একা হাতে কলকাতাকে উড়িয়ে দিলেন যশস্বী। ছবি পিটিআই।
একের পর এক পুরস্কার তাঁর হাতে। ধরার জায়গা পাচ্ছিলেন না। সঞ্চালক মজা করে বললেন, পুরস্কারের ভিড়ে মাইকটা আছে কোথাও একটা। সব কিছু সামলে, মাইক নিয়ে যশস্বী জয়সওয়াল যখন কথা শুরু করলেন, তখন তিনি বেশ গদগদ। দল জিতেছে এবং সেই জয়ে বড় ভূমিকা নিতে পেরে খুশি যশস্বী।
ইডেনে কলকাতা নাইট রাইডার্স যে পিচে ১৫০ রান তুলতেই হাঁপিয়ে গেল, সেখানে অনায়াসে ৪৭ বলে ৯৮ রান করে গেলেন যশস্বী। অনেকে তো বলছেন, কেকেআর আর কয়েকটা রান করলে যশস্বীর শতরানটা হয়ে যেত। প্রথম ওভার থেকেই মারতে শুরু করেন যশস্বী। তিনি যে ভাবে খেলছিলেন তাতে মনে হচ্ছিল কলকাতা ১৫০ রান নয়, ২০০ রানের উপর লক্ষ্য দিয়েছে। ১৩.১ বলে জয়ের রান তুলে নেয় রাজস্থান। ম্যাচের সেরার পুরস্কার নিয়ে যশস্বী বলেন, “আমি চাইছিলাম মাঠে নেমে দ্রুত রান তুলতে। সেটা পেরেছি, ভাল লাগছে। এমন নয় যে, আমি যা চাই, তাই পাই। কিন্তু আমি পরিশ্রম করি এবং নিজের উপর বিশ্বাস রাখি। তাতেই ফল আসে।”
৯৮ রানের অপরাজিত ইনিংসে যশস্বী ১২টি চার এবং পাঁচটি ছক্কা মারেন। তাঁর গোটা ইনিংসে নিজের পছন্দের শট কোনটি। যশস্বী বলেন, “আমার সব থেকে ভাল লেগেছে শেষ শটটা মেরে। ওইটাতেই ম্যাচ জিতি আমরা। আমি চাইছিলাম ম্যাচ শেষ করে ফিরতে। দলকে ম্যাচ জেতানোই লক্ষ্য ছিল আমার। সেটা পেরেছি। আমি ধন্য। নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করছি।”
শতরান হাতছাড়া হওয়ার জন্য কোনও আফসোস নেই যশস্বীর। তিনি বলেন, “আমার মাথায় শুধুই নেট রানরেট ছিল। আমি আর সঞ্জু চাইছিলাম দ্রুত ম্যাচ শেষ করতে।” সেটা তাঁরা পেরেছেন। রাজস্থান ১২ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে চলে এসেছে। নেট রানরেট ০.৬৩৩।
রাজস্থানের অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন বলেন, “আমি উল্টো দিকে দাঁড়িয়ে শুধু দেখছিলাম। যশস্বীর খেলা দেখাটাই আনন্দের। যদিও এখন আমরা এটাতে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছি। বোলাররাও জানে যশস্বী পাওয়ার প্লে-তে কী করতে পারে। প্রথম ৬ ওভারে ব্যাট করতে পছন্দ করে ও।” যশস্বী নিজে বলেন, “আইপিএলের মতো প্রতিযোগিতা তরুণদের জন্য একটা মঞ্চ। নিজেদের স্বপ্ন পূরণ করার মঞ্চ।” যশস্বী সেটাই করছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy