রাসেলের আগ্রাসী লড়াই কাজে এল না। প্রথম ম্যাচে হেরে গেল কলকাতা। ছবি: আইপিএল।
আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের প্রথম ম্যাচেই বিঘ্ন। টস জিতে প্রথমে বোলিং নিয়েও সুবিধা করতে পারল না নীতীশ রানার দল। তার পর ব্যাট করতে নামার সময়ও বিপত্তি। সময় মতো স্টেডিয়ামের ফ্লাড লাইট না জ্বালানোয় ব্যাট করতে নেমেও সাজঘরে ফিরে যেতে হল কলকাতার দুই ওপেনারকে। সব আলো জ্বলার পর ২১ মিনিট পর ব্যাট করতে নামেন মনদীপ সিংহ এবং রহমানুল্লাহ গুরবাজ়।
কলকাতার ইনিংসের ১৬ ওভারের পর বৃষ্টির জন্য খেলা বন্ধ হয়ে যায়। নিয়ম অনুযায়ী, সন্ধে ৭টা ৫৪ মিনিটের মধ্যে খেলা শুরু করা গেলে ওভার সংখ্যা কমত না। কিন্তু প্রবল বৃষ্টির জন্য ৭টা ৪৫ মিনিটে খেলা শেষ বলে ঘোষণা করেন আম্পায়াররা। এর ফলে ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে ৭ রানে হেরে যায় কলকাতা। ১৬ ওভারের পর কলকাতার রান ছিল ৭ উইকেটে ১৪৬ রান। এই সময় কলকাতাকে জিততে হলে ১৫৩ রান করতে হত। সেই হিসাবে ৭ রানে হেরে গেল নাইট রাইডার্স।
প্রথমে ব্যাট করে পঞ্জাব কিংস তোলে ৫ উইকেটে ১৯১ রান। ওপেনার প্রভসিমরন সিংহ (২৩) রান না পেলেও দ্বিতীয় উইকেটে বড় জুটি গড়লেন অধিনায়ক শিখর ধাওয়ান এবং তিন নম্বরে নামা ভানুকা রাজাপক্ষে। তাঁদের জুটিতে উঠল ৮৬ রান। ধাওয়ান করলেন ২৯ বলে ৪০ রান। মারলেন ৬টি চার। রাজাপক্ষের ব্যাট থেকে এল ৩২ বলে ৫০ রানের ইনিংস। শ্রীলঙ্কার ব্যাটারের ইনিংসে রয়েছে ৫টি চার এবং ২টি ছক্কা। পঞ্জাবের আর কোনও ব্যাটার অবশ্য বড় রান পেলেন না। ফলে প্রত্যাশিত রান তুলতে পারল না ধাওয়ানের দল। শেষ দিকে সাম কারেন অপরাজিত থাকেন ১৭ বলে ২৬ রান করে। ২টি ছক্কা মারলেন তিনি। তাঁর সঙ্গে অপরাজিত ছিলেন শাহরুখ খান (১১)। মিডল অর্ডারে জীতেশ শর্মা ২১ এবং সিকান্দার রাজা ১৬ রান করেন।
কলকাতার সফলতম বোলার টিম সাউদি। নিউ জ়িল্যান্ডের জোরে বোলার ২ উইকেট নিলেও দিলেন ৫৪ রান। ফলে পঞ্জাবের ব্যাটারদের উপর তেমন চাপে রাখতে পারেননি। বরুণ চক্রবর্তী ২৬ রান দিয়ে ১ উইকেট নিলেন। উমেশ যাদব ১ উইকেট নিলেন ২৭ রানে ১ উইকেট। প্রত্যাশা মতো বল করতে পারলেন না সুনীল নারাইনও। তিনি ১ উইকেট নিলেন ৪০ রান খরচ করে।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ধারাবাহিক ভাবে উইকেট হারাল কলকাতা। শুরুর দিকের ব্যাটাররা কেউই উইকেটে থিতু হতে পারলেন না। ওপেনার মনদীপ (২) এবং তিন নম্বরে নামা অনুকূল রায় (৪) দ্রুত সাজঘরে ফিরলেন। নিজের প্রথম ওভারেই এই দুই ব্যাটারকে আউট করে কলকাতাকে কোণঠাসা করে দেন আরশদীপ সিংহ। অপর ওপেনার আফগানিস্তানের উইকেটরক্ষক গুরবাজ় করলেন ১৬ বলে ২২ রান। ৩টি চার এবং ১টি ছয় মারলেন আফগান ক্রিকেটার। ২৯ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর কলকাতার ইনিংসের হাল ধরার চেষ্টা করেন বেঙ্কটেশ আয়ার এবং অধিনায়ক নীতীশ। দলকে তেমন ভরসা দিতে পারলেন না অধিনায়কও। নীতীশ আউট হলেন ১৭ বলে ২৪ রান করে। তাঁর ব্যাট থেকে এল ৩টি চার এবং ১টি ছয়। ব্যর্থ রিঙ্কু সিংহও (৪)।
ক্রিকেটপ্রেমীদের বিস্মিত করল কলকাতার রণকৌশলও। ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের আন্দ্রে রাসেলকে বল করানো হল না। ব্যাট করতে পাঠানো হল ৮০ রানে ৫ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর। রাসেল নামার পর কলকাতার রান তোলার গতি কিছুটা বাড়ে। তিনি জুটি তৈরি করেন বেঙ্কটেশের সঙ্গে। ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার করলেন ১৯ বলে ৩৫ রান। রাসেলের ব্যাট থেকে এল ৩টি চার এবং ২টি ছয়। বেঙ্কটেশ করেন ২৮ বলে ৩৪ রান। ৩টি চার এবং ১টি ছয় মারেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ২২ গজে ছিলেন শার্দূল ঠাকুর (৮) এবং নারাইন (৭)।
পঞ্জাবের সফলতম বোলার অরশদীপ ১৯ রানে ৩ উইকেট নিলেন। ১টি করে উইকেট পেয়েছেন কারেন, নাথান এলিস, রাহুল চাহার এবং রাজা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy