কলকাতা নাইট রাইডার্স দল। —ফাইল চিত্র।
বুধবার বিশাখাপত্তনমে দিল্লি ক্যাপিটালসকে হারাতে পারলেই চলতি আইপিএলের জয়ের হ্যাটট্রিক করে ফেলবে কলকাতা নাইট রাইডার্স। বিশাখাপত্তনমে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের দলের বিরুদ্ধে নামার আগে কলকাতা শিবিরের চিন্তা দুই ক্রিকেটারকে নিয়ে। এক জন ঋষভ পন্থ। দিল্লির অধিনায়ক। আগের ম্যাচে ফর্মে ফিরেছেন তিনি। অন্য জন মিচেল স্টার্ক। আইপিএলের সব থেকে দামি ক্রিকেটার এখনও ফর্ম পাননি। তাঁর জন্য ভুগতে হয়েছে কেকেআরকে।
চলতি আইপিএলে দু’টি দলের শুরু অন্য রকম হয়েছে। এক দিকে কলকাতা নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচে জয় পেয়েছে। প্রথম ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ঘরের মাঠে হারানোর পরে দ্বিতীয় ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে তাদের ঘরের মাঠে সহজেই হারিয়েছে তারা। অন্য দিকে দিল্লি নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচ হেরেছে। পঞ্জাব কিংস ও রাজস্থান রয়্যালসের কাছে হারের পরে তৃতীয় ম্যাচে মহেন্দ্র সিংহ ধোনিদের চেন্নাই সুপার কিংসকে হারিয়েছে তারা।
চোট সারিয়ে এ বারের আইপিএলে খেলতে নেমেছেন দিল্লির অধিনায়ক পন্থ। প্রথম দুই ম্যাচে রান না পেলেও তৃতীয় ম্যাচে ৩২ বলে ৫১ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি। পন্থের ব্যাটে ভর করেই ১৯১ রান তুলে চেন্নাইকে হারিয়েছে দিল্লি। পন্থের খেলা দেখে মনে হচ্ছে না কোনও সমস্যা হচ্ছে। নিজের সব শটই খেলছেন তিনি। উইকেটের মাঝে স্বাভাবিক ভাবে দৌড়চ্ছেন। নিজের দিনে পন্থ ভয়ঙ্কর। বলের গতি ব্যবহার করে বড় বড় শট মারতে পারেন। তাই কলকাতাকে পন্থের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা করে নামতে হবে।
কেকেআরকে সমস্যায় ফেলছেন স্টার্ক। চলতি আইপিএলের আগে নিলামে ২৪ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকায় তাঁকে কিনেছে কেকেআর। প্রথম দুই ম্যাচে ৮ ওভার বল করে ১০০ রান দিয়েছেন তিনি। একটিও উইকেট পাননি। নতুন বল বা পুরনো বল, সুবিধা করতে পারছেন অস্ট্রেলিয়ার বাঁ হাতি পেসার। তিনি রান দেওয়ায় বাকিরা চাপে পড়ে যাচ্ছেন। বুধবারও যদি স্টার্ক ভাল বল করতে না পারেন তা হলে সমস্যা হবে কলকাতার। দিল্লি দলে স্টার্ক ছাড়াও ডেভিড ওয়ার্নার, মিচেল মার্শ, পৃথ্বী শ’র মতো ব্যাটার রয়েছেন যাঁরা সহজে বড় শট খেলতে পারেন। তাই স্টার্ককেও সতর্ক থাকতে হবে।
আগের ম্যাচে কেকেআর পায়নি নীতীশ রানাকে। বেঙ্কটেশ আয়ারও ব্যাট করার সময় চোট পেয়েছিলেন। নীতীশের চোটের বিষয়ে জানা না গেলেও দলের বোলিং কোচ ভরত অরুণ জানিয়েছেন, বেঙ্কটেশ পুরো সুস্থ। তাঁদের দু’জনকেই দিল্লির বিরুদ্ধে চাইবে কলকাতা। স্পিনার বরুণ চক্রবর্তীকেও নিজের বোলিং ঠিক করতে হবে। তিনিও ফর্মে নেই। মাঝের ওভারে দিল্লিকে আটকাতে হলে ভাল বল করতে হবে বরুণকে।
তবে কলকাতাকে স্বস্তি দেবে তিন বিদেশি ফিল সল্ট, আন্দ্রে রাসেল ও সুনীল নারাইনের ফর্ম। তিন জনই দায়িত্ব নিয়ে খেলছেন। সল্ট শুধু ব্যাট করলেও রাসেল ও নারাইন ব্যাট-বল দু’ক্ষেত্রেই ভাল খেলছেন। বেঙ্কটেশ আগের ম্যাচে অর্ধশতরান করেছেন। রান পেয়েছেন অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ারও। রিঙ্কুকেও ভাল দেখাচ্ছে। নজর কেড়েছেন পেসার হর্ষিত রানাও। দিল্লির বিরুদ্ধে ৩২টি ম্যাচ খেলেছে কেকেআর। জিতেছে ১৬টি। দিল্লি জিতেছে ১৫টি। অর্থাৎ, কেউ খুব একটা এগিয়ে নেই। কিন্তু সাম্প্রতিক ফর্ম বিচার করলে এগিয়ে কলকাতা। দিল্লির বিরুদ্ধেও এগিয়ে থাকতে চাইবেন শ্রেয়সেরা।
বুধবার কলকাতা-দিল্লি ম্যাচ শুরু হবে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে। টেলিভিশনে দেখা যাবে স্টার স্পোর্টস চ্যানেলে। তা ছাড়া জিয়ো সিনেমা অ্যাপেও দেখা যাবে এই ম্যাচ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy