Advertisement
০৪ নভেম্বর ২০২৪
IPL 2023

গুজরাতকে আকাশ থেকে নামালেন ‘স্কাই’! হার্দিকদের হারিয়ে প্লে-অফের দিকে আরও এগোলেন রোহিতরা

লিগ তালিকায় শীর্ষে থাকা গুজরাতকে হারিয়ে কিছুটা সুবিধা হল মুম্বইয়ের। প্লে-অফের ওঠার লড়াইয়ে বেশ কিছুটা সুবিধা পেয়ে গেল তারা। প্রথমে ব্যাট করে ২১৮ রান তোলেন রোহিতরা।

Suryakumar Yadav

সূর্যকুমারের হাত ধরে জয় পেল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। ছবি: আইপিএল

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১২ মে ২০২৩ ২৩:২৯
Share: Save:

ওয়াংখেড়েতে গুজরাত টাইটান্সকে উড়িয়ে দিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। ঘরের মাঠে হার্দিক পাণ্ড্যদের দলকে নাস্তানাবুদ করে দিলেন রোহিত শর্মারা। প্রথমে ব্যাট করে ২১৮ রান তোলে মুম্বই। সেই রান তাড়া করতে নেমে গুজরাত শেষ ১৯১ রানে।

এক পেশে ম্যাচ হওয়ার মূল কারণ অবশ্যই সূর্যকুমার যাদব। একার হাতে ম্যাচটি গুজরাতের নাগালের বাইরে নিয়ে চলে গেলেন। ওয়াংখেড়ের মাঠে তিনি যে ভাবে একের পর বাউন্ডারি হাঁকালেন তার জবাব গুজরাতের কাছে ছিল না। শুরুতেই শুভমন গিলদের হারিয়ে আরও চাপে পড়ে যায় গুজরাত। সহজেই ম্যাচ জিতে নেন রোহিতরা।

শুরুটা করেছিলেন রোহিত এবং ঈশান কিশন। টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে পাওয়ার প্লে-তে ৬১ রান তুলে নেন তাঁরা। রোহিত এবং ঈশান ফেরার পর গুজরাতের বোলিং নিয়ে ছিনিমিনি খেলার কাজটা করেন সূর্যকুমার। তিনি ব্যাট করতে নামতেই সূর্যের তাপে ঝলসে গেল গুজরাত টাইটান্সের বোলিং। ৪৯ বলে শতরান করলেন সূর্যকুমার। শেষ বলে ছক্কা মেরে শতরানের গণ্ডি পার করেন তিনি। সূর্যকুমারের অনায়াস ব্যাটিং স্বস্তি দেবে রোহিতকে। ঘরের মাঠে এক দিনের বিশ্বকাপের আগেও সূর্যকে এই ছন্দে দেখতে চাইবেন তিনি।

টস জিতে রোহিতদের ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন গুজরাত অধিনায়ক হার্দিক। এ বারের ওয়াংখেড়েতে মুম্বই রান তাড়া করে সব ম্যাচ জিতেছে। তাই সুযোগ পেয়ে রোহিতদের আগে ব্যাট করিয়ে নেন হার্দিক। কিন্তু তাতে যে সূর্যকুমার এমন ভাবে খেলবেন কে ভেবেছিল। আইপিএলে প্রথম বার শতরান করলেন সূর্যকুমার। এর আগে ভারতের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে তিনটি শতরান ছিল তাঁর।

গুজরাতের হয়ে রশিদ খান চার ওভারে ৩০ রান চার উইকেট নেন। কিন্তু সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ উইকেটটাই তিনি নিতে পারেননি। এক ওভারে রোহিত এবং ঈশানকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন আফগানিস্তানের স্পিনার। পরের ওভারেই নেন নেহাল ওয়াদেরার উইকেট। মোহিত শর্মা ফেরান বিষ্ণু বিনোদকে। টিম ডেভিডের উইকেটটিও নেন রশিদ। কিন্তু সূর্যকুমারের উপর কোনও প্রভাব পড়েনি। তিনি একের পর এক বল বাউন্ডারির বাইরে পাঠাতে থাকেন। ১১টি চার এবং ছ’টি ছক্কা মারেন সূর্যকুমার।

রান তাড়া করতে নেমে গুজরাতের প্রথম তিন ব্যাটারই ১০ রানের গণ্ডি পার করতে ব্যর্থ হন। তাতেই বোঝা গিয়েছিল গুজরাতের পক্ষে এই বিশাল রান পার করা সম্ভব হবে না। ঋদ্ধিমান সাহা, শুভমন গিল এবং ডেভিড মিলারের উইকেট তুলে নেন মুম্বইয়ের ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার আকাশ মাধওয়াল। তাঁর বলে শুভমনের স্টাম্প ছিটকে যায়। এলবিডল্বিউ হন ওপেনার ঋদ্ধি এবং সবে ভয়ঙ্কর হতে চলা মিলার। হার্দিককে ফেরান জেসন বেহরেনডর্ফ। ১০৩ রানে ৮ উইকেট হারায় মুম্বই। জয় তখন মুম্বইয়ের কাছে সময়ের অপেক্ষা।

রশিদ খান এবং আলজারি জোসেফ সেই অপেক্ষা কিছুটা দীর্ঘ করেন। ৮৮ রানের জুটি গড়েন তাঁরা। এর মধ্যে ৭৯ রান একাই করেন রশিদ। ১০টি ছক্কা মারেন তিনি। পায়ে চোট নিয়েই খেলে গেলেন রশিদ। তাঁর দাপটে গুজরাত জয়ের পথ খুলতে না পারলেও নেট রানরেটের দিক থেকে সুবিধাজনক জায়গায় থাকল।

এই জয়ের ফলে মুম্বই লিগ তালিকায় তিন নম্বরে উঠে এল। ১৪ পয়েন্ট পেয়েছে তারা। এখনও দুটি ম্যাচ বাকি রয়েছে তাদের। গুজরাত শীর্ষেই রয়েছে। ১২ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট তাদের।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE