ভাল বল করলেন ট্রেন্ট বোল্ট। উইকেট নেওয়ার পরে সতীর্থদের সঙ্গে তাঁর উল্লাস। ছবি: আইপিএল
খেলার আগে জয়পুরের উইকেট দেখে মনে হচ্ছিল ব্যাটারদের জন্য স্বর্গ। সবুজের আভা থাকলেও সেটা যে উইকেট শক্ত করে ধরে রাখার জন্য সেটা বলছিলেন ধারাভাষ্যকাররা। পিচ থেকে খুব একটা সুবিধা পেলেন না বোলাররা। তার পরেও লখনউ সুপার জায়ান্টসের ব্যাটারদের আটকে রাখলেন রাজস্থান রয়্যালসের বোলাররা। হাত খুলে খেলতে দিলেন না। ফলে প্রথমে ব্যাট করে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৪ রান তুললেন লোকেশ রাহুলরা।
প্রথম ওভার মেডেন করলেন রাজস্থানের বাঁ হাতি পেসার ট্রেন্ট বোল্ট। পাওয়ার প্লে-র সুবিধা খুব একটা নিতে পারলেন না রাহুল ও কাইল মেয়ার্স। তার মাঝেই রাহুলের ক্যাচ দু’বার ছাড়লেন রাজস্থানের ফিল্ডাররা। নইলে সমস্যা আরও বাড়ত লখনউয়ের।
প্রথম ১০ ওভারে উইকেট না পড়লেও রানের গতি খুব বেশি ছিল না। মাঝে মাঝে দু’একটা বড় শট এলেও বেশির ভাগ সময় দৌড়ে রান নেওয়ার উপরেই ভরসা করতে হচ্ছিল লখনউয়ের দুই ওপেনারকে। নিয়ন্ত্রিত বোলিং করছিলেন রাজস্থানের বোলাররা।
তার ফলও পান তাঁরা। ৩৯ রানের মাথায় রাহুলকে আউট করেন জেসন হোল্ডার। লখনউয়ের মিডল অর্ডার আবার ব্যর্থ। আয়ুষ বাদোনি, দীপক হুডা রান পাননি। অর্ধশতরান করেন মেয়ার্স। কিন্তু তার জন্য ৪০টি বল খেলেন তিনি। ৫১ রান করে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি।
রাজস্থানের বোলাররা উইকেট লক্ষ্য করে বল করছিলেন। ফলে হাত খুলে মারতে পারছিলেন না লখনউয়ের ব্যাটাররা। দলকে বড় রানে নিয়ে যাওয়ার সব দায়িত্ব গিয়ে পড়ে মার্কাস স্টোইনিস ও নিকোলাস পুরানের উপর। কিন্তু তাঁদেরও ব্যাটে-বলে হচ্ছিল না। ফলে বড় শট মারতে পারছিলেন না তাঁরা।
১৯তম ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের হোল্ডারের বিরুদ্ধে হাত খোলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ়েরই পুরান। সেই ওভারে ১৭ রান আসে। তার ফলে ১৫০ রানের গণ্ডি পার হয় লখনউয়ের। শেষ পর্যন্ত ১৫৪ রানে শেষ হয় তাদের ইনিংস। অর্থাৎ, ম্যাচ জিতে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে নিজেদের জায়গা আরও পাকা করার জন্য ১৫৫ রান করতে হবে সঞ্জু স্যামসনদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy