সূর্যকুমারকে স্লেজিং করেন কোহলী। ফাইল ছবি।
স্লেজিং করেন বিরাট কোহলী। মাঠে ভারতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়কের স্লেজিং নাকি অত্যন্ত তীক্ষ্ণ। কোনও কথা না বলে কোহলী এমন স্লেজিং করতে পারেন, যা ব্যাটারের মনোসংযোগের দফারফা করে দিতে পারে ।
বিশ্বাস না হলেও এটাই সত্যি। একটি সাক্ষাৎকারে অন্তত সূর্যকুমার যাদবের তেমনই দাবি। তরুণ ব্যাটার নিজের বক্তব্যের সমর্থনে দু’বছর আগের আইপিএলের অভিজ্ঞতা বলেছেন। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ব্যাটার বলেছেন, ২০২০ সালে আইপিএলের ম্যাচে তৎকালীন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর অধিনায়ক কোহলী স্লেজিং করেই তাঁদের হারিয়ে দিতে চেয়েছিলেন।
সূর্যর কথায় সেটা ২০২০ আইপিএলের ৪৮তম ম্যাচ। মুম্বই এবং বেঙ্গালুরু মুখোমুখি হয়েছিল। প্রথমে ব্যাট করে কোহলীরা ৬ উইকেটে ১৬৪ রান তোলেন। জবাবে ব্যাট করতে নেমে দ্রুত ২ উইকেট হারায় মুম্বই। চাপের মুখে অর্ধশতরান করে দলকে লড়াইয়ে ফেরান সূর্য। সে দিনের অভিজ্ঞতার কথাই শুনিয়েছেন তিনি।
একটি জোরাল শট সোজা কোহলীর হাতে যায়। বল ধরে দ্রুত সূর্যর দিকে এগিয়ে যান কোহলী। কড়া চাহনিতে স্লেজিং করেন মুম্বইয়ের ব্যাটারকে। এমন কিছু হতে পারে ভাবেননি সূর্য। কিন্তু গায়েও মাখেননি। ৪৩ বলে ৭৯ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন। সেই ইনিংসের সুবাদে ৫ উইকেটে ম্যাচ জেতে মুম্বই। গোটা বিষয়টি বেশ উপভোগ করেছিলেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
সূর্য বলেছেন, ‘‘কোহলী এরকমই। মাঠে ওর এনার্জি সব সময় অন্য মাত্রায় থাকে। ম্যাচটা দু’দলের জন্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তাই কোহলীর স্লেজিংও অন্য মাত্রায় পৌঁছেছিল সে দিন। আমি নিজের ব্যাটিংয়ের উপরই ফোকাস করেছিলাম। অনেকটা অফিসের বসের মতো। যে কখনই ফোকাস থেকে সরতে পারে না। যে কোনও মূল্যে আমাদের জিততেই হত। বলটা হাতে পৌঁছতেই ওর শরীরী ভাষাই বদলে যায়। যেমনটা ওর সহজাত।’’
তিনি আরও বলেছেন, ‘‘ব্যাট করার সময় চুইং গাম চিবচ্ছিলাম। কোহলীকে আমার দিকে ও ভাবে এগিয়ে আসতে দেখেই হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়। ও কিন্তু মুখে একটাও কথা বলেনি। আমিও কোনও শব্দ করিনি। শুধু নিজেকে বলেছিলাম, ‘যাই হোক, কোনও ব্যাপার নয়। কোনও কথা বলো না। এটা ১০ সেকেন্ডের ব্যাপার। এর পরেই আবার নতুন ওভার শুরু হবে। এ রকম বেশিক্ষণ করতে পারবে না।’’ সেই খেলা শেষ হওয়ার পর দারুণ স্বস্তি পেয়েছিলেন বলেও জানিয়েছেন সূর্য।
সে সময় কোহলীর কোনও কথারই উত্তর দেননি সূর্য। জানতেন, ফাঁদে পা দিলেই কাজ হাসিল করে নেবেন কোহলী। ঠান্ডা মাথায় ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। সূর্য জানিয়েছেন, ক়ড়া দৃষ্টিতে তাঁর দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন কোহলী। মনসংযোগ নষ্ট করতে চাইছিলেন। সূর্যের কথায়, ম্যাচটা জেতা ভীষণ জরুরি ছিল বেঙ্গালুরুর জন্যও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy