তিনি যখন ব্যাট করতে নামেন তখন সাজঘরে ফিরে গিয়েছেন অভিষেক শর্মা। শট খেলতে সমস্যায় পড়ছেন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। কিছু ক্ষণ পরে আউটও হয়ে যান উইলিয়ামসন। তাতে অবশ্য ভয় পাননি রাহুল ত্রিপাঠী। নিজের প্রাক্তন দলের বিরুদ্ধে বিধ্বংসী ইনিংস খেললেন। শেষ পর্যন্ত আউট হয়ে গেলেও তত ক্ষণে ম্যাচের রাশ চলে গিয়েছে হায়দরাবাদের হাতে। তাই আম্পায়ার ও ম্যাচ রেফারিদের বিচারে ম্যাচের সেরা ত্রিপাঠী।
প্রথম বল থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাট করতে শুরু করেন ত্রিপাঠী। পাওয়ার প্লে-র পরে সেই আক্রমণ আরও বাড়ে। আমন খানের এক ওভারে ১৩ ও বরুণ চক্রবর্তীর এক ওভারে ১৮ রান নেন ত্রিপাঠী। সহজে বড় শট খেলছিলেন। মাত্র ২১ বলে নিজের অর্ধশতরান করেন তিনি। তাঁকে দেখে মনে হচ্ছিল আরাম করে বড় শট খেলছেন। কোনও বোলারই তাঁকে সমস্যায় ফেলতে পারেননি। শেষে ৩৭ বলে ৭১ রান করে রাসেলকে বড় শট মারতে গিয়ে আউট হন ত্রিপাঠী।
আরও পড়ুন:
ম্যাচের সেরার পুরস্কার নিতে গিয়ে ত্রিপাঠী বলেন, ‘‘বোলার অনুযায়ী পরিকল্পনা করে সেই মতো শট খেলার জন্য তৈরি ছিলাম। যে রকম বল এসেছে, সে রকম শট খেলেছি। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে শারীরিক সমস্যা হচ্ছিল। সেই কঠিন সময়ে হায়দরাবাদের ক্রিকেটাররা পাশে থেকেছে। নিজের খেলা উপভোগ করেছি। দলের জয়ে যোগদান করতে পেরে খুশি।’’