ভরসা: অধিনায়ক শ্রেয়স নতুন আশা কেকেআরের। ছবি আইপিএল।
কলকাতা নাইট রাইডার্স প্রথম ম্যাচ খেলতে নামার আগে একটি প্রশ্ন ঘিরে চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছিল ক্রিকেটমহলে। প্যাট কামিন্সের পরিবর্ত কে হবেন? টিম সাউদি কি আদৌ এসেছেন?
কামিন্সের পরিবর্ত হিসেবে উমেশ যাদব দুরন্ত শুরু করেন প্রতিযোগিতায়। চার ওভারে ২০ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন। ম্যাচের সেরাও বেছে নেওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু সাউদিকে ছাড়া তিন বিদেশি ক্রিকেটার নিয়ে প্রথম ম্যাচে খেলতে হয়েছিল কেকেআরকে। উমেশের সঙ্গে নতুন বলে ইনিংস শুরু করা শিবম মাভি চার ওভারে ৩৫ রান দিয়ে যান। কেকেআর অনায়াসে সিএসকের বিরুদ্ধে জিতলেও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে সাউদিকে বসিয়ে কি মাভিকেই আবার খেলানো হবে? সেই সম্ভাবনা ক্ষীণ। সাউদি দলে ফেরায় নতুন বলে নাইট পেস বিভাগকে নেতৃত্ব দিতে পারবেন। চার বিদেশি নিয়ে মাঠে নামতে পারবেন নতুন অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ারও।
রবিবার কোয়রান্টিন পর্ব শেষ হয়েছে নিউজ়িল্যান্ডের পেসারের। সোমবার থেকে তিনি শুরু করেন অনুশীলন। কিন্তু প্রথম ম্যাচে যাঁরা খেলেছেন, তাঁদের নিয়ে অভিনব রিকভারি সেশন চলে টিম হোটেলের সুইমিং পুলে।
ট্রেনিংয়ের নাম ‘ওয়াটার এরোবিক্স’। মোট পাঁচটি রাউন্ডে ভাগ করা হয় এই ট্রেনিং পদ্ধতি। পুরোটাই হয় সুইমিং পুলে। প্রথম রাউন্ড ‘ওয়াটার ডান্স’। ক্রিকেটারেরা মুখিয়ে থাকেন প্রথম রাউন্ডের জন্য। কেকেআর একটি ভিডিয়ো তুলে ধরেছে গণমাধ্যমে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, বেঙ্কটেশ আয়ার থেকে অজিঙ্ক রাহানে, নিজেদের পছন্দের নাচের ভঙ্গি তুলে ধরছেন পুলের মধ্যে। শেল্ডন জ্যাকসন ও আন্দ্রে রাসেলকে ভাঙড়া নাচতেও দেখা যায়।
দ্বিতীয় রাউন্ড ‘ওয়াটার রানিং’। জলের মধ্যে সাঁতার না কেটে দৌড়তে হয় প্রত্যেককে। কেকেআর শিবিরে খোঁজ নিয়ে জানা গেল, একটি ম্যাচ খেলার পরে পায়ের পেশি ক্লান্ত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। সেই শক্তি ফিরিয়ে আনার জন্যই এই ট্রেনিং করানো হচ্ছে ক্রিকেটারদের।
তৃতীয় রাউন্ড ‘র্যাপিড সুইমিং’। মোট চার জন করে ভাগ করে দেওয়া হয়। তাদের মধ্যে প্রথম হতে পারাই চ্যালেঞ্জ। সাঁতার কাটার ফলে শরীরের বেশির ভাগ পেশি আগের শক্তি ফিরে পায়। তরতাজা হয়ে ওঠেন প্রত্যেকে।
চতুর্থ রাউন্ডে ‘রিভার্স ওয়াকিং’ করতে হয় ক্রিকেটারদের। পিছনে না তাকিয়ে জলের মধ্যে হাঁটা-চলা করতে হয়। তাতে নাকি হ্যামস্ট্রিংয়ের পেশি শক্তিশালী হয়ে ওঠে। যাবতীয় ক্লান্তিও দূর হয়ে যায়।
শেষ রাউন্ড সবচেয়ে অভিনব। চার জন করে দল ভাগ করে পুলের অন্য প্রান্তে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তাঁরা পিছনে ঘুরে থাকেন। স্পঞ্জের বল তাঁদের শরীরে তাক করে ছোড়া হয় অন্য প্রান্ত থেকে। যাঁর গায়ে প্রথম বল লাগবে, তাঁকে অন্য প্রান্ত থেকে সাঁতরে ফিরে আসতে হবে। যে সবচেয়ে দ্রুত পৌঁছবেন, তাঁকে পুরস্কৃত করা হবে।
প্রথম ম্যাচ জেতার পরে নাইট শিবির এ রকমই ফুরফুরে মেজাজে রয়েছে। বুধবার আরসিবি ম্যাচ শেষেও নাইটদের মেজাজে কোনও পার্থক্য দেখা যায় কি না, সেটা সময়ই বলবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy