মহেন্দ্র সিংহ ধোনির চেন্নাই সুপার কিংস জেতে ১৫ রানে। —ফাইল চিত্র।
আইপিএলের প্রথম কোয়ালিফায়ারে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির চেন্নাই সুপার কিংস জেতে ১৫ রানে। সেই ম্যাচে মাথিসা পাথিরানাকে বল করানোর জন্য কিছুটা সময় চুরি করেন ধোনি। পাথিরানা মাঠের বাইরে গিয়েছিলেন। ফিরে আসার পর পেনাল্টি সময় পার করে তবেই বল করতে পারবেন তিনি। সেই সময়টাই আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলে পার করে দেন ধোনি। আইপিএলের নিয়ম অনুযায়ী ধোনি কি ঠিক করলেন?
আইপিএলের নিয়মের ২৪.২.৩ ধারা অনুযায়ী এক জন ক্রিকেটার খেলার মাঝে মাঠের বাইরে যত ক্ষণ থাকবেন, মাঠে ফিরে আসার পর তিনি তত ক্ষণ বল করতে পারবেন না। পাথিরানা এই কারণেই বল করতে পারছিলেন না। শ্রীলঙ্কার তরুণ পেসার ১২তম ওভারে বল করেছিলেন। তার পর মাঠের বাইরে গিয়েছিলেন তিনি। ৯ মিনিট বাইরে থাকার পরে ফিরে এলেও ১৬তম ওভারে পাথিরানাকে বল করাতে পারছিলেন না ধোনি। তখনও কিছুটা পেনাল্টি সময় বাকি ছিল। ধোনি ১৬তম ওভারে পাথিরানাকে বল করাতে গেলে আম্পায়ার বাধা দেন। চেন্নাই অধিনায়ক সেই সময় আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলতে থাকেন। তাতেই পার হয়ে যায় পেনাল্টি সময়। ধোনির আর কোনও অসুবিধা থাকে না পাথিরানাকে বল করাতে।
আইপিএলের নিয়ম দেখলে স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে ধোনি অন্যায় করেছেন। নিয়ম না ভাঙলেও নিয়মের ফাঁক তিনি কাজে লাগিয়েছেন। ধোনি প্রায় পাঁচ মিনিট ধরে আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলতে থাকেন। হয়তো সময় নষ্ট করার জন্য ইচ্ছা করেই তিনি আম্পায়ারের সঙ্গে কথা চালিয়ে যেতে থাকেন।
এই ব্যাপারে এক মত সুনীল গাওস্কর। তিনি ধোনির এই আচরণ ভাল ভাবে নেননি। ধারাভাষ্য দিতে গিয়ে ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক বলেন, “আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত সব সময় মেনে নেওয়া উচিত। চাপের মধ্যে যদি কখনও আম্পায়ার ভুল করেন তা হলেও।” সাইমন ডুল মনে করেন ধোনি ইচ্ছাকৃত ভাবে খেলা বন্ধ করে রেখেছিলেন। নিউ জ়িল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার বলেন, “পাঁচ মিনিট ধরে আম্পায়ারদের সঙ্গে অহেতুক কথা বলল। অন্য এক জনকে বল না করিয়ে খেলাটা থামিয়ে রাখল শুধু শুধু। ম্যাচ শেষে এটা নিয়ে আফসোস করতে হতে পারে ধোনিকে।” ওই সময় নষ্ট করার ফলে শেষ ওভারে শাস্তি পায় চেন্নাই। একজন বাড়তি ফিল্ডারকে ৩০ গজের মধ্যে আনতে হয়।
১৬তম ওভারের আগে ধোনিকে দেখা যায় স্কোয়ার লেগের আম্পায়ারের সঙ্গে গিয়ে কথা বলতে। সেই আম্পায়ারদের ধোনির সঙ্গে মুখে হাসি নিয়েই কথা বলতে দেখা যায়। অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন ক্রিকেটার ব্র্যাড হগ বলেন, “ধোনি নিজের প্রভাব খাটাচ্ছে। আম্পায়ারদের কথা বলে চার মিনিট নষ্ট করছে। পাথিরানাকে বল করানোর জন্য এমনটা করল ধোনি। আম্পায়াররা কঠোর ভাবে এটা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত না নিয়ে ধোনির সঙ্গে হাসছে।”
গুজরাতের রশিদ খান এবং বিজয় শঙ্কর সেই সময় ক্রিজে ছিলেন। বিজয় বলেন, “আমার মনে হয় পাথিরানা যে হেতু মাঠের বাইরে ছিল, তাই কিছুটা সময় প্রয়োজন ছিল। সেই কারণেই মনে হয় সময় নেওয়া হচ্ছিল।” ধোনি যখন আম্পায়ারদের সঙ্গে কথা বলছিলেন, সেই সময় রুতুরাজ গায়কোয়াড়, মইন আলি, রবীন্দ্র জাডেজা এবং পাথিরানাকেও দেখা গিয়েছিল ওখানে। কী কথা হচ্ছিল জানতে চাওয়ায় রুতুরাজ বলেন, “জানি না কী কথা হচ্ছিল। আমি তো গিয়েছিলাম কোনও মজার গল্প হচ্ছে কি না জানতে। কিন্তু তেমন কিছু পেলাম না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy