ঈশান কিশন। ছবি আইপিএল
এ বারের নিলামে ১৫.২৫ কোটি টাকা ঈশান কিশনকে কিনেছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। তাঁকে নেওয়ার জন্য এত মরিয়া ছিল মুম্বই যে নিলামে বাকি দলগুলির সঙ্গে রুদ্ধশ্বাস লড়াই করতেও পিছপা হয়নি তারা। কিন্তু মরসুমে প্রথম আটটি ম্যাচে হেরে প্লে-অফের থেকে কার্যত ছিটকে যাওয়ার পর প্রশ্ন উঠছে, কিশন আদৌ দলের জন্য কি কিছু করতে পারলেন? কেন কিশনকে অত টাকা দিয়ে কেনা উচিত হয়নি, তার উত্তর খুঁজল আনন্দবাজার অনলাইন।
প্রত্যাশার চাপ: যে কোনও ক্রিকেটার বেশি অর্থ পেলে স্বাভাবিক ভাবেই তাঁর ভেতরে একটা প্রত্যাশার চাপ তৈরি হয়। কিশনও তার ব্যতিক্রম নন। প্রথম দু’টি ইনিংসে অর্ধশতরান করে দলকে ভরসা দিলেও, তার পর থেকে ক্রমাগত ব্যর্থ হয়ে চলেছেন তিনি। শেষ ছয় ম্যাচে তাঁর অবদান মাত্র ৬৪ রান। উইকেটের পিছনেও এমন আহামরি কিছু নন। ম্যাচে তাঁর খেলা দেখে পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে, বিপুল চাপে রয়েছেন। সেটি প্রত্যাশার চাপ হতেই পারে। কিশনের মতো তরুণ ক্রিকেটার যে এত সহজে সব কিছু সামলাবেন তা আশা করা অন্যায় হবে।
অত্যধিক অর্থ দেওয়া: অতি বড় ক্রিকেট সমর্থকও এটা বিশ্বাস করবেন না যে বিরাট কোহলী বা মহেন্দ্র সিংহ ধোনির মতো সমান অর্থ পেতে পারেন কিশন। তবে দেখা যাচ্ছে, এ বারের আইপিএলে ধোনির থেকেও বেশি অর্থ পাচ্ছেন কিশন। তাঁকে নিলামে নেওয়ার জন্য এমনই মরিয়া হয়ে উঠেছিল মুম্বই যে, ১৫ কোটির বেশি টাকা দিতেও পিছপা হয়নি। অতীতে পরিসংখ্যান দেখলে বোঝা যাবে, কোহলী-ধোনির মতো মাপের ক্রিকেটার বাদে যাঁকেই বেশি টাকা দেওয়া হয়েছে, তিনি সফল হতে পারেননি। জয়দেব উনাদকাট, যুবরাজ সিংহ, ক্রিস মরিসকে দেখলেই সেটা বোঝা যাবে।
হাতের অর্থ কমে যাওয়া: কিশনকে বেশি অর্থ দিয়ে কেনায় দরকারি অনেক ক্রিকেটারকে কেনার মতো পর্যাপ্ত অর্থ ছিল না মুম্বইয়ের হাতে। ফলে পছন্দের দল গঠন করতে পারেনি তারা। যে তিলক বর্মা প্রতি ম্যাচেই ব্যাট হাতে সফল হচ্ছেন, তাঁকে মাত্র ৮০ লাখ টাকা দিয়ে কেনা হয়েছে। হাতে অর্থ থাকলে হয়তো বড় ক্রিকেটার কিনতেও পারত মুম্বই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy