রাজস্থানের হয়ে অনুশীলনে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ ছবি: টুইটার।
রাজস্থান রয়্যালসের নতুন পেস বোলিং কোচ লাসিথ মালিঙ্গা দলের জোরে বোলারদের দেখে মুগ্ধ। তাঁর মতে, এই দলের অনেকেই আগামী দিনে তারকা হয়ে উঠতে পারেন। দলে অভিজ্ঞ এবং বিদেশি পেসার থাকায় আইপিএলে রাজস্থান ভালই লড়াই করবে বলে ধারণা মালিঙ্গার।
শ্রীলঙ্কার হয়ে তিন ধরনের ক্রিকেটে ৩৪০ ম্যাচে ৫৪৬টি আন্তর্জাতিক উইকেট রয়েছে মালিঙ্গার। এ ছাড়াও ২০১৪ সালে তাঁর নেতৃত্বেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছিল শ্রীলঙ্কা। এ বার আইপিএলে তিনি তাঁর পুরনো দল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ছেড়ে এসেছেন রাজস্থান রয়্যালসের পেস বোলিং কোচ হিসেবে।
রাজস্থান রয়্যালসের তরফে এক বিবৃতিতে মালিঙ্গা তাঁর নতুন দলের বোলিং শক্তি সম্পর্কে বলেছেন, ‘‘জানি আমাদের পেস বোলিং আক্রমণ দুর্দান্ত। অভিজ্ঞ দুই আন্তর্জাতিক পেসার ট্রেন্ট বোল্ট এবং নেথান কুল্টার-নাইল রয়েছে। এদের সঙ্গে অতীতে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। ভারতীয়দের মধ্যে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ ও নবদীপ সাইনি রয়েছে। এ ছাড়া নতুনদের মধ্যে অনুনয় সিংহ, কুলদীপ যাদবদের নিয়ে আমাদের বোলিং আক্রমণ খুব খারাপ নয়।’’ যোগ করেছেন, ‘‘টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ছোট ছোট ফারাক ম্যাচে প্রভাব ফেলে। দলের পেসারদের যে কোনও পরিস্থিতিতে সেরাটা বার করে আনার কৌশল শিখিয়ে তৈরি রাখাই আমার কাজ।’’
প্রশিক্ষক হিসেবে নিজের এই নতুন দায়িত্ব প্রসঙ্গে মালিঙ্গার প্রতিক্রিয়া, ‘‘প্রশিক্ষক হিসেবে আগামী প্রজন্মকে বোলিংয়ের খুঁটিনাটি শিখিয়ে তাদের তৈরি করা আমার কাছে নতুন অভিজ্ঞতা। আগে এই কাজই মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে করেছি। এ বার তা করব রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে। এটা আমার কাছে নতুন দল। কিন্তু প্রতিভাবান এই বোলারদের সঙ্গে কাজ করতে পেরে আমি খুশি।’’
১৩ মরসুম মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে খেলার পরে নতুন দলে আসার কারণ জানতে চাওয়া হলে মালিঙ্গা বলেন, ‘‘গত বছর কুমার সঙ্গকারা আমার কাছে জানতে চেয়েছিল আমি রাজস্থান রয়্যালসে পেস বোলিং কোচ হিসেবে যুক্ত হতে ইচ্ছুক কি না। কিন্তু করোনা সংক্রমণ ও জৈব সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে থাকতে হবে বলে পরিবার ছেড়ে আসিনি তখন। কিন্তু এ বছর পরিস্থিতি বদলেছে। শ্রীলঙ্কা দলের সঙ্গে কাজ করার পরে মনে হয়েছে এ বার আমার অভিজ্ঞতা দিয়ে আগামী দিনের ক্রিকেটারদের সাহায্য করতে পারি। তার পরেই এই পদক্ষেপ।’’
একজন পেসারের গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে মালিঙ্গা বলেন, ‘‘বেশির ভাগ সময়েই মনোনিবেশ করতে হবে বিপক্ষের দুর্বলতার উপরে। সেই মতোই বিপক্ষ ব্যাটারকে কোণঠাসা করার রণনীতি তৈরি হয়। তবে বল করতে হবে নিজের শক্তি অনুযায়ী পরিকল্পনা তৈরি রেখে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে মাত্র ২৪টি বল করা যায়। নিজের মানসিকতার উপরে আস্থা রাখা প্রয়োজন। তা হলেই পরিস্থিতি বুঝে বৈচিত্রকে ব্যবহার করা যায়। মাথায় রাখতে হবে ডান হাতি কিংবা বাঁ হাতি ব্যাটারকে পরিস্থিতি অনুযায়ী তার দুর্বলতা বুঝে বল করতে হবে। সেই ব্যাটারের নাম কী বা সে কতটা বিধ্বংসী, তা মাথায় রাখার দরকার নেই।’’
মুম্বইয়ের হয়ে চারটি আইপিএল খেতাবজয়ী এই তারকা ক্রিকেটার আরও বলেছেন, ‘‘প্রত্যেকটি দলই শক্তিশালী। আর দলের প্রতিটি সদস্যই মূল্যবান সম্পদ। আসল ব্যাপারটা হল খেলাটা বুঝে পরিস্থিতি অনুযায়ী প্রয়োগ। তাই আমার বোলারদের শিখিয়েছি চিন্তাধারা উন্নত করতে। এতে পরিস্থিতি খুব সহজে পড়ে ফেলা যায়।’’ মালিঙ্গা মন্ত্রে এ বার রাজস্থান কত দূর যায়, সেটাই দেখার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy