠায় জার্সি বিক্রি কিছুটা কমেছে। তবুও ধোনির জার্সির বিক্রিই বেশি।’’ যোগ করেন, ‘‘আইপিএল থেকে ধোনি অবসর নিলে কী হবে জানি না। হয়তো বিক্রিও কমবে।’’
জার্সি বিক্রেতারা সমস্যায় পড়লেও ধোনির প্রিয় চায়ের দোকানের বিক্রিতে ভাটা পড়েনি। এগমোর স্টেশনে যাওয়ার পথে পড়ে ‘ল্যামসি টি স্টল’। চেন্নাইয়ে এলে এই দোকান থেকে চা আনিয়ে খান ধোনি। টিএনসিএ-র এক কর্তা বলছিলেন, ‘‘এক মাঠকর্মী এক দিন চা খাচ্ছিল। ধোনি তার কাছে গিয়ে চা চান। মাঠকর্মী চা দেওয়ার পরে ধোনি জানতে চান কোথা থেকে চা আনানো হয়েছে। মাঠকর্মীই তখন এই দোকানের কথা বলে।’’ যোগ করেন, ‘‘তার পর থেকে প্রত্যেক দিন ওই দোকান থেকে চা আসে। এলাচ দেওয়া চা ওর সব চেয়ে প্রিয়।’’
প্লে-অফে সিএসকে না উঠলেও চেন্নাইয়ের ধোনি-জ্বর সারেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy